ফিরোজ খান, নোয়াখালী: নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন আ‘লীগের সাধারণ সম্পদক মাহমুদ উল্যা সেলিম। মাহমুদ উল্যা সেলিম বিকম তৃণমূল থেকে উঠে আসা সংগ্রামী চরিত্রের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ২০১৪ সালে ইউনিয়ন আ‘লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। সেই থেকে আজও জনপ্রিয়তার এতটুকুন ভাটা পড়েনি। আগাগোড়া বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শের পূজারী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাভাজন ছাত্রাবাস্থায় ছাত্রলীগের মাধ্যমে এ নেতার রাজনীতিতে আগমন। ১৯৮৯ সালে মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীতে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন।
এরপর চৌমহনী এস.এ কলেজ শাখার ছাত্রলীগে যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ৯৪ সালে বাণিজ্যে ¯œাতক মাহমুদ উল্যা সেলিম উচ্চতর ডিগ্রির জন্য ঢাকা কলেজ ভর্তি হন। সেখানেও তিনি ছাত্র লীগের এক জন সক্রিয় কর্মী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। উজ্জ্বল ভবিষৎ গড়ার হাতছানিকে উপেক্ষা করে প্রিয় দলকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে নিজ গ্রামে চলে আসেন। তখন চলছিল বি.এন.পি-জামাত জোটের ভয়াবহ দুঃশাসন। কিন্তু বিএনপি অধ্যুষিত এ অঞ্চলে ধীরে ধীরে আ‘লীগকে মেধা, শ্রম, অর্থ দিয়ে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন। এ কারণে নেতাকর্মীদের মন জয় করে নেন।
এ কর্মকান্ডের জন্য তাকে দিতে হয়েছে চড়ামূল্য। হামলা-মামলা, কারাবরণ করতে হয়েছে বহুবার। ব্যবসায়ী পিতার সন্তান হওয়ার কারণে দূদিনে কর্মীদের আগলে রেখেছিলেন। কর্মীরাও এর প্রতিদান দিয়ে চলেছেন। গতবারের দলীয় প্রার্থী নিবার্চনে ভূল সিদ্ধান্তের কারণে এ ইউনিয়নে আ‘লীগের প্রার্থীর ভরাভুবী হয়। এ বিশ্বাস তৃণমূল আ‘লীগ কর্মীদের। এ বিষয়ে এ নেতা বলেন যেহেতু আমি দলের সাধারণ সম্পাদক সেহেতু দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এবার আশা রাখি দল অর্র্র্তীতও বর্তমানের কর্মকান্ড চুলছেরা বিশ্লেষণ করলে দলীয় প্রার্থী মনোয়ন সিদ্ধান্ত আমার পক্ষে আসবে।
আর আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত আসার পর এ ইউনিয়নের আ‘লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এ ইউনিয়নে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করাই আমার প্রতিশ্রুতি। স্থানীয় জনগণ তারাও মুখিয়ে আছে এ প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পাশ করিয়ে নিয়ে আসার ।