সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমিনুল হক রাজু বাহিনী। মানছেনা আদালতের আদেশও। সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আমিনুল হক রাজু ও তার বাহিনীর মিজমিজি দক্ষিনপাড়া এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় জায়গায় অবৈধ ভাবে বালু ভরাট করে দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি নালিশী পিটিশন দায়ের করলে আদালত উক্ত বিষয়ে ১৪৫ ধারা জারি করেন। আদালতের নোটিশ পেয়ে গত মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ওসি (তদন্ত) শরীফ আহমেদ উক্ত জায়গায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেয়। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে বুধবার আবারও আমিনুল হক রাজু বাহিনী বালু ভরাট শুরু করে। বালু ভরাটের বিষয়টি থানা পুলিশকে ভুক্তভোগীরা জানালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এসআই সুজন বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।
জানা যায়, মিজমিজি দক্ষিনপাড়া ৭ খুনের মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী আমিনুল হক রাজু (মামলা থেকে অব্যাহতি), জাকির হোসেন, আলী হোসেন ভূইয়া, সানাউল্যাহ, আব্দুল আজিজ, নুর হোসেন গংরা গত ২৩ ই ডিসেম্বর গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি আম মোক্তার নামা দলিল মূল্যে হাজী মোহাম্মাদ শাহাবউদ্দিন, হাজী কামাল উক্ত সম্পত্তির মালিক হয়ে ভোগ দখল করে রেজিষ্ট্রি মালিক হয়। উক্ত সম্পত্তিতে আমিনুল হক রাজু গংরা বেআইনী ভাবে জোর পূর্বক বালু ভরাটের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় রাজু বাহিনীরা এবং প্রকাশ্যে হত্যা, জখম করার হুমকি প্রদান করে।
উপায় না পেয়ে শাহাবউদ্দিন গংরা উক্ত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে একটি নালিশী পিটিশন দায়ের করেন। আদালত উক্ত পিটিশন আমলে নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে ১৪৫ ধারা জারি করেন এবং আগামী ৩ ফেব্রয়ারী ২০২১ ইং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে উক্ত বিষয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ে রেখে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। উক্ত বিষয়ে আমিনুল হক রাজুর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী বলেন, আমিনুল হক রাজু দলের প্রভাব বিস্তার করে অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। মানুষকে হয়রানি সহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। রাজু একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। আমিনুল হক রাজুর বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানান তারা। এসব ভূমিদস্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শরীফ আহমেদ বলেন, বালু ভরাটের বিষয়ে জানতে পেরে থানা পুলিশ পাটিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি আদালতের আদেশ অমান্য করে তাহলে বালু ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।