আরজিনা বেগম: মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও বাল্যবিবাহ মুক্ত একটি আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষে ব্যাপক জনসচেতনা মূলক কর্মসূচি গ্রহন করছেন হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ পৌসভার প্রশাসক মো: গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারী দুজনকেই আমি চরমভাবে ঘৃণা করি। একটি জাতিকে ধ্বংসের মুল হাতিয়ার হচ্ছে মাদক। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মাদকের ব্যাপক ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। অভিবাবক সহ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়সের ছেলে মেয়েরাও মাদক আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদক আসক্তির কারনে অনেকের সংসার তছনছ হয়ে যাচ্ছে। মাদকের টাকা যোগাড় করতে আমাদের সন্তানেরা ছিনতাই, চাদাবাজি সহ খুনের মতো অপরাধ কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আমাদের এখনই মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। প্রতিটি পরিবারের মা-বাবা সহ অন্যান্য অভিবাবকদের সজাগ থাকতে হবে-তাদের সন্তানেরা ঘরের বাহিরের পরিবেশে কি করছে। তাদেরকে মাদক মুক্ত জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমাজের প্রভাবশালীদের সন্তানেরা মাদক বিক্রির সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে ধরাছোয়ার বাইরে রাখে। তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। আমি বলবো যারা মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের সাথে জড়িত তারা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে সুস্থ্য জীবনে ফিরে আসবেন। মাদক প্রতিরোধে কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
বহুল প্রচারিত সত্য প্রকাশে অবিচল অপরাধ বিচিত্রার সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পৌর প্রশাসক গোলাম ফারুক বলেন, একটি সুখি, সুন্দর ও সুস্থ্য সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মুল হাতিয়ার হলো শিক্ষাব্যবস্থা। সুশিক্ষিত জাতি কখনই পেছনে পড়ে থাকে না। আমাদের মতো জনপ্রতিনিধি ও সমাজের সচেতন মহলকে শিক্ষার মান উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।
অনভিজ্ঞ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার উপকারিতা বুঝাতে হবে। সমাজব্যবস্থাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। দারিদ্রতা আমাদের একটি বড় অভিশাপ। তবুও শত দারিদ্রতার মাঝে থেকে আমাদের সন্তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আজকের দু:খ কষ্ঠ আগামী দিনে আমাদের ঘরে আর থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও বাল্যবিবাহ মুক্ত পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এলাকার যেকোন অপরাধ মূলক ঘটনায় সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা আপনার-আমার দায়িত্ব এবং আপনাদের যে কোন সমস্যায় আমি আপনাদের পাশে আছি, এবং থাকবো।
এ সময় তিনি অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার সাফল্য কামনা করে সংশ্লিষ্ট সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং আগামীতে পত্রিকাটি আরো এগিয়ে যাওয়ার শুভকামনা করেন। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, মো: গোলাম ফারুক আজমিরিগঞ্জ পৌসভার প্রশাসক হিসেবে ন্যায় বিচারের এক আদর্শ রোল মডেল, তার কাছে অন্যায়কারী কখনোই প্রশ্রয় পায় না।
তিনি একজন উদার মনের মানুষ। একজন সমাজসেবক। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে তিনি আন্তরিকভাবে জড়িত। এলাকায় দানবীর হিসেবেও তার রয়েছে যথেষ্ট সুনাম। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে পৌসভার উন্নয়ন পিছিয়ে রাখেননি।
শতবাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে পৌসভার রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ নাগরিক সুবিধার প্রতিটি কাজই অত্যান্ত দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করে জনগনে ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি দুষ্টচক্র নানা ভাবে হয়রানী করে এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কারন তিনি বংশগত সম্মান ও নিজের যোগ্যতার বলেই পৌরবাসীর হৃদয়ের মানুষে পরিনত হয়েছেন। সব শ্রেণী পেশার মানুষই তাকে সম্মান করে, তার উপর আস্থা রাখে। মানুষের যে কোন বিপদ আপদে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সবার আগে। এলাকাবাসী তার দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে।