সমগ্র মানবজাতির মুক্তির দিশারি সরূপ পবিত্র কুরআন নাজিল হয়।
পবিত্র কুরআনের মূল উদ্দেশ্য হলোঃ মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করা। তাছাড়াও, পবিত্র কুরআন এই পৃথিবী ও আখেরাতে মুমিনের জন্য সম্মান বয়ে আনে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলছেনঃ “আমি তোমাদের প্রতি একটি কিতাব অবতীর্ণ করেছি, এতে তোমাদের জন্য উপদেশ রয়েছে। তবুও, তোমরা কি বোঝ না?” (সূরা আমবিয়া, আয়াত নং ১০)
এছাড়াও, পবিত্র কুরআনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ “এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা–ভাবনা করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।” (সূরা ছোয়াদ, আয়াত নং ২৯)
পবিত্র কুরআনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা আরো বলেছেনঃ “পরম কল্যানময় সেই সত্তা, যিনি নিজ বান্দার (মুহাম্মদ) প্রতি নাযিল করেছেন (সত্য মিথ্যার ফয়সালাকারী) মানদন্ড (কুরআন), যাতে করে তা বিশ্ববাসীর জন্য সতর্ককারীর ভূমিকা পালন করে।” (সূরা আল ফুরকান, আয়াত নং ১)
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ “আর আমি আপনার উপর এই কিতাব নাযিল করেছি শুধু এজন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তা তাদের জন্য আপনি স্পষ্ট করে দিবেন এবং (এটি) হিদায়াত ও রহমত সেই কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।” (সূরা আন নাহল, আয়াত নং ৬৪)
জনাব! এককথায় – সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি সকল কিছুর ক্ষেত্রে সঠিকভাবে জীবন-যাপন করার জন্য আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন।