Site icon Aparadh Bichitra

হঠাৎ গভীর রাতে সংবাদকর্মির বাসায় হামলা কেন ?

বাংলাদেশের স্বনামধন্য অপরাধ বিচিত্রা ম্যাগাজিনে গুলশান-বনানীসহ কড়াইল বস্তি এলাকার মাদক বাণিজ্য, রিকসা’র টোকেন বিক্রির নামে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি, চিহ্নিত দখলবাজ-জুলুমবাজ অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের জের হিসেবে বারবারই আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাধীন। তরুণ এ সংবাদকর্মি বরাবরই সাহসী ভূমিকা রাখেন, কখনো কোনো কৌশলের ধার ধারতে চান না। অপরাধে যুক্ত দুর্বৃত্তদের নামধাম প্রকাশেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না তিনি। কড়াইল বস্তিসহ বনানী জুড়ে লাগামহীন অপরাধ করে বেড়ানো মোমিন চক্রের বিরুদ্ধে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ক’দিন আগেই স্বাধীনকে থানা কোর্টকাচারী হয়ে জেলখানাও ঘুরে আসতে হয়েছে।

চিহ্নিত অপরাধী মোমিনের প্রশ্রয়দাতা বনানীর সাবেক ওসি ফরমান আলীর ভেলকিবাজীতে স্বাধীনের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের নাটক হয়েছে (যা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে) এবং সেই ঘটনায় মিথ্যা সাজানো মাদক মামলা মাথায় নিয়ে নিরপরাধ এ সংবাদকর্মিকে জেলহাজতের ভোগান্তি পোহাতে হয়। জেলখানা থেকে জামিনে বেরিয়ে সেই ইয়াবা নাটকের নেপথ্য কাহিনীও তিনি প্রমানাদিসহ ফাঁস করে দিয়েছেন।

এরপরই তিনি শুরু করেন রিকসার টোকেন বাণিজ্য ঘিরে আরেক গডফাদারের অপরাধ কাহিনী। ফলে গডফাদারের আঙ্গুলী হেলনে সংবাদকর্মি স্বাধীনকে তারই ক্যাডাররা ধরে নিয়ে টানা পাঁচ ঘন্টা বর্বর নির্যাতন চালায়। পুলিশ পাহাড়ায় চালানো এ নজিরবিহীন নির্যাতনের ঘটনায় মুমূর্ষু স্বাধীনকে উদ্ধারও করেছে পুলিশ, অথচ সে ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটা জিডি পর্যন্ত রেকর্ড হয়নি বনানী থানায়। বিচার পাওয়া দূরের কথা বিচার প্রার্থনার সুযোগও না পাওয়ায় স্বাধীন সেসব অপরাধীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালততোর মামলাটি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এরপর থেকেই দুর্বৃত্তরা আরো বেশি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে এবং স্বাধীনসহ তার মামলার সাক্ষীদের সমুচিত শাস্তি দিতে গত কয়েকদিন যাবত নানাস্থানে চড়াও হচ্ছে বলে শোনা গেছে। এসব ঘটনার জের ধরেই আজ রাত পৌণে দুই টা থেকেই স্বাধীনের খিলক্ষেতস্থ বাসাটিতে ২০/২২ জন সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। দুর্বৃত্তরা তার জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ফোকলা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের নল ঢুকিয়ে ভীতি প্রদর্শন করছে এবং শিগগির গেট খুলে দিতে হুকুম জারি করছে। এঅবস্থাতেই অসহায় সংবাদকর্মি স্বাধীন পরিচিতমহলে ফোন করে করে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছে।

স্বাধীন জানায়, পাঁচ মিনিট ধরে টানা ফোন করেও খিলক্ষেত থানার কারো কোনো সাড়া পাচ্ছেন না। পরবর্তীতে খিলক্ষেত থানায় এসআই এর রাসেল এর সহযোগিতায় অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে হামলাকারী কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি ! বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়ে গেছে – এস আই রাসেল এবং আর কোন ঝামেলা হলে ফোন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে!