কিভাবে হাদিস সংগৃহীত হয়েছে

0
1039

আল্লাহর নবী বললেনঃ “আমার বলা কোন কিছু লিখে রেখো না, কেউ কোরানের আয়াত বাদে আমার বলা অন্যকিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেলতে বলো”। (সহীহ মুসলিম, ৫৩২৬) কোরানে কয়েকবার সুন্নাত শব্দটা এসেছে। আরবী এই সুন্নত শব্দের অর্থ ‘অনুকরণীয় আদর্শ’, অর্থাৎ যে আদর্শ অনুকরণ করা ভাল। এটা আরবদের পুরনো একটা রীতি যে তারা তাদের পূর্বপুরুষের ভাল কাজ তথা পূর্বপুরুষের সুন্নত গুলা ফলো করতেন। যেমন কোরানে চার জায়গায় এসেছে- ‘সুন্নাতে আল আওয়ালিন’, এর মানে হচ্ছে পূর্বের মানুষের করা কাজ। কোরানে এসেছে ‘সুন্নাতে রাসুল’, ‘সুন্নাতে নাবি’, এগুলো পূর্ববর্তী (আগের নবীদের কিন্তু) নবীদের কাজের রেফারেন্স দিতে বিভিন্ন জায়গায় কোরানে ব্যবহৃত হয়েছে। তার মানে মহানবীর সুন্নত ফলো করতেই হবে সে ব্যাপারে এক্সপ্লিসিট কোন নির্দেশনা দেয়া নেই কোরানের কোথাও। করলে ভাল, তবে করতেই হবে এমন কিছু কোরান শরীফে বলা নেই।

হাদিস সংকলিত হয়েছে নবীজির মৃত্যুর প্রায় ২০০ বছর পরে। একদল লোক ইসলামী আইনের শাসন তথা শরীয়া বানানো শুরু করলেন কোরান আর নবীজি যে স্টাইলে কাজ করতেন সেটা অনুসরণ করে। তারা যেভাবে সবকিছুকে বেদাত বলে, তাদের যুক্তিতে আসলে হাদিসও বেদাত।
যারা সেই সময়ে নানা পদ্ধতিতে কোরান অনুযায়ী আল্লাহর নির্দেশনাকে ব্যাখ্যা দিলেন তাদের কারো উদ্দেশ্যই কিন্তু খারাপ ছিলো না। তারা আল্লাহকে এক মেনে তথা তাওহীদে বিশ্বাস রেখেই তাদের মত দিতে থাকলেন। যেমন মুতাজিলারা বললেন কোরানের আক্ষরিক অনুসরণের চেয়ে ভাবগত এবং যুক্তি অনুসরণ করে ব্যাখ্যা দেয়াই ভাল।

হাদিসের ভিত্তি নাই, কারন এটা আসলে দূষিত হয়ে গেছে কিছু মানুষের ষড়যন্ত্রে, ছোটবেলা থেকে সব জায়গায় পড়েছেন না বিদায় হজ্বের ভাষণে নবীজি বলেছেন তিনি দুইটা জিনিস রেখে গেছেন- এক কোরান, দুই সুন্নাহ? সেটার প্রমাণ কি?? বিদায় হজ্বের ভাষণ তো সবচেয়ে বড় হাদিস হওয়ার কথা। কারন হাজার হাজার সাহাবীদের সামনে এই ভাষণ দেয়া হয়েছিল। ‘দুইটা’ জিনিস রেখে যাওয়ার বর্ণনা কোন হাদিসে এসেছে? সিহাহ সিত্তাহ তথা সবচেয়ে টপ যে ছয় হাদিসের বই, সেখানে কোথায় লেখা আছে এই কথা? আপনার শায়খুল হাদিসকে গিয়ে ধরেন আজকে। তার কাছ থেকে জবাব নিয়ে আসেন।সত্যটা হচ্ছে কোন বিশ্বাসযোগ্য হাদিস বইয়েই নাই এই কথা। সিহাহ সিত্তাহতে নাই। এমনকি কোন সহীহ হাদিস গ্রন্থেও নাই। অথচ এত বড় ইভেন্টে হাজার হাজার সাক্ষী ছিল। এই কথা সত্য হইলে সিহাহ সিত্তাহর কোন না কোন হাদিস বইয়ে সেটা আসতোই! এবার তাহলে আসুন জেনে নেই সেইসব হাদিস বইয়ে কি লেখা আছে বিদায় হজ্বের ভাষণ সম্পর্কে।

