পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের বদলির খবরে অশ্রুসিক্ত বরগুনাবাসী

0
503

রাশেদুল ইসলাম: “যেতে নাহি দিব।” হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়!,বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন আপনার প্রতি অবিরাম ভালোবাসা।বরগুনাবাসী সবসময় আপনার পাশে ছিল ,আছে এবং থাকবে।বরগুনা জেলা থেকে আপনার বিদায়ের ঘন্টা শোনার পর মনের অজান্তে চোখে জল চলে আসলো। তবুও মনের একটা তৃপ্তি রয়েছে-কারণ প্রিয় পুলিশ অফিসার এখন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার।দায়িত্বটা হয়তো আরও বেশি।আর চ্যালেঞ্জটাও বেড়ে গেল।তবে হলফ করে বলতে পারি-দায়িত্ব যত বাড়বে আপনার সফলতার হারও ততো বাড়বে।”-বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন (পিপিএম) এর বরিশাল জেলায় বদলীর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের আবেগের কথাগুলো এভাবেই লিখেন।সাইফুর রাফি নামে একজন লিখেছেন,‘শ্রদ্ধেয় পুলিশ সুপার মহোদয় বরগুনা জেলায় ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন।’ সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম লিখেছেন,“বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর গর্বিত চৌকস এক পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন (পিপিএম), যার দুরদর্শী ও বিচক্ষণতার কারনে খুব অল্প সময়ে বরগুনা জেলায় জঙ্গি, মাদক সন্ত্রাস, চোর ডাকাত থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করেছেন, অনেকটা সফলও হয়েছেন, এক কথায় বলতে গেলে সুপার হিরো বনে গিয়েছিল বরগুনা বাসীর কাছে খুব অল্প সময়ে। বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলা সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলাই ধৈর্য্যের সাথে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছেন এবং সফলও হয়েছেন। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে যে সকল পুলিশ সদস্য জড়িয়ে পড়েছিল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্হা গ্রহন করে দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। অন্যায়ের কাছে তিনি ছিলেন কঠোর থেকেও কঠোর, তাই আজ অনিয়মের সাথে যুক্ত থাকা পুলিশ থেকে শুরু করে সকলের মাঝেই আমলী পরিবর্তন এসেছে।

অনেক নেতা কর্মীর কাছে অসহায় দরিদ্র খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের ভরসা পাচ্ছিল না ন্যায় বিচারের, সেখানে জনবান্ধব পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন (পিপিএম)’র কাছে যেয়ে কেউ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হননি, পেয়েছেন ন্যায় বিচার । পেয়েছেন বিশ্বাস আস্থা ও ভরসাস্থল, তিনি সকলকে বটবৃক্ষের ছায়ার মতো ভালোবাসার চাদরে ডেকে রেখেছিলেন। সার্বক্ষণিক সকলের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক এবং মানবিকতার পরিচয় বহন করে এসেছেন সার্বক্ষণিক। তাই আজ মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে সকলের কাছে সুপরিচিত প্রিয় মুখ। সেই মানবতার ফেরিওয়ালা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন (পিপিএম) বরগুনা বাসীকে মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে চিরাচরিত নিয়মে বরগুনার চেয়ে বড় জেলা বরিশালে দায়িত্ব পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

যেখানেই যাবেন সেখানেই ভালো থাকবেন দোয়া ও শুভকামনা রইল প্রিয় অভিভাবক মোঃ মারুফ হোসেন (পিপিএম) আপনার প্রতি। আপনার মতো আদর্শবান পুলিশ বাহিনীর গর্বিত পুলিশ সুপার, আপনার জনবান্ধব কর্মকাণ্ড নিয়ে দু-কলম লেখার সৌভাগ্য হয়েছে বিধায় আমি গর্বিত।” এভাবেই বরগুনাবাসী প্রায় সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনকে নিয়ে ভালো লাগার স্মৃতি শেয়ার করে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন। তুলে ধরছেন তার সফলতার কথাগুলো। পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এতটাই সুনাম অর্জন করেছেন যে,তা শুধু বরগুনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে নি।

