আমলারা সাধারণত শ্রমিকদের পক্ষে থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডেমরায় বিজেএমসির বন্ধ ঘোষিত মিলগুলোর অবসরপ্রাপ্ত ও অবসায়নকৃত (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ) শ্রমিকদের পাওনা চূড়ান্ত পরিশোধ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে মঞ্চে থাকা বস্ত্র ও পাট সচিবকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব (লোকমান হোসেন মিয়া) এক সময় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। আমি ওখান থেকেই তাকে বেশি করে চিনি। উনি একজন শ্রমিকবান্ধব সচিব কিন্তু। আমলারা সাধারণত শ্রমিকদের পক্ষে থাকে না। কিন্তু উনি আমলা হলেও এমন কামলা, শ্রমিকদের পক্ষের কামলা উনি।’
তিনি বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শ্রমিকদের পক্ষেরই মানুষ, যেটুকু আমি আমার এখানে জয়েন করার পর তার পরিচয় পেয়েছি। তিনি শ্রমিকদের পক্ষের মানুষ।’
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘মিলগুলোর উৎপাদন আপাতত বন্ধ রেখে শ্রমিকদের পাওনাদি বুঝিয়ে দিয়ে মিলগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে। এজন্যই আজ শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার অনুষ্ঠান হচ্ছে। সুদূরপ্রসারী ও সুচিন্তিত মতামতের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রথম পদক্ষেপ আজ করিম জুট মিলের এই চত্বরে।’
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য ছয় দফা দিয়েছিলেন। সেই ছয় দফার মধ্যে এই পাটের কথাও লেখা ছিল। পাট পাকিস্তান আমলে সোনালী আঁশ ছিল, আজও কিন্তু সোনালী আঁশ আছে। সোনালী আঁশকে বঙ্গবন্ধু যেমন ভালোবাসতেন, বাংলার কৃষক ভালোবাসতেন; আজও বঙ্গবন্ধুর মেয়ে ভালোবাসেন, আজও বাংলার কৃষক সাধারণ মানুষ এই সোনালী আঁশকে ভালবাসে।’
তিনি বলেন, ‘এই সোনালী আঁশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যেমন ব্যক্তিমালিকানাধীন পাটকলগুলো প্রয়োজন, পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষকের এক সিজনের পাট যাতে আরেক সিজনে না থাকে এটা আমরা নিশ্চিত করে থাকি। আমি মনে করি, আমাদের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মহোদয় এটা মাথায় রেখে কাজ করবেন। আমি অর্ধশত বছর ধরে শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমি সেই শুরু থেকেই পাটের সঙ্গে জড়িত।’
‘আমি শ্রমজীবী ভাই-বোন, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে আমরা ঠকিনি, বঙ্গবন্ধুর মেয়েকে বিশ্বাস করে আমরা ঠকব না’ বলেন মন্নুজান সুফিয়ান।