সহীহ মুসলিম, ২৮২১, হজ্ব অধ্যায়ে লেখা আছেঃ ‘আমি তোমাদের জন্য একটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা সেটা আঁকড়ে ধরলে পথভ্রষ্ট হবেনা, সেটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব’। সুনানে আবু দাউদেও এই একটি জিনিস রেখে যাওয়ার কথাই বলা আছে, সেটি হচ্ছে কোরান।
শিয়াদের ভার্শন আলাদা। তারা বলে, দুটো জিনিস রেখে গেছেন। কুরান ও নবীর বংশ। দুটি জিনিস রেখে যাওয়ার কথা আছে একটা মুরসাল হাদিসে লেখা। মানে হচ্ছে ‘দৈনিক এক সকালের বাতাস’ টাইপ পত্রিকার মত এক হাদিসে। হাদিস এর মূল দুইটা শ্রেণীবিভাগ হয়। একটা হচ্ছে মকবুল(একসেপ্টেড), দ্বিতীয়টা হচ্ছে মরদুদ(বাতিল/রিজেক্টেড)। এই দুই প্রধান ভাগের মাঝে আবার নানা উপশ্রেণীবিভাগ আছে। মুরসাল হাদিস সেই বাতিল/রিজেক্টেড হাদিসের নিচের দিককার ক্যাটাগরির হাদিস। যেটা কেউ নিজেরা শুনেছে সেই সূত্রে বয়ান করা না। এই হাদিস যার সূত্রে বর্ণিত হয়েছে বিদায় হজ্বের সময়ে তার জন্মই হয়নাই!

এত বড় ঘটনা যা হাজার হাজার মানুষের সামনে ঘটেছে তা প্রতিষ্ঠা জন্য বাতিল ক্যাটাগরির হাদিস লাগে? আসলে কথাটা সম্পূর্ণই মিথ্যা!! আহলে হাদিস টাইপ ওয়াহাবী সংগঠন এমন ভূয়া হাদিস দেখিয়ে কোরান বিরুদ্ধ কাজ করে চলেছে, ধর্ম ব্যবসা করছে, এবং এখন সাধারণ মানুষের পেছনে ধর্মকে লেলিয়ে দিয়েছে। অনেক সহীহ হাদিস সরাসরি কোরানের সাথে কনট্রাডিক্ট করে। ঈমানে মুফাসসালে বলা আছে কি কি বিষয়ের উপর ঈমান আনতে হবে। ছয়টা জিনিস, এর মাঝে হাদিস নাই। ঈমানে মুফাসসাল হচ্ছে- ‘আমানতু বিল্লাহি, ওয়া মালায়িকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রাসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কদরি খয়রিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তাআলা, ওয়াল বাআছি বাদাল মাউত।’ অর্থাৎ: আমি বিশ্বাস আনলাম আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসুলগণের প্রতি, কিয়ামতের দিনের প্রতি; তাকদিরের প্রতি, ভাগ্যের ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে; মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।