তার সফলতার গল্প ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশজুড়ে। তাই তো বরগুনাবাসী পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের বিদায় মেনে নিতে না পারলেও বরিশালবাসী কিন্তু অপেক্ষায় আছে তাদের নতুন পুলিশ সুপারকে বরণ করে নেয়ার আশায়।তারাও বরগুনার মতোই সাজাতে চায় বরিশাল জেলাকে। আবির হোসেন নামে একজন লেখেন, ‘স্যারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। স্যারকে আমার নিজ জেলায় স্বাগতম।অভিনন্দন জানাই স্যারকে।’ স্থানীয়দের মতে, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন (পিপিএম) যোগদানের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বরগুনায় সততার দৃষ্টান্ত রেখেছেন। পাশাপাশি নিজের কর্মদক্ষতা দিয়ে মাদক, মানবপাচার, ডাকাতি, ভূমিদস্যুতার মতো জঘন্য ঘটনা অনেকটাই রোধ করেছেন।সমাধান করেছেন অনেক জটিল জটিল সমস্যার।

সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে চোখ রাঙানিকে পেছনে ফেলে আইনের আওতায় এনেছেন অনেক রাঘব-বোয়ালকে। যে কারণে তার প্রতি জেলাবাসীর আস্তা ও বিশ্বাসের একদমই কমতি নেই। গত ২০১৮ সালের আগস্টের ১৩ তারিখ বরগুনা জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন মারুফ হোসেন (পিপিএম)।গত ৯ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনকে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে বদলির আদেশ দেন।সময়টা মাত্র ২ বছরের হলেও সফলতা ও কাজের ব্যপ্তি মোটেই কম নয়- অনেকটা গর্ব করেই একথা বলছেন বরগুনার আম জনতা।

শুধু চৌকস পুলিশ পুলিশ সুপার হিসেবে নয় ব্যাপক জনবান্ধব কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোচিত বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম)।সঠিক পুলিশিং সেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। তার জনবান্ধব কর্মকান্ডগুলো ইতিমধ্যেই সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ: পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) বরগুনা জেলায় যোগদান পরবর্তী সময়ে গত ২২,

২৩,২৫ ও ২৬ জুন/১৯ খ্রি. অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের তথা বরগুনা জেলার টিআরসি নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম শতভাগ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। ফলে কৃষকের সন্তান ১০ জন, দিন মজুরের সন্তান ০৮ জন, পুলিশের সন্তান ০৭ জন, ব্যবসায়ীদের সন্তান ০৫ জন, বে-সরকারী চাকরীজীবীদের সন্তান ০৪ জন, সরকারী চাকরীজীবীদের সন্তান ০৫ জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সন্তান ০২ জনসহ সর্বমোট ৪১ (একচল্লিশ) জন প্রকৃত মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকুরীর সুযোগ পেয়েছেন। এরূপ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি জনসাধারণের নিকট উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছেন।

পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) নিজেও এরূপ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করনের ফলে বরগুনাবাসীর নিকট ব্যাপক প্রশংসা অর্জন সহ সকলের নয়ন মনিতে পরিনত হয়েছেন। পুলিশ লাইন হাই স্কুলের সাফল্য: বরগুনা জেলার স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ বরগুনা পুলিশ লাইন হাইস্কুল গত ২০০০ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পুলিশ সুপার, মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) বরগুনা জেলায় যোগদানের পর তার যোগ্য নেতৃত্বে বিগত বছরের তুলনায় আরও স্ব-গৌরবে এগিয়ে চলেছে পুলিশ লাইন হাইস্কুল । ফলশ্রুতিতে গত ০২ বছর অর্থাৎ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পূর্বক ১০০% কৃতকার্য হয়েছেন।

