মাদকের বলি জনি

0
518

স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকারের দুর্নীতি, জালিয়াতি, প্রতারণা, মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যে থেমে নেই মাদক সেবন, মাদক বানিজ্য। রাজধানী খিলক্ষেত থানার সাবেক ডুমনি ইউনিয়ন বর্তমান ৪৩ নং ওয়ার্ড মস্তুল বেলতলা এলাকায় গত ১৩ই অক্টোবর  জনি (২৫), পিতাঃ জাইদুল মিয়া, নামে এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। অনুসন্ধানে জানা যায়, জনি মিরপুর দারুসসালাম  ঢাকা সেন্টাল পলিট্যাকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র। করনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সে খিলক্ষেত থানাধীন মস্তুল বেলতলা দুলাল এন্টারপ্রাইজ নামক বালুর গদিতে ম্যানেজার হিসাবে চাকুরী করত। কিন্তু জনি তার পিতার নিকট জানায়, সে উক্ত গতিতে চাকুরী করবে না। কারণ জানতে চাইলে বলে উক্ত দুলাল এন্টারপ্রাইজ এর মালিক এবং খিলক্ষেত থানার মামলার এজাহার নামীও আসামি (১) মোঃ রাকিব (৩২), পিতাঃ খলিল মিয়া, (২) মোঃ আরিফ (৩০), পিতাঃ সুলতান মিয়া ও (৩) মোঃ দুলাল মিয়া (৩৫), পিতাঃ ইমান আলী সকলের বাড়ি মস্তুল বেলতলা। উক্ত আসামীগণ মাদক সেবন এবং নেশা করে তার সাথে খারাপ আচরণ করে।

তখন জনির পিতা তাকে চলতি মাসের বাঁকি সময় পর চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু গত ১২ই অক্টোবর সন্ধায় ডিউটিতে যোগদানের জন্য বালুর গদিতে চলে যায় জনি। পরবর্তিতে গত ১৩ই অক্টোবর  রাত্র আনুমানিক ২:৪৫ ঘটিকার সময় মামলার এজাহার মানীয় ০১ নং আসামী রাকিব জনির পিতাকে ঘুম থেকে ডেকে বলে আপনার ছেলে ড্রাম ট্রাকের  নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে। এ কথা বলে রাকিব চলে যায়।

এ সময় জাহিদুলের আত্মচিৎকারে আশেপাশে গ্রামের বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখতে পায় জনি ক্ষতি বিক্ষত লাশ পড়ে আছে। এ সময় উক্ত আসামীর সাথে বাকি আসামি আলাল মিয়া (২৫), আব্বাস (৫০), জাহিদ কাজী ও রাকিব খান বালুর গদির আশে পাশে অবস্থান করছেন। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনার স্থলে এসে লাশের সুরতাহাল করে মৃত্যুর কারণ  নির্ণয়ে লাশ ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে ।

এ ব্যাপারে গত ১৩ই অক্টোবর  খিলক্ষেত থানায় জনির পিতা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-১৯, তাং-১৩-১০-২০২০ মামলার বাদি জাহিদুল জানান আমার একমাত্র ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি চাই। এলাকাবাসী জানান, জনি অত্যান্ত মেধাবী ও ভালো ছেলে। তার এ অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। জনির বৃদ্ধ দাদি কান্না জনিত কণ্ঠে বলেন কিছুদিন পূর্বে আমার নাতিকে বিবাহ দিয়েছি।

আমার নাত বউয়ের কী হবে, বলে চিৎকার করে কান্না কাঠি করছিলেন আর বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর এই প্রতিবেদককে জানান, মূল আসামী সহ ৪(চার) জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকি আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের কঠোর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ ব্যাপারে আরো অনুসন্ধান চলছে।  মামলার এজাহার নামিয়  আসামীরা পলাতক থাকায় বক্তব নেয়া সম্ভব হয়নি। আগামী সংখ্যায় থাকছে বিস্তারিত।  

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 + 16 =