Site icon Aparadh Bichitra

মহাখালীর মাদক ব্যবসায়ী আতর আলী, শামীম ও সবুজের নেতৃত্বে সাংবাদিককে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন মাদক সন্ত্রাস দুর্নীতিবাজ লুটেরা চাঁদাবাজ ধর্ষণ খুন গুম হত্যা জালিয়াতি বাজ যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমি বিএনপি- আওয়ামী লীগ বুঝিনা শুধু জানি অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

সেই বিষয়ে অনেক অপরাধীর টনক নড়ে উঠেছে শুধু টনক নড়ে ওঠে নি মহাখালী ও দখলবাজ টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি অপকর্মের মূল হোতাদের ও ঠেনি মহাখালী ২০  নং ওয়ার্ড অন্ধকারে থাকা শুধু টনক নড়েনি রাঘব বোয়ালদের, তাদের কাজই হচ্ছে চাঁদাবাজি,খুন, ধর্ষণ, মাদক, জায়গা-জমি দখল করা ও সরকারি বিদ্যুৎ-গ্যাস অপকর্মের সাথে থাকা। মূল হোতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে,সংবাদকর্মী বিরুদ্ধে নেমে আসে মিথ্যা মামলা ও নানা মিথ্যা অভিযোগ।

এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মহাখালী ২০নং ওয়ার্ডে। গত ৩১.০৮.২০২০ তারিখে, অপরাধ বিচিত্রার ১৮ পৃষ্ঠায় মহাখালী বনানী ভুঁইফোড় সংগঠন গুলো সারাদেশে প্লেট টোকেন এ চলছে অবৈধ অটো রিস্কাও চাঁদাবাজি। এবং ৪০ পৃষ্ঠায় শিরোনাম কড়াইল ও সাত তালা বস্তি গ্যাস চোর সিন্ডিকেটের তাণ্ডব তিতাসের নজর আছে কি? সংবাদটি প্রকাশ করা হলে, এতে খুলে যায় অপরাধীদের মুখোশ। সেই সূত্র ধরেই অপরাধী চক্রটি প্রতিবেদকের নামে খারাপ মন্তব্য করে।এবং সে মাদকব্যবসায়ী তখন প্রতিবেদকের বিষয়টা নিয়ে থানায় জিডি করে। জি ডি নাম্বার ২৭৫:৫.৯.২০. শুধু তাই নয় আতর আলী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন ভাবে সংবাদকর্মীকে ফোনে হুমকি দেন নাম্বারটা তুলে ধরা হলো ০১৯২২৫৯৯২৬১। প্রতিবেদকের নাম্বারে ০১৭১৪৮৯০৮০৮ কল দিয়ে কাউন্সিলর অফিসে দেখা করতে বলে।দেখা করতে না চাইলে  তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। ৭.৯.২০ তারিখ সোমবার আনুমানিক সময় বিকাল ৫:৩০ মিনিটে ঘটনাস্থল মহাখালী হাজী হাসমত মেনশন ১ তালা এইচ ২৪ মহাখালী বনানী ঢাকা প্রতিবেদককে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নেওয়া হয়।

শামীম অস্ত্র ঠেকিয়ে বলে এখানে মেরে ফেলবো শব্দ করবি না কাউন্সিলর অফিসে চল। তার সাথে ছিল বিশাল এক বাহিনী।তাদের নাম হচ্ছে মাদক মামলার আসামি আতর আলী, ধর্ষন মামলার আসামি নাপিত সবুজ, শ্রমিক লীগের সেক্রেটারি শামীম, ছাত্রলীগের তুহিন, পুলিশের সোর্স ইলিয়াস, পুলিশের সোর্স রবিন, পুলিশের সোর্স বাইট্টা কবির, টেলি সুমন, ব্লাক বাবু ,হত্যা মামলার আসামি ভাগিনা রুবেল, ব্লু জাকির, এসকে আলম, অটো আলামিন, গভমেন্ট চাকরি নামধারী উজ্জ্বল,  পুলিশের সোর্স ও  ফেন্সি মামলার আসামি ওমর ফারুক কেরু, সাথে ছিলো আরো ১৫-২০ জন। কাউন্সিলর অফিসে না নিয়ে প্রদীপ সংঘ ক্লাব ওয়ারলেস গেট কমিটিসেন্টারে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।