উল্লেখ্য,এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ লাইন হাই স্কুল ২০১৮ সালে ননএমপিও ভুক্ত স্কুলগুলির মধ্যে জেএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সমগ্র বাংলাদেশে ১ম স্থান অধিকার করেছে পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) এর যোগ্য নেতৃত্বে পুলিশ লাইন হাইস্কুলে সুনাম দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। এ স্কুলে লেখাপড়ার মান সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক জেলার দুস্থ অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান: বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) যোগদান পরবর্তী দেশের সূর্য সন্তান অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের রোগ ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্তৃক চিকিৎসা সেবা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত আগষ্ট/

২০১৮ হতে ডিসেম্বর/২০১৯খ্রি: পর্যন্ত জেলার ২৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে (আই স্পেশালিস্টের মাধ্যমে ১২৫ জন, ইনডোক্রাইনোলোজিস্টের মাধ্যমে ১২ জন, ইউরোলোজিস্টের মাধ্যমে ০৮ জন, মেডিসিন স্পেশালিস্টের মাধ্যমে ৩৩জন, অর্থোপেডিক স্পেশালিস্টের মাধ্যমে ২৩ জন, হার্ট স্পেশালিস্টের মাধ্যমে ৩০ জন, সার্জারি স্পেশালিস্টের মাধ্যমে ০৬ জন, ডার্মটোলোজিস্টের মাধ্যমে ০৬ জন, ইএনটি স্পেশালিস্টের মাধ্যমে ০৫ জন, গ্যস্ট্রোলোজিস্টের মাধ্যমে ০২ জন, কার্ডিওলোজিস্টের মাধ্যমে ০১ জন, নিউরোমেডিসিন স্পেশালিস্টের মাধ্যমে ০৩ জন এবং ডেন্টিস্টের মাধ্যমে ০১ জন) দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যেমন –ঢাকা মেডিকেল, ঢাকা চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ,ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (পিজি) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিজ কার্যালয়ে নিয়ে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। এরূপ সেবা প্রদানের ফলে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান: পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন(পিপিএম) একজন স্পোর্টসম্যান হিসেবেও জেলায় পরিচিত।

তিনি বরগুনা জেলায় যোগদানের পর নিজ তত্ত্বাবধানে জেলার লটটেনিস খেলার মাঠ সংস্কার করেছেন এবং নিয়মিত সেখানে খেলাধূলা করে থাকেন। তার তত্ত্বাবধানে বরগুনা জেলা পুলিশ আন্তঃ বিভাগীয় বিভিন্ন ব্যাডমিন্টন, কাবাডি, ফুটবল, ভলিবল ও সাতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ পূর্বক বিজয় লাভ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় জেলা পুলিশ একক ও দ্বৈত উভয় রাউন্ডে ১ম স্থান, বিভাগীয় পর্যায়ে ভলিবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১ম স্থান ও ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে ২য় স্থান অধিকার করা।

এই সফলতার ধারাবাহিকতায় অব্যাহত থাকবে আগামী দিনগুলোতে এমনটাই আশা ব্যক্ত করেছেন বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন (পিপিএম)। পুলিশ অফিসার্স মেসের নির্মাণকার্য সম্পন্ন করণে গৃহীত পদক্ষেপ: পুলিশ সুপার, মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) জেলায় যোগদানকালীন পুলিশ অফিসার্স মেস, বরগুনা’র নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তিনি পুলিশ অফিসার্স মেসের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করণের লক্ষ্যে জেলার গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত নির্বাহী প্রকৌশলী, নির্মাণকাজ প্রাপ্ত ঠিকাদার ও জেলার অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে একাধিকবার সভা আহবান করে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

এছাড়া, উক্ত কাজ দ্রুত গতিতে তরান্বিত করণের লক্ষ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টর্সের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। একই সাথে কাজ তদারকির জন্য বরগুনা সদর থানা থেকে ও পুলিশ লাইন্স থেকে ০১ (এক) জন করে অফিসার নিয়োগ করেন। উল্লেখ্য, তার নিয়মিত তদারকি ও দূরদর্শিতার ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ অফির্সাস মেস বাস্তবিক ও নান্দনিক রূপ লাভ করেছে। নির্মাণাধীন ০৬ তলা বিশিষ্ট বরগুনা পুলিশ অফিসার্স মেসের ০৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ ইতি মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এবং অফিসার্স মেসের সকল রুমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও করেছেন পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম)।

