দোয়া কবুলরে অলৌককি গল্প

0
2211

আলহামদুলিল্লাহ,আমার দোয়া কবুল হয়েছে। কিছু দিন ধরে পারিবারিক সম্যাসার টেনশনে ছিলাম,কিন্তু ইসমে আজম পড়ে দোয়া করে আল্লাহর কাছে চাওয়াতে সম্যাসা সমাধান হয়েছে। যেহেতু পারিবারিক সম্যাসা,সেহেতু ঘটনাটি তুলে ধরতে পারলাম না।
তবে আপনাদের জন্য দোয়াটা নিচে দেয়া হইলো, আমি যেভাবে সংগ্রহ করে মুখস্ত করে, দোয়া করেছি, সেভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

~★★★ #ইসমে_আযম ★★★~
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ أَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ
“আল্লহুম্মা ইন্নী আসআলুকা, আন্নী আশহাদু আন্নাকা, আংতাল্লহু লা ইলাহা ইল্লা আংতা, আহাদুস সমাদ, আল্লাযি লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ” -[আবু দাউদঃ- ১৪৯৩]


দোয়া কবুল হবে এই খালেস নিয়তে ইসমে আযম পড়ে আল্লাহ তা’য়ালার কাছে চাইতে দেরি! কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালা দিতে দেরি করেন না। “সুবহানাল্লাহ” 💖
দোয়াটি মুখস্থ করার ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি হলো, শব্দগুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে মুখস্থ করা। যেমনঃ- প্রথমে এই শব্দগুচ্ছ মুখস্থ করা, আল্লহুম্মা ইন্নী আসআলুকা, এরপরে আন্নী আশহাদু আন্নাকা, তারপরে আংতাল্লহু লা ইলাহা ইল্লা আংতা, অতঃপর আহাদুস সমাদ…..এইভাবে একটু একটু করে পুরো দোয়াটি মুখস্থ করা সম্ভব ইন শা আল্লাহ।


ইসমে আযম সম্পর্কে অন্য একটি হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসমে আযম এই দু’টি আয়াতে রয়েছেঃ-
(১) সূরা বাক্বারাহ এর ১৬৩ নং আয়াতে কারীমায় এবং
(২) সূরা আলে-ইমরানের প্রথমাংশে (অর্থাৎ ১ ও ২ নং আয়াতে কারীমায়) -[আবু দাউদঃ- ১৪৯৬]
(১) وَاِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ
“ওয়া ইলা-হুকুম ইলা-হুওয়াহিদ, লা~ ইলাহা ইল্লা হুওয়ার রহমানুর রহীম”।
অর্থঃ- তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তিনি দয়ালু, পরম দয়াময়।
-[সূরা আল-বাক্বারাহঃ- ১৬৩]
(২) الٓمّٓ ۚۙ اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۙ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُؕ
“আলিফ- লাম~ মীম~, আল্লহু লা~ ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুম।
অর্থঃ- আলিফ-লাম-মীম, তিনি সেই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।
-[সূরা আলে-ইমরান আয়াতঃ- ১,২]

★ ইন শা আল্লাহ আমরা সকলেই উপরোক্ত দোয়া এবং আয়াতসমূহ মুখস্থ করব এবং নামাজ শেষে কিংবা নামাজের বাহিরে যেকোনো সময় দোয়া করার পূর্বে উক্ত দোয়াগুলো পড়ে আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দোয়া করবো।
হাদীসে পাকে নবীজি (সাঃ) বলেছেন, যখন তুমি নামায শেষ করে বসবে তখন শুরুতে আল্লাহ তা’য়ালার যথোপযুক্ত প্রশংসা করবে এবং আমার উপর দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করবে, অতঃপর আল্লাহ তা’য়ালার নিকট দোয়া করবে, তোমার দোয়া কবুল করা হবে।
-[জামে আত-তিরমিজি হাদিস নং- ৩৪৭৬]

(১) প্রথমে আল্লাহ তা’য়ালার প্রশংসা আদায় করা, (এক্ষেত্রে ছানা অথবা “সূরা ফাতিহা” নতুবা “আয়াতুল কুরসী” কিংবা “ইয়া রব্বী লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগী লিজালালী ওয়াজহিকা ওয়া আঊজিমি সুলতনিক” ইত্যাদি প্রশংসা বাক্য দ্বারা আল্লাহ তা’য়ালার প্রশংসা আদায় করা)
(২) এরপর রাসূল (সাঃ) এর উপর দূরুদ ও সালাম পেশ করা, (এক্ষেত্রে নামাজের দুরূদটি পড়া উত্তম)
(৩) অতঃপর উপরে উল্লেখিত ইসমে আযম পড়া,
(৪) তারপর দোয়া করা এবং দোয়া শেষে পুনরায় দুরূদ শরীফ পড়া।

★ এভাবে ধৈর্য্যের সাথে নিয়মিত আমল করতে পারলে ইন শা আল্লাহ! ইন শা আল্লাহ!! ইন শা আল্লাহ!!! আল্লাহ তা’য়ালা অবশ্যই আমাদের দোয়াগুলো কবুল করবেন।
আমরা হলাম আল্লাহ তা’য়ালার প্রিয় বান্দা, আল্লাহ তা’য়ালা যদি আমাদের দোয়া কবুল না করেন তাহলে আর কার দোয়া কবুল করবেন বলুন? তিনিই তো আমাদের রব, আমাদের মালিক, তিনি চাইলে মূহুর্তের মধ্যে আমাদের চাওয়াগুলোকে পাওয়াতে রূপান্তর করে দিতে পারেন
বিঃ দ্রঃ- দোয়া কবুল হওয়ার জন্য যে কোনো প্রকার হারাম থেকে বিরত থাকুন এবং সকল প্রকার কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে হেফাজতে রাখুন। সর্বদা তওবা ও ইস্তিগফারে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন!
আপনার দোয়া কবুল হবেই হবে ইন শা আল্লাহ!!
সকলের কাছে দোয়া কামনা করি, আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন ইন শা আল্লাহ, জাযাকুমুল্লাহু খইরন জাযাহ,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − five =