পরবর্তীতে প্রতিবেদক জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সাত তলার ভয়ঙ্কর সোর্স সোর্স ইলিয়াস ৪০০ পিস ইয়াবা তার পকেটে ঢুকানোর চেষ্টা করে। অনুসন্ধানে দেখা যায় তাদের কাজে কেউ বাধা দিলে তাদেরকে মাদক ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের ঘরবাড়ি দখল করে। এভাবেই চলে তাদের কর্মজীবন। গুলশান ডিসি মোস্তাক আহমেদ সাহেব থাকা অবস্থায় আতর আলী ছিল মাদকের প্রথম তালিকায়।এবং তৎকালীন সাততলা বস্তি ৫ নং ইনচার্জ আব্দুল্লাহ থাকা অবস্থায় মাদক নির্মূলে সফলতা অর্জন করলেও কোন মাদক ব্যবসায়ী ঢুকতে পারেনি। সাততলা বস্তি তে বর্তমান অবস্থা মাদক ব্যবসায়ীদের দখলে এলাকাবাসীর দাবি হঠাৎ মাদকের আনাগোনা এমনই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে যা বলার ভাষা নেই।

তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় এমনটাই দাবি করেন এলাকাবাসী । পুলিশ তাদের পকেটে থাকে, এ কথা মানুষকে বলে বেড়ায়। এবং তারা সব ধরনের সালিশ-বিচার করে থাকেন, আদালতের কোন প্রয়োজন হয় না তারা নিজেরাই আদালত খুলে বসেছেন বলে এমনটাই দাবি অনেক ভুক্তভোগীরা । অপরাধীদের বন্দি না করে তাদেরকে সাপোর্ট দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা । তাদেরকে সহযোগিতা করছেন বর্তমান বিট ইনচার্জ বিশ্বজিৎ। এ বিষয়ে বিশ্বজিৎকে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন, যে আমি মাদকের কাউকে ছাড় দেই না যারা বলেছে তারা আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়েছে।

বনানী থেকে মাদক কারবারি ড্রাইভার মাইনুদ্দিন কে তার অফিসের সামনে থেকে পুলিশের সোর্স খলিল ক্রেতা সেজে মাদক আনতে গিয়ে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তীতে সাততলায় নিয়ে ৭০০০ টাকা রেখে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েচছ। কোন ব্যক্তির বাড়ি অথবা দোকান বিক্রি করলে তাদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করার অভিযোগ আছে।  অনুসন্ধানে দেখা যায় ৫ নং বিট আতর আলী ও শামীম এলাকার সকল বিচার তাদের নেতৃত্বে হয়। তাদের রয়েছেন এলাকা ভিত্তিক সালিশ করার জন্য কিছু টর্চার সেল।  অত্যাচারের হাত থেকে সাধারন মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে। অটোচালক হেলাল মিয়া কে দিনে কোন গাড়ি চালাতে দেওয়া হবে না বলে নির্ধারিত করেন আতরআলী ও শামীম । তাই সে রাতের আঁধারে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা অর্জন করেন তার কাছে ভুক্তভোগী শিকার হয়েছেন মানিক ইউসুফ নাম প্রকাশ করলে তাদের ওপর নেমে আসবে অমানুষিক নির্যাতন তাই সকল বিষয় প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের নির্যাতনে ভুক্তভোগীরা দূরের কথা সংবাদকর্মীরাও রেহায় পাচ্ছেনা।

এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান । এলাকায় ঢুকতে গেলে আতরআলী বাহিনীর পারমিশন নিতে হয়। সংবাদ প্রকাশ করার পরও  নীরবতা ভূমিকা পালন করেছেন এস আই বিশ্বজিৎ। মহাখালী বক্স ইনচার্জ রাজিব তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদকর্মীকে যখন নির্যাতন করা হয়েছিল বিশ্বজিৎ ও রাজিব তালুকদার উপস্থিত ছিল।কিন্তু জানালা দিয়ে প্রতিবেদক দেখলেও তাদের কোনো সহযোগিতা পাইনি বরং এরিযে যায় ঘটনাস্থল থেকে। পুলিশের এই আচরণে হতবাক হয়ে প্রতিবেদক বলেন ৫ ঘন্টা মানবীক নির্যাতন করেন।

এ যেন পুলিশের নাটকীয় সংঘাত সংবাদ কর্মী উপর নির্যাতন তবে বিট ইনর্চাজ দেখে না দেখার অভিনয় করেন।এ যেন দু্ই পুলিশ কটাক্ষ কাহিনী  রাজিব তালুকদার ওবিশ্বজিৎ। যেখানে একজন সংবাদকর্মী প্রকাশে হামলা করেন নীরব ও নিস্তব্দ হয়ে আছে তারা যা বে-আইনি বলে গন্য। অত্যাচারে পর রাত এগারোটায় তাকে উদ্ধার করে এস আই আহসান হাবিব। এ বিষয় পিবিআইতে মামলার অনুসন্ধান চলছে।