জেলা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটসহ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহে সিসিটিভি স্থাপন: বরগুনা জেলায় যোগদানের পর পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) জেলা পুলিশের সকল ইউনিটকে সিসি টিভির আওতায় নিয়ে আসাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল পয়েন্ট সমূহে সিসি টিভি স্থাপন করণসহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ৩য় তলায় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছেন। ফলে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমূলক কর্মকা- প্রতিরোধ কার্যক্রম যেমনি ডিজিটালাইজ হয়েছে তেমনি অপরাধমূলক কর্মকা- ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছেন। অপরাধ প্রতিরোধে এ ধরনের আধুনিক ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করে পুলিশ সুপার মো:মারুফ হোসেন (পিপিএম)বরগুনা জেলাবাসীর কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

‘নবদিগন্ত’ নামক রেজিস্টার্ড সমাজ সেবা সংগঠন প্রতিষ্ঠা: মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম)পুলিশ সুপার হিসেবে বরগুনা জেলায় যোগদানের পর দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে বরগুনা জেলাকে মাদক মুক্ত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা/উপজেলায় ১৬৪ জন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ করানোসহ তাদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে ‘নব দিগন্ত’ নামক রেজিস্ট্রার্ড সমাজ সেবা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মসমর্পণকৃতদের পুলিশ নারী কল্যান সমিতি জেলা/উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, এবং তাদের মধ্যে অনেককে পুনাক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও জেলা/

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সেলাই মেশিন, রিক্সা/ভ্যান ও দোকান ঘর করে দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। এছাড়া অন্যান্য মাদকাসক্তকারীদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এটি অব্যাহত থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমূলক কর্মকা- প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম: ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার (জাগরণী:) পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায়শই পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেক মানবিক ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সবার আগে সমাজের অসহায় মানুষের দু:খ-দুর্দশার মুখোমুখি হতে হয় একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেই। অন্যদিকে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অজ্ঞতা, অসেচতনতা এবং দারিদ্রের কারণে ভুক্তভোগী অসহায় নারীরা সঠিকভাবে আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন না। পারেন না নিজেদের নির্যাতন বা ভোগান্তির কথা খুলে বলতেও। ফলে একদিকে বিচার কার্য যেমন বিলম্বিত হয়, তেমনি ভোগান্তিও বাড়ে নারীদের।

আর একবার নারীরা যখন তাদের স্বামী বা শ্বশুরকূলের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নেন তখন আর ওই স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা ওই নারীকে সাধারনত মেনে নিতে চান না। ফলে রুদ্ধ হয়ে আসে সমঝোতার পথও। এসব বিবেচনায়, মামলা পরিচালনার সামর্থ্য নেই অথবা মামলায় আগ্রহী নন এমন দরিদ্র, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের ভোগান্তি লাঘবে পুলিশিং সেবার মধ্য দিয়ে বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষে জেলা পুলিশের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার (জাগরণী)। স্বামী স্ত্রীর অসহিষ্ণু আচরণ এবং ছোটখাটো দাম্পত্য সমস্যা, পারিবারিক, সামাজিক, শারীরিক ও মানবিক সমস্যা, ইভটিজিং ও বখাটেদের উৎপাত, স্ত্রী-সন্তান কিংবা বৃদ্ধা বাবা-মায়ের খোঁজ খবর না রাখা, খোর-পোষ না দেওয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করছে (জাগরণী) ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার।

