Site icon Aparadh Bichitra

পৌরসভা নির্বাচনে উপলক্ষে ইভিএমে মকভোটিং নভেম্বরের মাঝামাঝি

আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে পৌরসভার নির্বাচন নেয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে কয়েক ধাপে এই নির্বাচন করার পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি।

আসন্ন এই পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণবিষয়ক মকভোটিং, প্রদর্শনী ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম নভেম্বরের মাঝামাঝি করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।

পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রাক-নির্বাচন ও তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইসির করা প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কর্মপরিকল্পনায় ইসি সচিবালয়ের বিভিন্ন অনুবিভাগ, অধিশাখা ও শাখা এবং নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বা বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, নভেম্বরের মাঝামাঝিতে পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য যেসব পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে ইসি সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোয় ব্যবহার অনুপযোগী ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, ফটোকপিয়ার ইত্যাদি আইসিটি মালামাল পরিবর্তন, মেরামত/ক্রয় ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন করা। হেলিকপ্টার সহায়তার প্রয়োজন হবে এমন ভোটকেন্দ্র বাছাই করে সম্ভাব্য কেন্দ্র, কক্ষ সংখ্যা, নিকটবর্তী হেলিসট, যাত্রা শুরু ও শেষ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য জানানোর জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িকে নির্দেশ প্রদান করা। নিকটবর্তী হেলিসটি নির্দিষ্ট করতে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ সংখ্যার ভিত্তিতে যাতায়াতের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্ধারণ করে হেলিকপ্টার সহায়তা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা।

বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচারের বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাথে সভা অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা। মূলত এটা করা হবে ভোটগ্রহণের ১৫ দিন আগে। নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্রের সাথে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ছবিছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা।

এছাড়াও আরও বেশকিছু কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে মধ্য নভেম্বরে।

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে যেসব কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে খাতভিত্তিক ও দফাওয়ারি অর্থ বরাদ্দের হার নির্ধারণ, বিভাজন তালিকা প্রস্তুত এবং দুর্গম ও বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করা এবং সেই অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবনা প্রণয়ন করা। নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবনা প্রণয়ন করা। নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহের জন্য মাঠ পর্যায়ে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের জন্য প্রস্তাবনা প্রণয়ন করা।

নভেম্বরের শেষার্ধে নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের জন্য প্রস্তাবনা প্রণয়ন করা হবে বলেও জানা গেছে প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা থেকে।