Site icon Aparadh Bichitra

বাবুটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মুন্সী’র লাগামহীন দুর্নীতি

ইমরান হোসেন: কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা ২১ নং বাবুটিপাড়া পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে লাগামহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকা সুত্রেঃ সরকারি নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে মাসের পর মাস অফিস ফাঁকি দিয়ে চলছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাকির হোসেন মুন্সী। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম অনেকটা থমকে আছে। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে এসেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে’ই বিভিন্নভাবে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা লাগামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন।

জাকির হোসেন চেয়ারম্যান, সিএনজি স্ট্যান্ড চাঁদাবাজি, কাবিখা, ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করছেন। তার আপন ভাই মো: দেলোয়ার মুন্সী জানায় আমার ভাই কোন দুর্নীতি করেনি প্রতিমাসে সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে পাঁচপঞ্চাশ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে তা বিভিন্ন সেক্টরে দিয়ে দেয় আমার ভাই একটি টাকাও খায় না। নিয়মিত পরিষদের সভা না করে সদস্যদের সম্মানী ভাতা না দিয়ে।

ঢাকায় বিলাসবহুল গাড়ি, বাড়ি নিয়ে ভোগবিলাসে মগ্ন থাকেন জাকির হোসেন মুন্সী চেয়ারম্যান, ফলে সাধারণ মানুষ তাঁকে কাছে পায় না। জাকির হোসেন চেয়ারম্যান স্থানীয় এমপি’র সাথে ভালো সম্পর্ক জাহির করে এই অনিয়ম গুলো খুব সহজে করছেন বলেও সাংবাদিকদের জানায় এলাকাবাসী। চেয়ারম্যান এর নিয়োজিত চাঁদা কর্মি ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের নেছার আহম্মেদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে চাঁদাবাজির টাকা আমার হাত দিয়ে নেই অন্যকারও হাতে এই টাকা যায় না। ইতিমধ্যে দুর্নীতি ও ফাঁকিবাজ চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত লাভ করেন জাকির হোসেন চেয়ারম্যান।

টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে বাবুটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাকির হোসেন বিভিন্ন প্রকল্প থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে করোনাকালীন সময়ে যেসব সহায়তা দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশই গরিব-দু:খীর মাঝে বিতরণ না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। এবং এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে চেয়ারম্যান বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। বিনামূল্যের বৈদ্যুতিক মিটার দেয়ার কথা থাকলেও জনপ্রতি প্রায় দুই হাজার হতে পাঁচ হাজার টাকা খুঁটির জন্য পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। এতো দুর্নীতি করেও অদৃশ্যতায় তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।