**আমার জীবনে কিছুই ঠিক নেই, রাত-দিন ২৪ ঘন্টাই গুনাহে ডুবে থাকি।
** অথবা, আমার জীবনে সবই ঠিক আছে। তবে সবগুলোই মানুষের চোখে, লোকচক্ষুর আড়ালে গুনাহে জর্জরিত থাকে হৃদয়টা।
** আমার কখনো এ অনুভূতিই জাগে না যে আমাকে একদিন মরতে হবে, তাই তার আগেই অনুতপ্ত হয়ে জীবনটাকে সুন্দর করে গুছিয়ে নিতে হবে।
** অথবা, আমার প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় আল্লাহর কথা, মৃত্যুর কথা। তবে নফসের প্ররোচনায় অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গুনাহ করে ফেলি
** হয়তো আমি একদিন চিরতরে সমস্ত গুনাহ থেকে তাওবা করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসব। এরপর আর কখনো ফিরে যাব না অতীতের দিকে
** অথবা, আমি যতই হিম্মত ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়েই তওবা করি না কেন, নিজের ওপর এ নিশ্চয়তা নেই যে সামনে আর এই গুনাহ হবে না
গুনাহের এই দুটো চিত্রেই অঙ্কিত আমাদের সবার জীবন। কেউ হয়তো একদমই ভালো না, কেউ আবার ভালো হয়েও যেন ভালো না। গুনাহ যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস হারিয়ে তাই হতাশ হয়ে বসে পড়া নয়।
কেননা রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, “প্রতিটি আদম সন্তানই গুনাহগার, তবে তার মধ্যে উত্তম হলো তারাই যারা তওবা করে নেয়” (ইবনে মাজাহ: ৪২৫১)
গুনাহ করে ফেলাটা দোষের না। দোষণীয় হলো তওবা না করে সেই গুনাহের উপরই বসে থাকা।
ফিরে এসো আল্লাহর কাছে, হাজারবার গুনাহ করে ফেললেও আল্লাহর পথে হতাশ হয়ে বসে পড়া আমার সাথী- সঙ্গীদের আমিও ডেকে বলবো: ঊদ ইলাল্লাহ !! “ফিরে এসো আল্লাহর কাছে…