স্টোর কিপারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

0
417

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোর কিপার হাফিজ বিন ফয়সাল ওরফে পিয়াসের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ ও চিকিৎসার উপকরণ খোলা বাজারে বিক্রি করে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ফলে শুরু হয়েছে অনুসন্ধান। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপারদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ২০১০ সাল থেকে কর্মরত হাফিজ বিন ফয়সাল ওরফে পিয়াস। যোগদানের পর থেকে তিনি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বরাদ্দকৃত ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সরবরাহ করে আসছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে এ সুযোগে তিনি বিভিন্ন সময় ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ না করে খোলা বাজারে বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎকরেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

হাফিজ বিন ফয়সালের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর স্টোর কিপারদের বক্তব্য নেয়ার জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দিন নির্ধারণ করে নোটিশ দেন। গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর ছিল ধার্যকৃত দিন। এদিনে সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার মো. হাদিউজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার হুমায়ূন কবির, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার শামসুল হক ও আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার জহুরুল হক কুষ্টিয়ায় দুদক সমন্বিত কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দুদকের কর্মকর্তার কাছে নিজ নিজ বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অভিযুক্ত স্টোর কিপার হাফিজ বিন ফয়সাল মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। এসব ওষুধ বাইরে পাওয়া যায় না এবং কেউ কেনে না।

তিনি বলেন, আমার অফিসের কেউ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে অথবা বাইরের কেউ হয়রানি করতে দুদকের কাছে এ অভিযোগ করেছে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে দুদক মামলাটি অনুসন্ধান করছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন গত এক বছরে ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণের প্রাপ্তি, ক্রয়, সরবরাহ, বিতরণবিষয়ক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরেজমিনে দেখেছেন এবং বেশ কিছু ফটোকপি করে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঘটনাকাল ২০১৭ সাল। সেসময় সিভিল সার্জনের দায়িত্বে ছিলেন রওশন আরা বেগম।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 1 =