সীমান্ত আগ্রাসন, পানি আগ্রাসন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “৭২ থেকে অদ্যাবধি সীমান্তে বিএসএফের হাতে খুন হওয়া বাংলাদেশি নিরস্ত্র নিরীহ জনসাধারণের জীবন গেলেও কোনো সরকারই ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি আলোচনায় আনেনি। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে-বাঁচতে পারছি না আমরা।”
তিনি বলেন, “ফারাক্কা-গজলডোবা-টিপাইমুখ ও উজানে অসংখ্য বাঁধ এবং আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করছে। আবার বর্ষায় একসাথে সীমাহীন পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়। এমন শত্রুতা পৃথিবীতে নজিরবিহীন। অথচ সরকার আন্তর্জাতিক ফেরামে নিশ্চুপ, কী রহস্যজনক।”
মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও বিএসএফ কর্তৃক সার্বভৌমত্বে লঙ্ঘনের ফলে আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ। স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থায় আধিপত্যবাদী আগ্রাসন মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।”
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, “ফেলানী হত্যার বিচার না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না। ক্রমাগত সীমান্ত হত্যা, সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সেলিম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের ঢাকা মহানগর নেতা নুরুল ইসলাম বিপ্লব, প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ফোরামের (বিবিএফ) আহ্বায়ক এন. ইউ. আহম্মেদ, নিরাপদ বাংলাদেশ চাইয়ের চেয়ারম্যান খন্দকার মাসুদ উজ জামান, পিডিপির কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাকছুদ আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের বিভাগীয় সম্পাদক তাহরিনা ইসলাম পুতুল প্রমুখ।