মহাখালী-বনানী ভূঁই ফোড় সংগঠনগুলোর প্লেট-টোকেনে চলছে অবৈধ অটোরিক্সা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা

0
1300

হাবিব সরকার স্বাধীন: রাজধানীতে ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিক্সার রমরমা ব্যবসা চলছে। ভিআইপি সড়কগুলো বাদ দিয়ে বিভিন্ন  সড়কে এসব রিক্সা চলাচল করছে দিনের পর দিন। ইতিপূর্বে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অল্প করে ক্ষুদে মালিকরা ব্যাটারী চালিত রিক্সা তৈরি করে অলিগলিতে চালাতো। বর্তমানে বেশ কয়েকটি ‘ভ‚ঁই ফোড় সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে এখন এই অবৈধ রিক্সা দেীড়াত্ত বেড়েছে। ঢাকার বনানী, মহাখালী, নিকেতন, তুরাগ, কদমতলী, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া,  মুগদা,  খিলগাঁও, দারুস সালাম, শাহ-আলী, মিরপুর পল্লবী, ভাসানটেক, মাটিকাটা, রূপনগর, কাফরুল,  ক্যান্টনমেন্ট, বাড্ডা, ভাটারা, খিঁলক্ষেত, মোহাম্মদপুর, বাবুবাজার থেকে গাবতলী বেড়িবাধ, আদাবর, সবুজবাগ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, উত্তরখান, দক্ষিনখান, হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর, ঝাউচরে অবাধে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত রিক্সা শুধু তাই নয় নামধারী সংগঠনগুলো নামে প্লেট-টোকেন তৈরি করে এসব অবৈধ রিক্সাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকটি সংগঠন ইতোমধ্যে প্লেট-টোকেন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন একজন ভুই ফোড় নেতা মহাখালী সাত তলা  আতর আলী, অটো শামীম বলেন, প্লেট টোকেন বিক্রি করা টাকার বৃহদাংশ চলে যায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও প্রসাশনের কিছু অসাদু ব্যক্তির পকেটে। সংগঠনের নেতারা তেমন কিছুই পায় না।

জানা গেছে, প্রতিটি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন চক্র টোকেনের মাধ্যমে এসব রিক্সা মালিকের কাছে থেকে প্রতিমাসে গড়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা নিচ্ছে। এ টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট এলাকায় চলাচলের অনুমতি সংগ্রহ করে থাকে। কয়েকজন রিক্সার মালিক  জানান, “প্রতিমাসে নির্ধারিত ফি দিয়ে টোকেন নবায়ন করা হয়। যথাসময়ে টোকেন ফি না দিলে দালালদের ইশারায় ট্রাফিক পুলিশ হয়রানি করে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বনানীরও মহাখালী বিভিন্ন এলাকার রিক্সা মালিকদের সংগঠিত করে এ অবৈধ রিক্সা প্লেটের ব্যবসা পরিচালনা করা হয় এবং এর থেকে আদায়কৃত টাকা ঐসব নেতা আর দালালরা নিয়ে থাকেন।

বনানীও মহাখালী সাত তলা বিভিন্ন লাইনে চলাচল করে এমন একাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চালকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি বনানী ওমহাখালী সাততলা বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল কৃত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থানা পুলিশের নিবন্ধন দেওয়া। কর্তৃপক্ষের শুধু মাত্র রিক্সার নিবন্ধন দেওয়ার বিধান থাকলেও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার নিবন্ধন দেওয়ার লিখিত বা ঘোষিত ভাবে আইনত কোন বিধান আছে কিনা আমার জানা নাই।

অভিযোগ আছে, গত ১ বছর ধরে অবৈধ এই ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা দেদারছে চলছে বনানী থানা ভ‚ই ফোড় সংগঠনের নেতাকর্মীরা করে থাকে। একাধীক সুত্র জানায়, প্রতি মাসের ১০ তারিখে এ ব্যবসা থেকে থানার আয় প্রায় লাখ টাকা।

বনানী রিক্সা মালিক একতা, সাত তলার, উন্নায়ন কমিটি, বাল্যবন্ধু, বরিশাল একতা কমির্টি সমিতির আড়ালে এই অবৈধ প্লেট, টোকেনের ব্যবসা টোকেন বানিজ্য করে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ী আতর আলী, অটো শামীম, বাবুল, দেলোয়ার, ডিজে লিটন, খ বির, সহ আরো অনেকে। বেশ কয়েকজন রিক্সার মালিক বলেন, এইসব সংগঠনগুলো প্রতি মাসের জন্য প্লেট ছাড়ে  টাকা করে। মেয়াদ শেষ হলেই-আবার তা নবায়ন করতে হয়। নবায়নের সময়ও তাদেরকে সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়।

যদি কোনো মালিক সংগঠনগুলোর প্লেট না লাগায় তাহলে তাদের গাড়িগুলো পুলিশ দিয়ে আটক করানো হয়। এজন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে সংগঠনগুলো পারিশ্রমিক দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। সততা পরিবহন নামক একটি সংগঠন এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সার ওপর জরিপ পরিচালনা করে দাবি করেন বনানীও মহাখালী প্রায় ১২০০ ব্যাটারিচালিত রিক্সা রয়েছে।

শুধু তাই নয় সুনামধন্য রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নামের সাথে মিল রেখে বনানী কথিত স্বেচ্চাসেবকলীগের নেতা পরিচয়ে শহীদুল ও চাঁদাবাজ অটো শামীম, রিক্সাচোরের গডফাদার আতর  আলী সহ আরো অনেকেই প্রতি মাসে এ অবৈধ টোকেন প্লেট বিক্রি করছে।

যেহেতু বিআরটিএর নিবন্ধন ছাড়াই স্বাধীনভাবেই বেআইনি যানটি অবৈধ ভাবে চলাচল করছে তাই স্থানীয় ভাবে প্রচুর ব্যাটারিচালিত তিন চাকার অটো রিক্সা তৈরি করছে একটি চক্র। যার ফলে লাগামহীন ভাবে রাস্তায় অটোরিকশার পরিমাণ ভাবে বেড়েই চলেছে।

এ ব্যাপারে বনানী থানার ঐসব ভুই ফোড় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মুঠো-ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − 12 =