Site icon Aparadh Bichitra

সংবাদ প্রকাশের জের বারবার মিথ্যা হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে সংবাদকর্মী স্বাধীন সরকার

অপরাধ বিচিত্রা:গুলশান-বনানী এলাকায় সংবাদকর্মিরা বারবার কেন আক্রান্ত হচ্ছেন? কেন তরুন সংবাদকর্মি স্বাধীনকে দুর্বৃত্তরা প্রাণে মেরে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে? সেদিকে নজর ফেলতেই নেপথ্যের নানা কাহিনী বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তারুণ্যদীপ্ত স্বাধীন কোনো কিছু না বুঝেই বনানীর আন্ডার ওয়ার্ল্ডের স্বঘোষিত গডফাদারের ডেরায় থাবা বসিয়েছেন ।কাউন্সিলর পরিচয়ধারী ওই দুর্ধর্ষ অপরাধীর কোটি টাকার নির্ঝঞ্জাট চাঁদাবাজিতে বাধ সেধেছেন তিনি। সেসব নিয়ে রিপোর্ট করায় প্রশাসনিক নজরদারি বিশেষ করে রর্যাবের তৎপরতা শুরু হয়েছে; ফলে রিকসার টোকেন বাণিজ্য কেন্দ্রীক লাখ লাখ টাকা আদায়ে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। গত দুই মাস ধরেই নিশ্চিত আয়ে বাধা পড়ায় বেজায় ক্ষেপেছেন গডফাদরা ফলে যা হবার তাই হয়েছে। গডফাদারের আঙ্গুলী হেলনেই সব অপরাধীরা জোট বেধে হামলে পড়েছে, তাতে সাংবাদিক স্বাধীনের প্রায় কুপোকাত হবার দশা। সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় আক্রমণ আর নির্যাতনের যাঁতাকলে পিস্ট স্বাধীনের দেহের বহুস্থান থেতলে গেছে, ভেঙ্গে গেছে পাজরের হাড়। এবার তার যেন জানটাও যায় যায়….. যা ঘটে গেছে।

বাংলাদেশের স্বনামধন্য অপরাধ বিচিত্রা ম্যাগাজিনে গুলশান-বনানীসহ কড়াইল বস্তি এলাকার মাদক বাণিজ্য, রিকসা’র টোকেন বিক্রির নামে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি, চিহ্নিত দখলবাজ-জুলুমবাজ অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের জের হিসেবে বারবারই আক্রান্ত হচ্ছেন স্বাধীন।

তরুণ এ সংবাদকর্মি বরাবরই সাহসী ভূমিকা রাখেন, কখনো কোনো কৌশলের ধার ধারতে চান না। অপরাধে যুক্ত দুর্বৃত্তদের নামধাম প্রকাশেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না তিনি। কড়াইল অপরাধের আখড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে ! কড়াইল বস্তিসহ বনানী জুড়ে লাগামহীন অপরাধ করে বেড়ানো মোমিন, চক্রের বিরুদ্ধে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ক’দিন আগেই স্বাধীনকে থানা কোর্টকাচারী হয়ে জেলখানাও ঘুরে আসতে হয়েছে। চিহ্নিত অপরাধী মোমিনের প্রশ্রয়দাতা বনানীর তৎকালীন সাবেক ওসি ফরমান আলীর ভেলকিবাজীতে স্বাধীনের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের নাটক হয়েছে (যা সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে) এবং সেই ঘটনায় মিথ্যা সাজানো মাদক মামলা মাথায় নিয়ে নিরপরাধ এ সংবাদকর্মিকে জেলহাজতের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

 জেলখানা থেকে জামিনে বেরিয়ে সেই ইয়াবা নাটকের নেপথ্য কাহিনীও তিনি প্রমানাদিসহ ফাঁস করে দিয়েছেন।এরপরই তিনি শুরু করেন রিকসার টোকেন বাণিজ্য ঘিরে আরেক গডফাদারের অপরাধ কাহিনী।

 ফলে গডফাদারের আঙ্গুলী হেলনে সংবাদকর্মি স্বাধীনকে তারই ক্যাডাররা ধরে নিয়ে টানা পাঁচ ঘন্টা অবৈধ অস্ত্র ঠেকিয়ে বর্বর নির্যাতন চালায়। পুলিশ পাহাড়ায় চালানো এ নজিরবিহীন নির্যাতনের ঘটনায় মুমূর্ষু স্বাধীনকে উদ্ধারও করেছে পুলিশ, অথচ সে ব্যাপারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটা জিডি পর্যন্ত রেকর্ড হয়নি বনানী থানায় তার রহস্যময় কারণ কি এমনটাই এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে।

সংবাদকর্মীদের যা দরকার : কোথাও সাংবাদিক নির্যাতন হলেই বাদ প্রতিবাদ, নিন্দার ঝড় বইয়ে দেয়া হয়, কখনো আরেক ধাপ এগিয়ে আয়োজন করা হয় মানববন্ধনের।কিন্তু প্রতিক্রিয়াহীন এসব কর্মকান্ড দেখে শুনে দুর্বৃত্তরা মুখ টিপে হাসে, বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শ করে।এরচেয়ে অনেক বেশি কার্যকর উদ্যোগ হতে পারে এ প্রস্তাবনাটি। কোনো সংবাদকর্মিকে যে সংবাদের জন্য বা যে অনুসন্ধানের জন্য আঘাত করা হয়-আমাদের সকলের উচিত সংবাদকর্মির অসমাপ্ত কাজটি আরো সমন্বিতভাবে সম্পাদন করা। যেমন গুলশান-বনানীর মাদক বাণিজ্য, টোকেনের নামে ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজি, দখলবাজ অপরাধীদের নানা দৌরাত্ম্য বিরোধী যেসব লেখালেখির জন্য স্বাধীনের উপর হামলা হয়েছে-আসুন আমরা সবাই মিলে সেসব অপরাধের বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবেদন প্রস্তুত ও প্রকাশ করতে থাকি।