৭৩০ হিজরী সণে মুতাজিলা খলিফা মামুন আল্লাহর কালাম কুরআন কে আল্লাহর ওয়াহী বলে অস্বীকার করেন এবং হাদীস সংকলনের বিরোধিতা করেন৷ হাদিস জিনিসটা পুরাই ভেজাল। হ্যাঁ, এইটা পুরাই ভেজাল, এটা মানুষের দ্বারা বানানো। মোল্লারা বলবে অমুক তমুক কোরানে নাই, তার জন্য নাকি হাদিস লাগবে। এইটাও পুরা বাটপারি। কোরানে একাধিকবার বলা হয়েছে মুসলমানদের জন্য কোরানই যথেষ্ট। এইসব হাদিস মনের মত করে বানানো হয়েছে ইয়াজিদের বংশধরদের হাতে। এই জন্যেই এই ইয়াজীদ ওয়াহাবীদের এত প্রিয়।ইয়াজিদকে ওয়াহাবীরা এত ভালবাসে কেন।আবু সুফিয়ানকে তো সবাই চিনেন। নবীজির সবচেয়ে বড় শত্রু। আবু জেহেল তো তাও মরে গিয়েছিল। মক্কা বিজয়ের আগপর্যন্ত আবু সুফিয়ান নবীর সাথে শত্রুতা করে গেছে। অবশেষে যখন চূড়ান্ত বিজয় আসলো তখন আবু সুফিয়ানও দলে ভিড়েছিলো। তার ছেলে হচ্ছে ‘মুয়াবিয়া’। আর মুয়াবিয়ার ছেলে ইয়াজীদ। ইয়াজীদের আদেশেই নবীজির নাতি হাসান হোসাইনের পুরো পরিবার কারবালার প্রান্তরে নিহত হয়েছিল। তো এক সময় তারাই শাসন ক্ষমতা দখল করে নেয় সবাইকে মেরে। তারাই উমাইয়া শাসক হয়ে মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ করে কয়েকশো বছর।

এইসব হাদিস টাদিস তাদের মনের মত করেই সংকলিত হয়েছে। তারা যা মন চায় তেমন কথাই ঢুকিয়ে দিয়েছে। এজন্যেই দেখবেন অনেক হাদিসের কথা কোরানের কথার উলটা। অর্থাৎ কোরানে একটা লেখা আছে, আর হাদিসে বলা আছে নবী নাকি কোরানের পুরা উলটা কাজ করতে আদেশ দিয়েছিলেন! মূলত এইসব বালছাল কয়েকটা হাদিস দেখিয়েই বর্তমান যুগেও সন্ত্রাস কায়েম হচ্ছে, আর মুসলমানদের গায়ে কালি লাগানো হচ্ছে ওয়াহাবীদের দ্বারা। দেখবেন মাদ্রাসার পোলাপানরা দাবি করে তারা জঙ্গী হয়না, এইযুগে বাংলাদেশের সব জঙ্গী ইশকুলে পড়া পোলাপান। তাদের কথাটা আংশিক ঠিক, কারন মাদ্রাসার পোলাপান হয়তো কোরান পড়ে জানে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক! এ কারনেই ওয়াহাবীদের প্রিয় নেতা এজিদ। সৌদী এজিদের নামে একটা স্কুলেরও নামকরণ করেছে।

যুগ যুগ ধরে যে যার মত হাদিস বানাইয়া নবীর নামে চালায় দিতাছে। দেখার কেউ নাই। অথচ কুরানে আয়াতই আছে যে “নবী যদি কুরানের বাইরে অন্য কিছু বানিয়ে বলতেন, তাহলে তার ডান হাত ও হৃদয়ের শিরা কেটে ফেলা হতো।” ৬৯:৪৪-৪৬ সবাই “মদিনা সনদ” এর কথা বলে কিন্তু কোনো হাদিস গ্রন্থে পাচ্ছি না l যদি কোনো হাদিস গ্রন্থে না পাই তবে কি “মদিনা সনদ” কোনো কল্প কাহিনী ? ইবন হিশামে আছে। তবে বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত নয়।অবশ্য কোনো কোনো আলেম বলেছেন, বিভিন্ন সূত্রে সমর্থনের জন্য একে হাসান বলে গণ্য করা যায়। আল্লাহ কুরআনেই বলেছেন কুরআন এর হেফাজতকারী স্বয়ং আল্লাহ। অন্য কোন গ্রন্থ এর হেফাজত এর নিশ্চয়তা উনি দেন নাই। আর মুসলিম হিসেবে দ্বীন ইসলামে বিশ্বাসের সূত্রই কেবল এবং কেবল কুরআন।

