উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে ৩০ কোটির উধ্বে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে

0
6984

এজাজ রহমান:উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে অভিযান চালিয়ে ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৪ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টের কাছে জমা দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ প্রতিবেদন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।মেয়াদোত্তীর্ণ ৩০ কোটি টাকার ওষুধ ধ্বংস প্রতিবেদন দাখিল।এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টে মামলা হয়েছে এক হাজার ৪৩৭টি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, বাজারে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় সাড়ে ৩০ কোটি টাকার উত্তোলন করে ধ্বংস করা হয়েছে। তার একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছি। প্রায় দেড় হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। এখানেও সাত কোটি টাকার উপরে জরিমানা করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিরোধী অভিযানের সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার/ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আদালতে প্রতিবেদন দেয়।

২০১৯ সালের ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়।
এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ওই বছরের ১৭ জুন আদালতে রিট করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। ২০ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মজুদ ও বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। ওই দিন নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে বিবাদীদের ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − 12 =