হীরাঝীল প্রপাটি ডেভলপমেন্ট: প্রতারনা ২০ বছরেও মোজাম্মেল হক ও লুবানা হকের প্লট বুঝিয়ে দিচ্ছে না বসুমতি আবাসিক প্রকল্প

0
762

ষ্টাফ রিপোটার: রাজধানীর হীরাঝীল প্রপাটি ডেভলপমেন্টের অধীনে বসুমতি আবাসিক প্রকল্পের এমডি মোঃ নাসির উদ্দিনের দুধর্ষ প্রতারনার ফাঁদে পড়ে ২০ বছরেও প্লটের মালিকানা বুঝে দিচ্ছে না লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগকারী গ্রাহকেরা। তবে গ্রাহকের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে মালিক কোথায় থাকেন তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। হীরাঝীল প্রপাটি ডেভলপমেন্ট (প্রাঃ) লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় প্লাডিয়াম মার্কেট (৫ম তলা) গুলশান-২ ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।

জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অধিবাসী মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী মিসেস লুবনা হক উভয়ে বসুমতি আবাসিক প্রকল্পের বøক-বি প্লট নং-৬৮ জমির পরিমাণ ০৫ কাঠা অর্থাৎ ৮.২৫ শতাংশ ও বক নং বি প্লট নং-৬৭ জমির পরিমাণ ০৫ কাঠা অর্থাৎ ৮.২৫ শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই তফশিল ভুক্ত জমি ক্রয়ের জন্য স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে বায়নামা দলিল করে কিস্তির মাধ্যমে ইতিপূর্বে জমি রেজিষ্টারী খরচ বাবদ কোটি টাকা পরিশোধ করার সত্বেও জমির মালিক প্লট বুঝে দিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উকিলের মাধ্যমে জমির মালিক এমডি মোঃ নাসির উদ্দিন পিতা মৃত আমিন উদ্দিন, সাং- ছোলমাইদ ডাকঃ গুলশান, থানা- বাড্ডা, ঢাকার ঠিকানা বরাবরে উকিল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি কোন প্রকার জবাব পাওয়া যায়নি। এদিকে মোজাম্মেল হক চৌধুরী সৌদি আরবে চাকরী কালিন বেতনের টাকা বাড়ী কিছু জমি ও তিল তিল করে ইতিপূর্বে জমানো অর্থ বসুমতি আবাসিক প্রকল্পের এমডি মোঃ নাসির উদ্দিনের হাতে তুলে দিয়ে বছরের পর বছর মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শুধু মোজাম্মেল হক কেন অনেকেই নাসির উদ্দিনের নিকট টাকা দিয়ে তাদের চোখের জল ঝরছে।


এ ব্যাপারে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী মহল থেকে জানা যায়, প্রকাশ্যে এসব জালজালিয়াতি করে আবাসন প্রকল্প গড়ে তুললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শক্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এটি রহস্যজনক। অনেকে মনে করেন সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের প্রভাবশালী মহলের সমর্থন না থাকলে এভাবে আইন লংঘন করে প্রকল্প গড়ে তোলার সুযোগ নেই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 + 6 =