Site icon Aparadh Bichitra

মডেল পরীক্ষার নামে ফি আদায়, সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে অবশেষে টাকা ফেরত প্রদান

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর আলী হায়দার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মোহাম্মদ দিদারুল আলম পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মডেল পরীক্ষার নাম করে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিক তাৎক্ষণিক ভাবে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ১৬ জন অতিথি শিক্ষকের বেতন দেয়ার জন্য এই ধরনের কৌশলে আশ্রয় নেন। সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কভিট-১৯ এর ঝুঁকি থাকা শর্তেও শত শত ছাত্র-ছাত্রীকে এক সাথে ডেকে স্কুলে এনে ফি আদায় করেন।

এবিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন মিন্টু বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমিটিকে কিছু না জানিয়ে ওনার একক সিদ্ধান্তে এধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছেন । আরেক বিদ্যুৎ সাহী সদস্য কামাল হোসেন জিকু সাংবাদিকদের জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ ফেরত প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। কোন ধরনের পরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নিতে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ ফেরত দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

প্রশ্ন উঠেছে প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলম কোন ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার দুঃসাহস দেখান । উল্লেখ্য এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ। একাধিক বার ফোন করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভবপর হয় নি।