হিজলায় কাবিন নামা থাকা সত্বে ও স্ত্রী’কে অস্বিকার

0
759

বরিশালের হিজলা উপজেলার পুরাতন হিজলার বাউশিয়া, কাহালির হাট এলাকার আয়ুবালী রাড়ীর পুত্র বড়জালীয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকগ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রিয়াজ (৩৫) এর স্ত্রী সনিয়া’কে গত ১২/০৭/২০২০ইং তারিখে শরিয়তপুর এলাকায় গোসাইর হাট বাজারের কাজী অফিসে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক স্বাক্ষীগনের সম্মুখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং বিবাহ বন্ধনের চার মাস পেরোতে না পেরোতেই সনিয়াকে স্ত্রী’র সিকৃতি দিতে নারাজ রিয়াজুল। রিয়াজুল বিয়ের পরে কিছুদিন সনিয়া’কে নিয়ে শরিয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকায় বসবাস করার পরে রিয়াজুল নিজ এলাকা হিজলায় চলে আসে এবং সনিয়াকে পার্শ্বপবর্তী থানা মুলাদীতে একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে থাকার বন্দব্যস্ত করে দেন। রিয়াজুল নিজ বাড়ি হিজলায় আসা যাওয়া করলেও সনিয়াকে কখোনই তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসত না বরং সনিয়া তার শ্বশুর বাড়ি যেতে চাইলে নানা অযুহাত দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যেত রিাজুল এবং পর্যায়ক্রমে সনিয়াকে মারধর করতে আরম্ভ করে।


বাড়িওয়ালা সবুজ এর স্ত্রী মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করেন তিনি বলেন সনিয়াকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তার বাসা ভাড়া নেয় রিয়াজুল এবং তিনি আরও বলেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ঝাটি হতো পালাক্রমে রিয়াজুল সনিয়াকে মারধর করত। রিয়াজুলের স্ত্রী সনিয়া বলেন সনিয়ার কাবিন নামাকে স্বামী রিয়াজুল অস্বিকার কারায় আমি নিরূপায় হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টার্মিনাল বরিশাল এ একটি মামলা দায়ের করি।


সনিয়ার অভিযোগ সে চার মাসের আতœসত্তা থাকাকালীন সময়ে স্বামী রিয়াজুল তার উপর শারিরীক নির্যাতন করার কারনে তার বাচ্চাটি আর দুনিয়ার মুখ দেখতে পেল না। বিবাহ গোপন রেখে এক মাস পূর্বেই রিয়াজুল পুনঃরায় বরিশালে আরেকটি বিবাহ করেন এ বিষয়ে রিয়াজুলের বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সনিয়ার বিবাহের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। সাংবাদিকরা সনিয়ার পিতৃ পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন মৃত মুক্তিযোদ্ধা ডিপুটি কমান্ডার আবুল হোসেন রাড়ী তার পিতা।

সনিয়া বলেন জন্ম দাতা বাবা তাকে পরিচয় না দেয়ায় আবু বকর গাজী সনিয়া’কে লালন পালন করেন। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে যে রিয়াজুল এর বাবা বাউশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক ও বড়জালীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এবং পুরাতন হিজলা বাজার কমিটির সভাপতি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − 10 =