সারা পৃথিবী যেখানে করোনার ভয়াল থাবায় নিষ্পেষিত যখন আতঙ্কে ঘরের বাইরে যেতে চাইলেও যেতে পারেনি মানুষ, যেতে পারেনি কর্মস্থল কিম্বা কর্মক্ষেত্রে। নিজের ইচ্ছাশক্তির সাথে বিরোধে লিপ্ত হয়ে নিজ পরিবার পরিজনদের কথা চিন্তা করে ঘরেই অবস্থান করেছেন করোনাকালীন সময়ে। ঠিক সেই মুহুর্তে কেবল মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে কিছু মানুষ সকল বাঁধাকে ভ্রুক্ষেপ করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন তখন মানবতর জীবন যাপনে দিনাতিপাত করা মানুষগুলোর পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই ছিল মূল লক্ষ্য।
আর লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নিজ অর্থায়নে নিন্ম আয়ের দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে এসেছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বর্পূন দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি কখনো জনবান্ধব পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম)। তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। নি:সন্দেহে তিনি সর্বমহলে ভুয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মহামারী করোনায় জনগনের নিরাপত্তা বিধানের মতো যতগুলো চ্যালেঞ্জ সরকারের সামনে উপনিত হয়েছে তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় হলো অপরাধ নিয়ন্ত্রন ও অপরাধ দমন। করোনাকে পুঁজি করে মাদকদ্রব্যের ব্যপক বিস্তারের পূর্বাভাস ছিল, সরকারী গোয়েন্দা সংস্থাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিরাসহ দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে সামাজিক অপরাধের লাগাম টেনে ধরার গুরুদায়িত্ব বর্তায় দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ওপর। আর সেই দুরহ কাজটি বরগুনার পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) সুচারুভাবেই পালন করেছেন করোনাকালীন সময়ে। তিনি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করেছেন সকল অপরাধমূলক কমকান্ডকে। বিশেষ করে জেলা প্রশাসকের সাথে একাতœ হয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন।
একইসাথে যেখানে সরকার জনগনকে ঘরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল বারংবার, সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে ঠিক তখনই পুলিশ বাহিনী সাধারণ জনগনকে ঘরে থাকার নিমিত্তে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে অভিযান প্রেরন করে আইন অমান্যকারীদের গৃহে থাকার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি করে সরকারী কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে গিয়েছেন এবং সফলও হয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম)।