Site icon Aparadh Bichitra

উজিরপুরে সাক্ষ্য দেওয়ায় অটো চালককে ধর্ষনের চেষ্টায় মামলায় জড়িয়ে হয়রানীর অভিযোগ

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলার ঘটনায় মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ায় বিবাদীরা এক অটো চালককে ধর্ষণের চেষ্টায় মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ‚ক্তভোগী সুত্রে জানা যায় উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রামের মৃত কাঞ্চন ফকিরের মেয়ে নিলুফা খানম গংদের সাথে একই বাড়ীর মোশারফ হোসেন গংদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা সংঘঠিত হয়। সে ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্ট-পাল্টি মামলা দায়ের করেছে।

জমি বিরোধে হামলার ঘটনায় নিলুফা খানম বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় মোশারফ গংদের বিরুদ্ধে ৩৭/২২৪ নং একটি মামলা দায়ের করেন। মোশারফ ফকিরের স্ত্রী মাসুদা বেগম বাদী হয়ে বরিশাল আদালতে নিলুফা খানমসহ ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছিল। উক্ত মামলায় একই বাড়ীর সাক্ষী ছিল মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে মাসুম ফকির, স্ত্রী রেনু বেগম, পুত্রবধু কাজল বেগম, ভাই হালিম ফকির। ওই মামলায় সাক্ষিতে নাম থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিলুফা বেগম মাসুম ফকির গংদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় মামলাবাজ সুচতুর নারী নিলুফা খানম ১৩ সেপ্টেম্বর উজিরপুর মডেল থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অপবাদ দিয়ে হতদরিদ্র আটো চালক মাসুম ফকির(২৯), রফিক হাওলাদার(৩০), মোশারফ ফকির(৪০) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যপারে মামলার আসামী মাসুমের বড় ভাই মনির হোসেন ফকির জানান নিলুফা খানম গংদের সাথে একই বাড়ীর মোশারফ হোসেন গংদের জমি বিরোধে উভয়ের মধ্যে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আমার ছোট ভাই ওই মামলায় সাক্ষী থাকায় তাকে খেশারত দিতে হচ্ছে। অন্যায় ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার অপবাদ দিয়ে নিলুফা খানম নাটক সাজিয়ে আমার ছোট ভাই মাসুমকে ধর্ষণের চেষ্টায় মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে। মাসুমকে বর্তমানে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। আর্থিক ভাবে আমরা বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। বর্তমানে নিরুপায় হয়ে পরেছি আমরা। আরো জানা যায় ওই নারীর আতঙ্কে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা।

শালিশ বৈঠক করতেও নারাজ এলাকার মোড়লরা। সে যেন মূর্তিয়মান আতঙ্ক। এভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলা করায় প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে এলাকার সকলকে। মামলাবাজ নামে সুপরিচিত হয়েছে ওই নারী। অভিযুক্ত নারী বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ওই প্রতারক নারীর ক্ষপ্পর থেকে রেহাই পেতে সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক আসল রহস্য উৎঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন অসহায় পরিবার।