সংবাদ দাতা: ইসবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওগা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো: এনামুল হকের বিরুদ্ধে পরকিয়া, নারী লোভি ও স্ত্রীকে তালাক প্রদানের হুমকির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এই ব্যপারে প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায় যে, প্রধান শিক্ষক একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মোসা: সেলিনা বানুর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হন। এনামুল হকের কু প্ররোচনায় ১৩ বছরের বৈবাহিক জীবনের স্ত্রীকে দেওয়া স্বর্ন, নগদ টাকা ও মূল্যবান সম্পদ আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগকারি মো: মেহেরুল ইমলামের কাছ থেকে জানা গেছে। মো: মেহেরুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী হচ্ছেন মোাসা: সেলিনা বানু। এনামুল হকের আরও ২ জন স্ত্রী এবং তাদের ঘরে ৪ টি সন্তান থাকা অবন্থায় তিনি পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে মোসা: সেলিনা বানুকে বিবাহ করেন।
এই ব্যপারে এনামুল হকের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন কিন্তু কোন প্রতিকার পান নাই। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর অনুমোতি ছাড়াই তিনি সেলিনা বানুকে বিবাহ করেন। মো: মেহেরুল ইসলাম তার দুটি সন্তান কাছে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পান নাই। অর্থ সম্পদ ও সন্তানাদি হারিয়ে তিনি মানসিকভাবে পাগল প্রায়। এর কারন হিসেবে মো: এনামুল হকের দু: শ্চরিত্রাকে দায়ী করেন। অভিযোগকারি মো: মেহেরুল ইসলাম অপরাধ বিচিত্রাকে জানান যে, ইনামুল হক এতটাই অনিয়ন্ত্রিত যে, সে তার মো: মেহেরুল ইসলামের) কন্যা সন্তানকে যৌন নির্যাতন তরতে পারে বলে শংকা রয়েছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের স্ত্রী মোসা: রেনুয়া বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরও অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য শিক্ষক সভাপতি আবু ইউসুফ মো: বদিউজ্জামান এর কাছে প্রেরন করেন। কিন্তু আবু ইউসুফ মো: বদিউজ্জামান মো: এনাামুল হকের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে তার অভিযোগটি ধামাচাপা দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মো: এনাামুল হকের পিতা-মৃত ইসহাক আলী, সাং-বাদাল, উপজেলা: ধামইরহাট, জেলা নওগা। এই ব্যপারে এনামুল হকের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন প্রকার বক্তব্য না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান এবং বলেন, “এই ব্যপারে সংবাদ প্রকাশ করবেন না। প্রধান শিক্ষক মো: এনামুল হকের পরকিয়া ও অপকর্ম সম্পর্কে অপরাধ বিচিত্রার তদন্ত অব্যহত আচ্ছে। আগামি সংখ্যায় আরও থাকছে।