বরিশালের বাকেরগঞ্জ রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে আউলিয়াপুর গ্রামের মৃত: মোতাহার খলিফার ৩ নম্বর কুলাঙ্গার পুত্র বহুল আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক সেবক ও মাদকের গড ফাদার বাদল খলিফা এবার বললেন প্রশাসন থাকে আমার পকেটে। একই গ্রামের মৃতুঃ মজেদ গাজীর বড় মেয়ে ফতেমার কাছ থেকে জমি ক্রয় করিয়ে দিবে বলে ফুসলিয়ে তাঁর বসত ঘরে বসে নগদ ৪ লাখ ২৭ হাজার ৫শত টাকা, দলিল করা খরচ বাবদ নগদ ৫০ হাজার টাকা, ধার বাবদ নগদ ১ লাখ টাকা মোট ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫শত টাকা নেয় ৫/৮/২০১৬ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সন্ত্রাসী বাদল খলিফা। ৩/৪ দিনের মধ্যে সাব- কবলা দলিল রেজিঃ করে দিবে। ফতেমা বেগম সাব-কবলা দলিল রেজিঃ করিয়া দিতে বলিলে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করতে থাকে এবং আজ না কাল বলে ঘুড়াতে থাকে সন্ত্রাসী বাদল খলিফা।টাকা নেওয়ার পরে দীর্ঘ দিন যাবৎ আত্ম গোপন করে থাকেন
সন্ত্রাসী বাদল খলিফা গত ২৯/১১/২০২০ ইং তারিখ রোজ রবিবার ফতেমা শক্তি ফাউন্ডেশন এনজিও থেকে ১ লক্ষ টাকার ঋণ স্বরূপ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করে বাড়ী ফেরার পথে যুগি বাড়ির সামনে দেখা হলে পূর্বের ন্যায় টাকা সহ দলিল চাইলে সন্ত্রাসী বাদল খরিফা সহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে ফতেমাকে গালাগালি করে এবং তার সাথে থাকা ১ লক্ষ টাকা ১টি আইটেল মোবাইল সেট যার মূল্য ১ হাজার ১৫০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সর্বমোট ৭ লক্ষ ১৩ হাজার ৬ শত ৫০ টাকা। ২০/১০/২০২০ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতি বার বিকাল ৪.৩০ মিনিটের সময় ৩বছর পর হঠাৎ করে একই গ্রামের সোহাগ খলিফার চায়ের দোকানে গেলে সন্ত্রাসী বাদল খলিফার সাথে দেখামিলে ফতেমা বেগম এর সাথে।
সন্ত্রাসী বাদল খলিফার কাছে ধারের টাকা সহ কবলা দলিল চাইলে সন্ত্রাসী বাদল খলিফা সব কিছু অস্বীকার করে এবং সোহাগের চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে ফতেমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বাদী ফতেমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া এলোপাথারী ভাবে মারধর করে ফতেমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে। এমনকি ফতেমা মারধরে পরনের কাপড় এলোমেলো হয়ে পড়ে। মারধর করার সময় ফতেমার গলায় আট আনা ওজনের স্বর্নের একটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়, যার মূল্য ৩৫ হাজার টাকা এবং যাওয়ার সময় আবার যদি টাকা এবং দলিল চাও তাহলে তোকে জীবনের তরে শেষ করে ফেলবো বলে হুমকি প্রদান করে। ফতেমার ডাক চিৎকারে এলাকার মানুষ / সাক্ষীরা ফতেমাকে সন্ত্রাসী বাদল খলিফার হাত থেকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
অসহায় ফতেমা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী বাদল খলিফা সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে গত ২৩/১০/২০২০ইং তারিখে বাকেরগঞ্জ থানায় এবং একই আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সি আর মামলা নং ৪৩৮, তারিখ ০২/১২/২০২০ ইং। আদালত তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবি পুলিশকে দেন।আজ ২৩ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের দুই কর্মকতা সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতার প্রমান পান।
এসময় বলে আবার টাকা ও দলিল চাইলে তোকে মেরে বস্তায় ভরে লাশ নদীতে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করবো এবং মিথ্যা মামলা দিবো বলে হুমকী প্রদান করে। অসাধু কিছু পুলিশ অফিসারের সাথে তার সক্ষ্যতা আছে বিধায় বার বার অপরাধ কর্মকান্ড থেকে পার পেয়ে যায়। সন্ত্রাসী বাদল খলিফার নামে অর্ধ ডজন মামলা রয়েছে।
অসহায় ফতেমা জানান সন্ত্রাসী বাদল খলিফা আমার বাড়িতে গিয়ে আরও দুই বার আমাকে মারধর করেছে। আদালত তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবি পুলিশকে দেন।আজ ২৩ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের দুই কর্মকতা সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতার প্রমান পান। সরেজমিনে তদন্ত করলেই সত্যতার প্রমাণ মিলবে। যাতে করে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক সম্রাট বাদল খলিফার হাত থেকে রক্ষা সহ ফতেমার টাকা এবং জমির দলিল পেতে পারে তাহার জন্য পুলিশ ও র্যাবের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভুক্তভোগি অসহায় ফতেমা।