ঢাকা মিরপুর ১ নম্বর টোলারবাগ গণপূর্তের পানির ট্যাংকির নিচের অবশিষ্ট খালি জায়গা ক্ষমতার বলে অবৈধ ভাবে দখল করে আধা পাকা টিনসেট ঘর বানিয়ে ভাড়া খাচ্ছেন গণপূর্ত বিভাগের ই/এম ৮ ঢাকা, আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কয়েকজন মিলে। জানা গেছে, মিরপুরের দারুস সালাম থানাধীন ১ নম্বর টোলারবাগ এলাকার গণপূর্তের পানির ট্যাংকির নিচেই গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৩৫ থেকে ৩৭”টির বেশি আধা পাকা টিনসেট ছোটবড় ঘর। যা থেকে প্রতিটি ঘর ভাড়া বাবদ মাসে ৪ হাজার ৫০০”শত টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫ হাজার ২০০”শত টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন গণপূর্ত ই/এম বিভাগের কর্মকর্তা আজিজ ও কর্মচারী বারেক নানা, নসু মিয়াঁ, মারুফ, জাকির, নাসিরউদ্দীন, সোবহান ও সাইফুলসহ এরা সকলে মিলে এখান থেকে ভাড়া তুলে নিয়ে খাচ্ছেন। গণপূর্তর জায়গা থেকে অবৈধ পথে এ কয়জনের প্রতিমাসে আয় হচ্ছে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। বছর শেষে গিয়ে এর অংক দাড়াঁয় ২৪ লক্ষ টাকা, যা একই নিয়মে বছরের পর বছর ধরে চলছে এ অনৈতিক কাজ।
এ সকল অনৈতিক কর্মকান্ড দেখেও না দেখার ভান করছে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগে ৮”এর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ভাড়াটিয়ার জানান, দীর্ঘদিন যাবত তারা এখানে বাসবাস করছেন, বিদ্যুৎ , পানি, গ্যাসসহ সব কিছুর ব্যবস্থা আছে এখানে। তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই ড্রেনের দূর্গন্ধ ময়লা পানি উঠে তাদের থাকার ঘর গুলো তলিয়ে যায়। এ বিষয়ে কিছু বললেই ঘরের মালিক গণপূর্ত বিভাগের ই/এম শাখার কর্মচারী মারুফ তাদেরকে নানা হুমকি ধামকি দেয় ও ভয়ভীতি দেখায় এবং এখানে তার রয়েছে গণপূর্তর পানির ট্যাংকির নিচের জায়গাতে ৬’টি ঘর এখান থেকে তিনি প্রতিমাসে ভাড়া নেন ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়াও নাসিরউদ্দীনের রয়েছে গণপূর্তর জায়গাতে ৫’টি ঘর যা থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া তোলেন।
সোবহান তারও আছে গণপূর্তর জায়গাতে ৭’টি ঘর তা থেকে তিনি ভাড়া বাবদ তোলেন ৩৬ হাজার টাকা। সাইফুলের ৪” টি ঘর ও জাকিরের ৫”টি ঘর বারেক ও নসুুমিয়ার দুই জনের আছে গণপূর্তর ট্যাংকির নিচে ১০’টি টিনসেট ঘর আছে যা থেকে তারা এ কয়জন ভাড়া নিচ্ছেন প্রায় লক্ষ টাকার কাছা কাছি। এরা সকলেই কাজ করেন গণপূর্ত বিভাগের ই/এম ৮ ঢাকা এ তারা কর্মরত আছেন। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন, তারা গণপূর্ত বিভাগের কর্মরত থাকা অবস্থায় কি করে গণপূর্তর জায়গা দখল করে ঘর বানিয়ে ভাড়া নেয়। তাদের কর্মকর্তাই বা নিরব কেন ? তারা কেনো এর ব্যবস্থা নিচ্ছে না ? নাকি দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তাদের কাছে থেকে তারাও সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে এমন প্রশ্ন এখন অনেকের ? ভাড়াটিয়ারা বলছে, ঘরের মালিক এ সকল সমস্যার সমাধান করবে কিন্তু কবে ? তা এখনো বলেননি ঘরের মালিকরা। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগের ভেতর দিয়ে মাটি খনন করে সিটি কর্পোরেশনের ফুটপাতের রাস্তা কেটে কাজ করছে গণপূর্ত দুই কর্মচারী পরিচয় দিয়ে জাকির ও মারুফ এরা দুইজনসহ ও কয়েকজন লেবার ছিলেন।
তবে সিটি কর্পোরেশনের কোন পারমিশন আছে কি না ? জানতে চাইলে মারুফ বলেন, তিনি গণপূর্ত বিভাগের একচেঞ্জের অনুমতি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার ফুটপাত কাটছেন। গণপূর্ত একচেঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার এই ফুটপাত কাটার অনুমিত দিতে পারে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে, কোন কথা না বলেই সোজা হাটা শুরু করেন। তবে এ বিষয় মিরপুর গণপূর্ত ২-এর কর্মকর্তা উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাছুম বিল্লাহ্ কাছে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি বেপারে আমি অবগত হলাম।
এখন এর ব্যবস্থা নিচ্ছি, অপরাধ করে কেউ পার পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও তাকে অফিসে পাওয়া না গেলে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এ কারনে তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।