উক্ত কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের (জাগরণী) সমন্বয়কারী এসআই জান্নাতুল ফেরদৌসী কে কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে এ কে এম শহিদুল হক বিপিএম, পিপিএম, ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ মহোদয় কর্তৃক বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৭ এবং ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার), ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ মহোদয় কর্তৃক বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রদান করেন। নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের (জাগরণীর) মাধ্যমে পুলিশ সুপার, মো: মারুফ হোসেন, (পিপিএম) গত ১৪/০৮/১৮ খ্রি. হতে ৩১/১২/১৯ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত পারিবারিক নির্যাতন ২১৮টি, যৌতুকের জন্য নির্যাতন ৪৫টি, ইভটিজিং ০৩টি, একতরফা তালাকের খোরপোষ আদায় ০৪টি, অন্যান্য খোরপোষ আদায় ০৬টি, শিশু সন্তান উদ্ধার ০৭টি, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ও নতুন কাবিন ১৪টিসহ সর্বমোট ৩৯৭টি অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধান করেছেন।

ফলে নারী নির্যাতনের ঘটনা পূর্বের তুলনায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে। নারী নির্যাতন মামলা ও অন্যান্য (মামলা) অপরাধ হ্রাস করণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ: পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) বরগুনা জেলায় যোগদানপরবর্তী অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে দায়েরকৃত মামলা রুজু না করে ঘটনার সত্যতা যাচাই/বাছাইয়ের মাধ্যমে মামলা রুজু করার পরামর্শ প্রদান পূর্বক বিষয়টি কঠোর হস্তে বাস্তবায়ন করেন। ফলে নিম্নবর্ণিত ছকে উল্লেখিত মামলার ঘটনা সমসাময়িক সময়ে পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। যা একমাত্র পুলিশ সুপার মো: মারুফ হোসেন (পিপিএম) এর যুগোপযোগী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেই সম্ভব হয়েছে।

মানবতার আরেক নাম পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন: সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে, নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগ। তার ধারাবাহিকতায় করোনা যুদ্ধে অনেকটাই সফল বরগুনা জেলা পুলিশ। দক্ষ ও মানবিক পুলিশ সুপারের কারনেই এসব সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন জেলাবাসী। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যন্ত নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপশি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সকল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে করোনা যুদ্ধে নেমেছেন তিনি। নিজের পরিবার ও পরিজনের কথা না ভেবে বরগুনা জেলাবাসীর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন তিনি।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।তার নেতৃত্বে জেলার জনসাধারণকে এই মহামারী থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বিভিন্ন ভাবে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছেন বরগুনা জেলা পুলিশ। নিজেদের লোকজন করোনা পজেটিভ হওয়ার পরও দায়িত্ব থেকে একটুও সরে যান নি মারুফ হোসেন। বরং করোনা আক্রান্ত পুলিশ পরিবারের দায়িত্ব নেন তিনি। এ ছাড়াও এলাকার মানুষকে সর্বসময় পরিস্কার-পরিছিন্নতার মধ্যদিয়ে নিজ-নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বানও করেছিলেন তিনি। আর পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে ও তার ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া ঘরবন্দী ও কর্মহীন মানুষদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের মাঝে সাধ্যমতো খাদ্য সামগ্রীও তুলে দিচ্ছে বরগুনা জেলা পুলিশ।

মানবিকতার দিকে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন যতটা সফল ঠিক ততোটাই সফলতা অর্জন করেছেন জেলার শন্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ও অপরাধ দমনে। এতে করে জেলা পুলিশ তথা পুরো পুলিশ বিভাগের উপর মানুষের আস্থা ও ভালবাসা দিন দিন বেড়েছে।আর এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেনের সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে। প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেনকে জেলাবাসী কিভাবে বিদায় দিবেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।দেশের স্বার্থে বিদায়ের স্মৃতি মেনে নেয়ার অপেক্ষায় আছে বরগুনাবাসী। তারা বলছেন, এ মহান ব্যক্তিকে কোনভাবেই বরগুনার মানুষ কোনদিন ভুলবে না।প্রতিটি নাগরিক স্মৃতির পাতায় লিখে রাখবে একজন সৎ ও নির্ভীক পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের নাম।আর তারা অপেক্ষায় থাকবেন,পবিত্র পোশাকের মর্যাদা রক্ষায় মারুফ হোসেন হয়তো কোন একদিন আবারো ফিরবেন ররগুনা জেলায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 + twenty =