পটুয়াখালীতে লঞ্চ স্টাফদের হাতে বন্দর কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

0
656

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালী লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও লঞ্চ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে লঞ্চ স্টাফদের হাতে বিআইডব্লিউটি এ’র সহকারী পরিচালক ও নৌ-বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান লাঞ্ছিত হয়েছেন। পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান অভিযোগ করেন, গত সোমবার (২ নভেম্বর) বিকালে পটুয়াখালী নদী বন্দরে এম ভি সত্তার খাঁন-১, এম ভি আওলাদ-৭, সুন্দরবন -১৪, রয়েল ক্রুজ-২ ও জামাল-৫ পটুয়াখালী নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টার্মিনানে ভেড়ানো পাঁচটি লঞ্চে যাত্রী ওঠানোর তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু করে স্ব স্ব লঞ্চস্টাফরা। উচ্চকন্ঠে ডাকা-চিৎকার ও টানাহ্যাচড়া করে যাত্রী ওঠানোর প্রতিযোগিতায় অনেক যাত্রী হয়রানীর শিকারও হচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে এসব অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা বন্ধে টার্মিনালের পল্টুণে গিয়ে স্টাফদের বারণ করতে গেলে সত্তার খাঁন-১ ও আওলাদ-৭ এর স্টাফরা তেড়ে এসে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শারীরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। জিডি নং ১২৬/৩ নভেম্বর-০২০।

নৌ-বন্দর সহকারী পরিচালক আরও বলেন, বিষয়টি আমি তাৎক্ষনিকভাবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ওসিকে অবহিত করেছি। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পটুয়াখালী নদী বন্দরে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান,

সোমবার বিকালে সত্তার খাঁন-১ ও আওলাদ-৭ এর স্টাফরা তাদের লঞ্চে যাত্রীদের তুলতে হাত ধরে টানাটানি করছিলো। তখন নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান স্টাফদের নিষেধ করলে ওই দুই লঞ্চের স্টাফরা তাকে ঘিরে ফেলে। এসময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে অফিস কক্ষে পৌছে দেয়।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ জিডির সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, অভিযোগের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen + 8 =