সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ দেশে করোনা মহামারির মতো ধর্ষনের যে মহামারি শুরু হয়েছে। জাতি এসব ধর্ষকদের কবল থেকে মুক্তি চায়। ধর্ষনের কারণে ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যারা আটক হয়েছে, তাদেরসহ ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি দিন। ধর্ষকরা যেন আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে যেতে না পারে। সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুবজোট কক্সবাজার জেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি অজিত কুমার দাশ হিমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় যুবজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন সরকার ছাতারতলে থেকে একশ্রেণীর দুস্কৃতিকারী ধর্ষণে মেতে উঠেছে। দ্রæত এসব ধর্ষণের ঘটনার বিচার করা না গেলে বাংলাদেশ ধর্ষণের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় যুবজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সুজন বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ধর্ষকদের দ্রুত সময়ে বিচার করতে হবে। অন্যায় যখন নিয়ম হয়ে যায় প্রতিবাদ তখন কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের মাটিতে এভাবে একটার পর একটা ধর্ষনের ঘটনা মেনে নেয়া যায়না।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় যুবজোট কক্সবাজার জেলা সভাপতি অজিত কুমার দাশ হিমু বলেন, সারাদেশে ধর্ষকরা বেপোরোয়া হয়ে গেছে। অধিকাংশ ধর্ষনের ঘটনায় সরকার দলের ছাতার নিচে অবস্থান করা লোকজন জড়িত। অথচ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন নারী তবুও দেশে নারীর প্রতি এমন বর্বর নৃশংসতা মেনে নেয়া যায়না।
দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা ধর্ষকদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় যুবজোট কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাহ জামাল পিন্টু, কক্সবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ জাকের হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমান উল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক নাছির উদ্দিন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল হক, নারী বিষয় সম্পাদক মুন্নি বেগম, সদস্য মাষ্টার অনিল দাশ, শামশুল হক, রতন দাশ, মোঃ জাবের, মোঃ কায়ছার, আবদুল করিম, জহির উদ্দিন, লিটন দাশ, আদিল হাসান, মোঃ শাহিন আলম রিয়াজ প্রমুখ।
সভায় আগামী ১১ অক্টোবর স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্মকান্ডের টাকা হরিলুট, দেশব্যাপী নারী ধর্ষন ও কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত দ্বিখন্ডিত করে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক চত্বরে মানব বন্ধন কর্মসূচীতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে আসার আহবান জানানো হয়।