মহিপুরে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অস্ত্রের মুখে চেক হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

0
362

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুরে অস্ত্রের মুখে অবরুদ্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাওনা টাকার কথা বলে জোড় পূর্বক নতুন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলে চেক হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভ‚ক্তভোগী ইউসুব গাজী। শুক্রবার সকাল ১০টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। তার দাবী মৎস্য বন্দর আলীপুর আল-আরাফাহ ব্যাংকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজাসে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলে একই দিনে ব্যাংক হতে চেক ইস্যু করিয়ে ৫ টি বøাংক চেক হাতিয়ে নিয়ে ১০ লক্ষ টাকার চেক ডিজওনারের মামলা করার পায়তারা চালাচ্ছে আলীপুরের আঃ রহিম ফরাজী। সংবাদ সম্মেলনে ইউসুফ গাজী বলেন, কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা গ্রামের মৃত ইব্রাহীম গাজীর ছেলে আলীপুর বন্দরের বাসিন্দা আঃ রহিম ফরাজীর সাথে তার ব্যক্তিগত পরিচয় রয়েছে। গত ১০/১২ বছর আগে আমি আর্থিক দৈন্যতার কারনে আমার ভোগদখলীয় ৩৩ শতাংশ জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব করলে রহিম ফরাজী তা কিনতে সম্মত হয়। ততকালীন বাজার মূল্য অনুযায়ী ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বায়না বাবদ তিনি আমাকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে বাংলা চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদন করেন। সেখানে ১ বছরের মধ্যে বাকী ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে মূল দলিল নেয়ার কথা থাকলেও রহিম ফরাজী সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে সে বিদেশ যাবার কথা বলে আমাকে দেয়া ৩ লক্ষ টাকা ফেরৎ নেয়।

কিন্তু আমাকে বাংলা বায়না দলিল ফেরৎ দেই দিব বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে এবং আমার কাছে আরো ৫০ হাজার টাকা অনৈতিকভাবে দাবী করে। আমি অনৈতিকভাবে দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে বিভিন্ন ধরনে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।

পরবর্তীতে গত ২৪ আগষ্ট আলিপুরে আসলে আঃ রহিম ফরাজী ও কতিপয় স্থানীয় সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার কাছে টাকা দাবী করে।

আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে দিয়ে স্থানীয় আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক আলিপুর শাখায় একটি একাউন্ট খুলতে বাধ্য করে। আল-আরাফাহ ব্যাংকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসজাগে আমাকে দিয়ে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলিয়ে ওই দিনই চেক ইস্যু করে ৫ টি বøাংক চেক রেখে দেয়।

এতে উক্ত ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মঞ্জুরুল আলম একাউন্টের পরিচিতি দেয়। আমার এ্যাকাউন্টের নমিনীর ছবি ছাড়াই আমার নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আঃ রহিম ফরাজীকে চেক হাতিয়ে নিতে সাহায্য করেন।

পরে আঃ রহিম ফরাজী ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী আমার নিকট হতে ৫ টি বøাংক চেক জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এর পরের দিন ওই বøাংক চেকে ১০ লক্ষ টাকা লিখে চেক ডিজওনার করে আমার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।

তিনি আরোও বলেন, এ বিষয়ে গত ২৬ আগষ্ট কলাপাড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নম্বর ৪৬৯/২০। ব্যাংক কর্মকর্তা সহ এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউসুফ গাজী সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − twelve =