নিখোঁজ পুত্রকে ফিরে পেতে প্রতিবন্ধী পিতার সংবাদ সম্মেলন

0
548

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী পিতা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহষ্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫ টায় লালমনিরহাট শহরের বিডিআর হাট নিজ বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মাসুম পারভেজ। ওই সময় জেলায় কর্মরত ২৫/৩০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মাসুম পারভেজ লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও পেশায় ব্যবসায়ী। আজ আমার বড় ছেলে সাদেক আলী পারভেজ সোয়াদ (২১) নিখোঁজ রয়েছে। আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমার বড় ছেলে আমার ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে সবসময় সহযোগীতা করেন। কিন্তু হঠাৎ (৪ অক্টোবর) রাত ৯টার পর থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। সে নিখোঁজের পর আমি আমাদের সকল আত্মীয় স্বজনসহ আমি বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে আমার ছেলের সন্ধান না পেয়ে (৫ অক্টোবর) লালমনিরহাট সদর থানায় একটি জিডি করতে যাই। কিন্তু জিডি করতে গিয়ে থানা গেট এলাকায় খবর পাই, আমার ছেলে সাদেক আলী পারভেজ সোয়াদ লালমনিরহাট জেলাধীন শেখ শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এন্তাজুর রহমান এর মেয়ে (১৮) কে নিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি শুনে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি।


মাসুম পারভেজ আরও বলেন, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের অনেকদিন আগ থেকে প্রেম ভালবাসার সর্ম্পক ছিল। যা আমি শুনার পর ছেলেকে অনেক শাসন করেছি। এছাড়াও ওই মেয়ের ২০১৯ইং সালের কোন এক জম্মদিনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরার সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দুজনের ফেসবুকে আপলোড করার অপরাধে শেখ শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এন্তাজুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল আইনে সাদেক আলী পারভেজ সোয়াদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৫, তাং-১৯/১০/১৯ইং। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এর মাঝে (৪ অক্টোবর) থেকে আমার ছেলে নিখোঁজ রয়েছে। সে কোথায় কিভাবে আছে তাও আমি জানি না। এ ঘটনায় আমি থানায় কোন জিডি করতে পারিনি। অথচ একটি প্রভাবশালী মহল মিথ্যা মামলার হুমকি ধামকিতে দেওয়ায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এবস্থায় আমি আমার ছেলেকে ফিরত চাই।


এ বিষয়ে শেখ শফিউদ্দিন কর্মাস কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এন্তাজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম বলেন, অধ্যক্ষের মেয়ে অপহরণ হয়েছে বলে সোয়াদের বিরুদ্ধে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া উক্ত ঘটনায় ইতিপূর্বে থানায় একটি ডিজিটাল আইনে মামলা আছে। এজন্য তাদের নিখোঁজ জিডি নেয়া সম্ভব হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 4 =