সবাই একটু ভাবুক, ৩০০ বছর পরে এক উদ্ভট গ্রন্থ সমষ্টি বানানো হবে, আর ৩০০ বছর আগেই হজরত মুহাম্মদ সাঃ তা ফলো করতে বলে যাচ্ছেন, আজব না? ৬০০ এর মত আসল হাদিস আছে, সেগুলা মূলত কোরানেই আছে। এর জন্য হাদিসের নামে এত বড় জালিয়াতি সাপোর্ট করার কোন প্রয়োজনই নাই। যে বুখারী শরীফ,মুসলিম শরীফ এর বরাত দিয়ে কথা বলছেন আলেমরা৷ তারা কি একবারও জানিয়েছে আপনাকে যে এই হাদীস বই গুলো তাদের নিজের হাতে লেখা নয়?????বুখারী তার জীবদ্দশায় ৫ লক্ষাধিক হাদীস এর মধ্য হতে ৬ হাজার + হাদীস কে মোটামুটি সহিহ ধরে নিয়ে পৃথক করেন উল্লেখ্য অনেক হাদীস এর রিপিটেশন রয়েছে৷ কিন্তু তিনি তা স্বিকৃত ভাবে কোথাও লিপিবদ্ধ করেননি৷ এমন কোন ঔতিহাসিক দলিল ও পান্ডুলিপি পাওয়া যায় নি যে প্রমানিত হবে বুখারী নিজ হাতে তা লিপিবদ্ধ করেছিলেন৷ইমাম বুখারীর জন্ম ছিলো ৮১০ খ্রিস্টাব্দে

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর প্রায় ১৮০ বছর পড়ে৷ এবং মৃত্যু ৮৭০ খ্রিস্টাব্দতে৷ তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে তার বিশুদ্ধ হাদীস সংগ্রহ এর কম্পাইলেশন ৮৪৫ এ শেষ করেন যার শুরু হয় ৮৪৩ এ৷এই কম্পাইলেশন এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো,তার জীবদ্দশায় তিনি যে লক্ষ লক্ষ হাদীস কালেক্ট করেন তাতে তিনি অনেক অসংলগ্নতা দেখতে পান৷ এবং তার শিক্ষক ইসহাক ইবনে রুওয়াইয়াহ এর নির্দেশ এ তিনি তার দৃষ্টিতে,তার কাছে এভেইলেবল তথ্য তথা রাবি,ন্যারেটর দের পরিচয় এর উপর বিশুদ্ধ হাদীস সংকলন তৈরী করেন৷ উল্লেখ্য,তিনি শুধুমাত্র নাম দেখেই তা করেছিলেন৷ আদোউ কি তা সেই সাহাবী বলেছেন কিনা তার কোন নিশ্চয়তা তিনি দেন নি৷ এবং ইসলামী শরিয়ত হিসেবে ব্যাবহার হওয়ার উদ্দেশ্য তেও তিনি এই কাজ করেননি৷ সম্পুর্ন উদ্দেশ্য ছিলো এক সাগর হাদীস হতে পুকুর পরিমান বিশুদ্ধ হাদীস এর কম্পাইলেশন করা৷ এখন আসা যাক তার কম্পাইলেশন এর বিশুদ্ধতা কতটা রক্ষা হয়েছে,যার ভিত্তিতে যেকোন সহিহ হাদীস কে শরীয়াহ ধরা যাবে৷

