আখতার রহমান: মারপিটের শিকার মুক্তিযোদ্ধারা কাছে ক্ষমা চাইলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহানগর শাখার সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ডা: আবদুল মান্নান। ৭ সেক্টেম্বর সোমবার রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ডা: আবদুল মান্নান একথা জানান। তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০ টার দিকে সার্কিট হাউসে বসেছিলেন তারা। সেখানে জেলা প্রশাসক, মেডিকেলের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধারা, ইন্টার্নি ডাক্তার ও মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল উপস্থিত ছিলেন। এসময় উভয় উভয় পক্ষের মধ্যেই সমঝোতা করে দিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক। এসময় মেডিকেলের পরিচালক, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও ইন্টার্নি চিকিৎসকরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হাত ধরে ক্ষমা চাই।
আর মামলার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা ডা আবদুল মান্নান জানান, আমরা বলেছি মামলা নিয়ে দৌড়া দৌড়ি করতে পারবো না। তখন প্রশাসন বলেছেন, মামলা তারা দেখবেন।
অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার শফিকুর রহমান রাজা, কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক, মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, রবিউল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে পারুল বেগম (৬৫) নামের এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা ও ছেলের সাথে হাতা হাতি হয়।
চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে ওই নারীর ছেলেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেদিন বিকেলে আদালত জামিন দিলে রাকিবুল ইসলাম নামের মায়ের দাফনের কাজে অংশ নেন।
মৃত নারীর স্বজনদের অভিযোগ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনেক ডাকাডাকি করলেও কেউ চিকিৎসা করেনি। উল্টো এর প্রতিবাদ করলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নিহতের ছেলে রাকিবুলকে মারধর করেছেন। বাধা দিতে গেলে তারা মুক্তিযোদ্ধা বাবা ইসহাক আলীকেও মারধর করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।