জনতা ব্যাংকের পিয়ন থেকে সিবিএ নেতা হয়ে এখন শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা বনেছেন রফিকুল ইসলাম। অসহায় পরিবার থেকে উঠে আসা রফিকুল এখন হাজার কোটিপতি। টাঙ্গাইলের নিজ গ্রামে আড়াই শ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মসজিদ ও কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। অসম ক্ষমতার অধিকারী এই রফিকুল ইসলামজাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পরও তিনি বর্তমান সিবিএ কমিটির উপদেষ্টা। তার আঙ্গুলী হেলনেই চলে ব্যাংকের যাবতীয় কার্যক্রম। ২০০৭ সালের পর থেকে নির্বাচন না হলেও নিজের ইচ্ছেমাফিক কমিটি গঠন করে সিবিএ পরিচালনা করছেন তিনি।
এননটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউনুস (বাদল) কে ঋণ পেতে পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক করে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন সিবিএ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলে ব্যাংক সূত্র জানা যায়। রফিকুল ও বাদলের মধ্যে গোপন সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে নির্মিত হচ্ছে ২০১ গম্বুজের নয়নাভিরাম মসজিদ। মসজিদের প্রধান দরজায় ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। আজান প্রচারের জন্য নির্মাণ করা হবে দেশের সবচেয়ে উঁচু মিনার। উচ্চতার দিক দিয়ে মিনারটি ৪৫১ ফুট, যা ৫৭ তলার সমান। প্রায় ১০০ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরে মসজিদের পাশে থাকবে আলাদা ভবন। ওই ভবনে থাকবে দুস্থ নারীদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা। দানবীর’ ইউনূসের সহায়তায় সিবিএ নেতার বাড়িতে নির্মাণাধীন মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন।
এই মসজিদের পাশেই নির্মাণ হয়েছে বাদল হেলিপ্যাড। সম্পর্কের সূত্র ধরে ইউনুস (বাদল)ও সেখানে কোটি কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন বলে জানা যায়। বাদলেরও অর্থবিত্তে ফুলে ওঠার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত রয়েছে। নরসিংদীর অসহায় পরিবারের ছেলে ইউনুস বাদল বাসের হেলপার থেকে বিদুৎ অফিসের নিছক কর্মচারী পদে যোগ দেন জীবিকা নির্বাহের তাগিদে। সেখান থেকেই রাতারাতি ব্যবসায়ীতে পরিনত হন ইউনুস বাদল। একপর্যায়ে বন্ধু রফিকুলের গোপন সহায়তায় জনতা ব্যাংক থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গড়ে তোলেন এনন টেক্স গ্রুপ। এই গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, লামিসা স্পিনিং, ইয়ার্ন ডায়িং, জুভেনিল সোয়েটার্স, সিমি নেট টেক্স, সুপ্রভ কম্পোজিট, এফকে নিট, সিমরান কম্পোজিট, জারা নিট টেক্স, গ্যাট নিট টেক্স, জেওয়াইবি নিট টেক্স, এম এইচ গোল্ডেন জুট, জ্যাকার্ড নিট টেক্স, স্ট্রাইগার কম্পোজিট, আলভি নিট টেক্স, এম নুর সোয়েটার্স, গ্যালাক্সি সোয়েটার, জারা লেভেল অ্যান্ড প্যাকেজিং, সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং, শাইনিং নিট টেক্স, জারা ডেনিম, সুপ্রভ রোটর স্পিনিং।