ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্তা এক মায়ের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে জীবিত শিশুকে মৃত বলে রিপোর্ট দেন ডাঃ রসনা বর্মন রোজ। ১৮ সেপ্টেম্বর-২০২০ শুক্রবার সন্ধায় ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁয়ের বালিয়াডাঙ্গী লাহিড়ী হাট এলাকা থেকে জয়ন্ত তার ৮ মাসের অন্ত:সত্তা স্ত্রী লিপি রাণীকে (২৮) নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে শহরের সুরক্ষা ডায়গোনোস্টিক সেন্টারে আসেন। সুরক্ষা ডায়গোনোস্টিক সেন্টারের ডাঃ রসনা বর্মন রোজ অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি লিপি রাণীকে জরুরী ভিত্তিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। এসময় ডাঃ রসনা নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করে পেটের বাচ্চা মৃত বলে লিখিত রিপোর্ট দেন এবং বাচ্চা অপসারনের জন্য দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। রোগী এ রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে অপর আরেকটি বেসরকারী ডায়গনস্টিক সেন্টারে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করালে সনোলজিস্ট ডাঃ মো: শাহ আজমির রাসেল পেটের বাচ্চা জীবিত এবং সুস্থ্য আছে বলে একটি রিপোর্ট দেন। এ অবস্থায় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ এম আর রেজাকে দেখালে তিনিও একই মত দেন এবং বলেন প্রসুতি মায়ের জরায়ু মুখ খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রসব করানোর প্রস্তুতি নিতে বলেন। গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ মতে রোগীর অভিভাবক তৎক্ষনাত সে ব্যবস্থা গ্রহণ কররে।অতপর লিপি রাণী ওইদিন রাতেই সুস্থ্য বাচ্চা প্রসব করেন।
লিপি রাণীর স্বামী জয়ন্ত জানান, আমার স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সন্তানকে মৃত ঘোষণা করলে আমার তা বিশ্বাস না হওয়ায় অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করি এবং আমার স্ত্রী সন্তানকে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরে পাই। আমার মত কেউ যেন এ ধরনের হয়রানীর শিকার না হয়, সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাঃ রসনা বর্মন রোজ তার মুঠো ফোনে বলেন– আসলে ঘটনাটি সত্য নয়, এখানে রোগী অভিভাবকে ভুল বুঝানো হয়েছে, আমি যখন আল্ট্রাসনোগ্রাম করি তখন বাচ্চার মুভমেন্ট ও হার্টবিট অনুপস্থিত ছিলো ।পরে তারা রোগিকে অন্যত্র হাটিয়ে নিয়ে গেছে, এতেই বাচ্চা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।