প্রথমত,যা আমরা পড়ছি এটি তার নিজের পান্ডুলিপির অনুলিপি নয়৷ একটা পৃষ্ঠাও নেই৷ এমনকি ইমাম বুখারীর সবচাইতে ফেমাস ছাত্র ইমাম মুসলিম এর সহিহ মুসলিম এর ও তার নিজের লিখিত পান্ডুলিপির অনুলিপি আমরা কখনোই অধ্যয়ন করিনি৷ আমাদের কাছে নেই৷ ইতিহাস এও অস্তিত্ব নেই৷ তাহলে কীভাবে এলো শরীয়া সমতুল্য, কুরআন এর পড়ে সবচাইতে বিশুদ্ধ গ্রন্থ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ?
বুখারীর ব্যক্তিগত হাদীস সসংগ্রহ এর আরেকটু সামনে এগোই৷ মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ আল ফিরাব্রাঈ এর নাম কি শুনেছেন কেউ???কে এই ব্যক্তি?এই ফিরাব্রাই কে ছাড়া আপনারা আজকের এই শরীয়া সমতুল্য, বিশুদ্ধ বুখারী শরীফ এর দেখা পেতেন না৷ ইমাম বুখারী এলেজেডলি অনেক মেধাবী ছিলেন,তার স্মৃতিশক্তি অনেক প্রখর ছিলো৷ খুব ভালো মানুষ ছিলেন৷ বাহাস এর প্রয়োজন নেই যদিও এই নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷ কিন্তু ফিরাব্রাই এর চরিত্র, মেধা,সততা জীবন সম্পর্কে কোন ঐতিহাসিক,অথেনটিক সোর্স নেই,শুধুমাত্র এই ছাড়া যে তিনি ইমাম বুখারীর একজন ক্ষন্ডকালীন ছাত্র ছিলেন৷অথচ এমন তথাকথিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের জন্য এর বাহক এর সকল তথ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ

বুখারীর মুখ থেকে তার সংকলনের হাদীস শোনা হাজার খানেক ছাত্রের মধ্যে এই ফিরাব্রাই ছিলেন শেষ ব্যাক্তি৷ তিনি সর্বসাকুল্যে দুবার ইমাম বুখারী হতে ইমাম বুখারীর সহিহ হাদীস সংকলন এর হাদীস শুনেছিলেন৷ ৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এটি শুনেন৷ বুখারীর মৃত্যুর ৪ বছর আগে৷ নবীজির মৃত্যুর প্রায় ২ শতক এরও পড়ে৷ ফিরাব্রি এর মৃত্যু হয় ৯৩২ খ্রিস্টাব্দে৷ তার জন্ম নিয়ে কোন অথেনটিক ইনফরমেশন নেই৷ মজার ব্যাপার কি জানেন?এই ফিরাব্রি এরও কোন লেখা নেই! কেউ পেয়েছে? দেখান পারলে৷ বুখারীর ছাত্র হিসেবে লিখে রাখা উচিত ছিলো কিনা? বুখারী শরীফ তাইলে আমরা পেয়েছি কার থেকে????আমরা এটি পেয়েছি ফিরাব্রি এর ছাত্র মুহাম্মাদ বিন আহ্ মেদ ওয়াল মারওয়াজি৷ এই মারওয়াজি জন্মান ৯১৩ তে এবং মৃত্য হয় ৯৮২ তে৷ মারওয়াজি, ফিরাব্রি থেকে বুখারী শরীফ এর তালিম নেন ৯৩০ এ৷ যা ফিরাব্রির মৃত্যুর ২ বছর আগে৷ অর্থাৎ ১৭ বছর বয়সে৷ খেয়াল করুন এই তালিমের ট্রান্সিশনের মাঝখানে কতটুকু সময় কেটেছে কোন অথেনটিক লিখিত পান্ডুলিপি ছাড়া?

বৃদ্ধ বয়সে তিনি মারওয়াজি কে তালিম দিয়েছিলেন৷ ইমাম মুসলিম এরো কোন নিজস্ব লিখিত পান্ডুলিপির দলিল প্রমান নেই এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর৷ ম্যাজিক চারিদিকে৷ বুখারীর নাম জানেন কিন্তু এদের নাম কি জানতেন????বলবেন যে এত পুর্বের লিখিত কিছু থাকা সম্ভব নয়৷ কিছু থাকবেও না?পালটা প্রশ্ন দিবো শরিয়াহ বানিয়ে ফেললেন,কুরান এর পড়ের।সবচাইতে বিশুদ্ধ কিতাবের মর্যাদা দিয়ে ফেললেন,তাও আবার মূল সংকলক এর মূল পান্ডুলিপির অস্তিত্ব কে অস্বিকার করে???? ইমাম বুখারীর সংকলন এর পুর্বে সংকলিত হাদীস গ্রন্থ এর পান্ডুলিপি ও পাওয়া গিয়ছে৷ টেক আবু ওবায়দাহ ফর এক্সাম্পল৷ তার সংকলন এর পান্ডুলিপি লিখিত হয় ৮৬৭ খ্রিস্টাব্দ তে৷ বুখারী তখনো জীবিত৷ তিনি বুখারীর ধারে কাছেও ছিলেন না৷ ফেমাস ছিলেন না৷

