Site icon Aparadh Bichitra

লক্ষীপুর- ২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

লক্ষীপুর প্রতিনিধী: লক্ষীপুর- ২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের সহযোগী ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ মহরম হোসেন হিরনের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত সুচতুর মহরম হোসেন হিরন পাপুলের সাথে সখ্যতা গড়ার সুবাদে একের পর এক অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। এমনকি বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে নামে বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার জালে আটকা অসংখ্য লোক হয়রানি ও সর্বশান্ত হয়েছে। সূত্র মতে আরো জানা যায়, কয়েক বছর ধরে দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তা মহরম হোসেন সেগুন বাগিচার আল্পনা টাওয়ারের নির্মাতা আল্পনা বিল্ডার্স টাওয়ারের অনেক ফ্ল্যাট মালিক কে ঋণের জালে আটকে একদিকে হয়রানি করছে, অন্যদিকে সুবিধা ভোগ করছে।

ভূক্তভোগীরা এযাবৎ তার প্রভাবের কারণে কেহ মুখ খুলতে পারেনি। পাপুলের কুয়েত কান্ডের পর হতে ভূক্তভোগীরা মহরম হোসেনের বিভিন্ন অপকর্মের বিষয় মুখ খুলতে শুরু করছে। সূত্র মতে আরো জানা যায় মহরম হোসেন প্রভাব খাটিয়ে ঋণ শাখায় চাকুরী করতেন। রুপালী ব্যাংক, এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে, ঢাকা ব্যাংক, মার্কেটাইল, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক সহ কয়েকটি ব্যাংকে চাকুরী করেন। সর্বশেষ সদ্য এবি ব্যাংকে যোগদান করেছেন।

সব সময়ই ঋণ আদায় শাখায় দায়িত্ব পালন করতেন। সূত্রে আরো জানা যায়, মহরম হোসেন ভূক্তভোগীদেরকে ঋণের জালে ফেলে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে নামে বেনামে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঋণের জালে আটক করে ফায়দা হাসিল করতেন তিনি। অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতের বিচারাধীন সাংসদ পাপুলের সকল কাজের সহযোগী মহরম হোসেন জড়িত বলে জানা যায়। দুদক এর কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মকর্তাদের কে দিয়ে নোটিশ করে ভূক্তভোগীদের হয়রানি করে ও তার ফায়দা সে হাসিল করে। সম্প্রতিকালে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মহরম হোসেনকে চোখে চোখে রেখেছে বলে একটি সূত্রে দাবী করে আসছে।

এমনকি সরকারের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহরম হোসেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও জানা যায়। সূত্রে জানা যায় পাপুলের নাম ভাঙ্গিয়ে ও বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব বিস্তার করে রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকায় দুটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া ও রাজধানীর আশ পাশে অনেক জমি ক্রয় করেছেন। গত কয়েক বছরে নিজ এলাককায় লক্ষীপুরেও গড়েছেন নামে বেনামে সম্পদের পাহাড়।

একটি সূত্র দাবী করছে মহরম হোসেন তার এ সমস্ত অপকর্ম হতে পার পাওয়ার জন্য সরকারের উচ্চ মহলের সাথে ধরনা দিচ্ছে বলে জানা যায়। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মহরম হোসেনের বিভিন্ন অপকর্মের বিষয় অনুসন্ধান চলছে।