মোঃ আহসানউল্লাহ হাসান:
রাজধানীর উত্তরা-আব্দুল্লাহপুরে থানা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পরিবহন মালিকরা। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে ট্রাফিক পুলিশ সহ ছোটবড় সব সাইজের নেতাকেই তা ভাগবাটোয়ারা করে দিয়ে থাকেন। এতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা রয়েছে চরম অস্বস্তিতে। প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু বিগত একযুগ আগেও আব্দুল্লাহপুর ও রাজলক্ষীতে চা বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৯ সালে উত্তরা আওয়ামীলীগ নেতারা আব্দুল্লাহপুরে যানজট নিরসনের জন্য মহাখালী বাস মালিক সমিতির একটি শাখা চালু করেন আব্দুল্লাহপুরে। রাস্তায় ট্রাফিকের সহকারি হিসেবে কাজ করবে এমন বাছাইকৃত ব্যক্তিদের নিয়ে এই শাখা কমিটিটি গঠন করা হয়। কমিটির সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনিত করা হয় উত্তরা ফিলিং ষ্টেশনের পাশে চা বিক্রেতা নুরুল ইসলাম নুরুকে। দৈনিক হাজিরায় কর্মীও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু নুরু উক্ত কমিটির সভাপতির সাথে সমন্বয় করে আওয়ামীলীগের ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে তার আপন ভাইকে সহ গ্রামের বাড়ী মাদারিপুর থেকে বিএপির কতিপয় ক্যাডারদের এনে যানজট নিরসনের কাজে লাগিয়ে দেন। মহাখালি থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাস প্রতি ১০/১৫ টাকা উঠানোর অনুমতি থাকলে সে থানা ও হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে লোকাল বাস সহ সব ধরনের যানবাহন প্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেন।
সুত্র জানায়, নুরু প্রতিদিন আব্দুল্লাহপুর বাসষ্ট্যন্ড হতে অন্তত ৫ লক্ষ টাকার উপরে চাঁদা কালেকশন করে থাকেন। চাঁদা উঠাতে তার পরিবারের সদস্যদেরকে একেকটি পদে নিয়োগ করেছেন। প্রতিদিনের আদায়কৃত চাঁদার টাকার একটি বড় অংশই ট্রাফিক পলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, টিআই, সার্জেন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পকেটে জমা দেন। এক সময়ের চা বিক্রেতা নুরু এখন চাঁদার টাকায় কোটিপতি। উত্তরা দক্ষিখানের ট্রান্সমিটার এলাকায় নির্মান করেছেন একটি বিল্শাবহুল ভবন, উত্তরা ৯নং সেক্টরে রয়েছে নিজস্ব ফ্ল্যাট, গ্রামের বাড়ি মাদারিপুরে রয়েছে বিলাস বহুল বাড়ি। আশুলিয়া ক্যালাসিক পরিবহন নামে রয়েছে একাধিক বাসগাড়ী, দুইটি নোহা, একটি হাইস, নিজের ব্যবহারের জন্য রয়েছে একটি এলিয়ন টয়োটা গাড়ী। ছোট ভাই হুমায়ূনের নেতৃত্বে দখল করেছেন আব্দুল্লাহপুরের ফুটপাত। হূমায়ূন ফুটপাত থেকে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকেন।