Site icon Aparadh Bichitra

হবিগঞ্জ চুনারুঘাটে ঘরে প্রবেশ করে মা-মেয়েকে ধর্ষণ, আটক দুইজন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাও ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা গরমছড়ি ফরেস্ট মাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে মা,মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় জেলা জুড়ে বইছে নানান আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। যদিও ধর্ষণকান্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মূল পরিকল্পনাকারী,এদিকে, গতকাল রোববার দুপুরে ধর্ষণে শিকার মা-মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

চুনারুঘাটে একই সাথে মা,মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় বিষয়টি এখন জেলার ‘হট ট, জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে গরমছড়ি ফরেন্ট মাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে ৩/৪ জন যুবক হানা দেয় এসময় তারা ওই ঘরে থাকা মা, ৪৫,ও মেয়ে, ২৫,কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরে এ ঘটনায় শনিবার রাতে নির্যাতিতা মেয়ে বাদী ৩ জনের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে চুনারুঘাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়, পরে পুলিশ সরাসরি অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হল, পার্শ্ববর্তী জিগদর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মামলার প্রধান আসামী শাকিল মিয়া ও একই গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া।


একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, জিগদর গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার জনৈক কন্যার সাথে বিয়ে হয় গরমছড়ি এলাকার ধর্ষণের শিকার ওই পরিবারের এক যুবকের সে ঢাকায় রেলওয়েতে চাকরি করে বলে জানা গেছে সম্প্রতি ওই যুবক ও তার পরিবারের সাথে স্ত্রীর মনমালিন্য সৃষ্টি হয়,এর পর তার স্ত্রী,,,পিত্রালয়,,, কাইয়ুম মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার পর থেকেই উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেন। এরই জেরধরে কাইয়ুম মিয়া তার কন্যাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে বার বার বললেও বিষয়টি’র কোন সুরাহা হয়নি। এক পর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিলসহ কয়েকজন যুবককে তার মেয়ের শ্বাশুড়ি ও পরিবারের সদস্যদের শাসিয়ে আসার জন্য ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী শাকিলসহ কয়েকজন যুবক ওই দিন রাত ৮ টার দিকে তাদের বাড়িতে যায় এবং শাসিয়ে আসার এক পর্যায়ে মা-মেয়েকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, ধর্ষণ শেষে লম্পটরা যাওয়ার সময় ঘরে থাকা একটি মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে চলে যায়।


চুনারুঘাট থানার ওসি,,,তদন্ত,,চম্পক দাম জানান, অভিযুুক্ত অন্যান্যদের গ্রেফতারের তৎপরতা অব্যাহৃত রয়েছে। সম্ভাব্য সকল বিষয় মাথায় রেখে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। এর সাথে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
অপরাধ বিচিত্রা