Site icon Aparadh Bichitra

আইনজীবী বরুন কুমারের বেআইনি কর্মকান্ড: তথ্য গোপন করে…..

স্টাফ রিপোর্টারঃ ইসলাম ধর্মের ভিত্তিতে বিয়ে রেজিষ্ট্রিশনের জন্য কাজী অফিস প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। বর-কনের সম্মতিতে একজন ইমাম বিবাহ পড়ানোর পরে কাজী অফিসের কাজী তাহা বিভিন্ন ধাপে নথিভুক্ত থাকেন। তবে অন্য ধর্মের লোকদের বিবাহ রেজিষ্ট্রিশনের জন্যও সুনিদিষ্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুই ধর্মের নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলে বিশেষ বিবাহ আইন-১৮৭২ অনুযায়ী তাদের বিবাহ রেজিষ্ট্রিশন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে উক্ত নারী ও পুরুষের ধর্ম ভিত্তিক পরিচয়ের জন্য রাষ্ট্রীয় পরিচয় পত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এডভোকেট বরুন কুমার বিশ্বাস দুইজন মুসলিম নারী পুরুষের বিবাহকালীন সময়ে তথ্য গোপনের মাধ্যম ‘বিশেষ বিবাহ আইন-১৮৭২’ এর অধীনে নোটারী পাবলিকেশন দ্বারা রেজিষ্ট্রিশন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। অথচ এই নোটারী পাবলিকেশন রেজিষ্ট্রিশনটি দ্বারা বিবাহেরই বৈধতা পাচ্ছে না এক তরুনী।

জানা গেছে, রাজধানীর হাতিরপুল মোতালেব প্লাজায় এডভোকেট বরুন কুমার বিশ্বাসের অফিসে ২৯ জানুয়ারী-২০১৯ তারিখে সিঙ্গাপুর প্রবাসী সোনিয়া আক্তার ও ইসলামি ব্যাংকের রামপুরা শাখার ম্যানেজার মনিরুজ্জামানের বিবাহবন্ধন নোটারী মুলে রেজিষ্ট্রিশন করেন।বিবাহ রেজিষ্ট্রেশনের সময় পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য বর-কনেকে তাদের জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হয়। এসব কাগজপত্রের তথ্যানুসারে নাম, ঠিকানা, জাতীয়তা, জন্মতারিখ, বয়স, ধর্ম সহ আনুসাঙ্গিক বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ করতে হয়।

সোনিয়া পারভীন ও মনিরুজ্জামান মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও এডভোকেট বরুন কুমার বিশ্বাস তাদের বিবাহটি বিশেষ বিবাহ আইনে রেজিষ্ট্রিশন করেন। তবে দুজনেরই ধর্মের বিষয়টি উল্লেখ না করিয়া তথ্য গোপন রাখেন। আর একারনে সোনিয়া আক্তার এখন মনিরুজ্জামানের দ্বারা প্রতারিত হয়ে এই বিবাহ রেজিষ্ট্রিশন কাগজ বলে কোন সুবিচার পাচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ন তথ্য গোপন রাখার কারনে বিবাহ রেজিষ্ট্রিশন পত্রটি সোনিয়া আক্তার জন্য কোন কাজেই লাগছে না।

এব্যাপারে জানতে চাই এডভোকেট বরুন কুমার বিশ্বাস বলেন, কিছু জানতে চাইলে মনিরুজ্জামানকে জিজ্ঞেস করুন, আমিও দুই তিনটা পত্রিকার সাংবাদিক। সঠিক নিয়ম মেনেই কাজটি করেছি। আপনে আমার অফিসে আসবেন, চায়ের দাওয়া রইলো।