কিন্তু তার সকল তথ্য এবং ব্যাক্তিগত লিখিত পান্ডুলিপি সংগ্রহিত রয়েছে তারিখ সহ৷ কিন্তু কুরান এর পড়ের মর্যাদা প্রাপ্ত বিশুদ্ধ বুখারী শরীফ এর এমন কোন তথ্যপ্রমান, দলিল আপনি খুজে পাবেন না৷ বুখারীর ও পান্ডুলিপি নেই,তার ছাত্র ফিরাব্রি এরো পান্ডুলিপি নেই যে ফিরাব্রির ছাত্র এর কাছ থেকে আমরা এই গ্রন্থ পাই৷ কি? গোজামিল লাগে?ম্যাজিক লাগে??আপনি যুগ যুগের আলেমদের কথা বলবেন??তারা আপত্তি তুলে নি বলবেন?তাহলে আপনার বুঝ কি আলেমদের কাছে!? কবরে গিয়ে বলবেন?আল্লাহ আলেমদের থেকে জেনে নিয়েন????দায় ছাড়তে পারবেন না আপনি!

বলুন বুখারীর, মুস্লিম এর কাছ থেকে আপনি কি পেয়ছেন?এমন বিশুদ্ধ সংগ্রহের পড়েও কেন এত এত ইমাম দের নিজস্ব হাদীস কালেকশন রয়েছে তা কি জানেন????ভেবেছেন কখনো? নাকী হাদীস মানে অহী ধরিয়া মনকলা খাইয়া খাইয়া বাকি সকল কে মুরতাদ অল্পজ্ঞানী বলিয়া জীবন পার করিয়া দিয়েছেন৷ এপ্স চালায় হাদীস বাইর করতে পারবেন৷ এসব জানতে পারবেন না৷ তথাকথিত হাদীস এর শরিয়া মর্যাদা বাতিল হলে সবার আগে আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর ফুটবে৷ এবং ইসলাম এর বর্ত্মান চেহারা পালটিয়ে যাবে যা কোন যুগের আলেমরাই মানতে চান নাই৷ হাদীস হবে নামাজ এএ নিয়ম,র্যোযার নিয়ম নিয়ে৷ নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নিয়ে৷ হাদীস কখনও নতুন নিয়ম করতে পারে না৷

নবিজি মানুষ ছিলেন৷ তার ব্যাক্তিগত প্রেফেরেন্স ছিলো৷ তার সাহাবায়ে কেরাম দেরো ব্যাক্তিগত প্রেফেরেন্স পছন্দ -অপছন্দ ছিলো৷ নবিজী দাড়ি রেখেছিলেন,টাক নুর উপর প্যান্ট পরতেন,বসে পানি পান করতেন, খেজুর খেতেন এগুলো ব্যাক্তিগত অভ্যাস৷ফলো করা আপনার ব্যাপার৷ খুব ভালো কথা৷ এটাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে যদি তিনি আসলেই তা করে থাকেন৷ তবে এর মানে এই না যে ধরে ফেলতে হবে কুরান এর শিক্ষায়,কুরওয়ান এর আলোকে তিনি খেজুর খেতেন,দাড়ি রাখতেন,টাক নুর উপর প্যান্ট পরতেন বা আল্লাহ তাওয়ালার বিশেষ নির্দেশে তিনি এমনটা করতেন৷ আমরা ভুলে যাই তিনি মানুষ ছিলেন৷ তিনি অবশ্যই আইডল ছিলেন৷ তার মুল আইডলজি ছিলো তার চরিত্র৷ যা তার দাড়ি,টুপি অপেক্ষা বেশির গুরুত্বপূর্ণ৷ নিজেকে প্রশ্ন করুন আলেমদের ছায়া তলে যতক্ষন দাড়ি টুপির হাদীস, পঅর্দার হাদীস,হুজুরদের ব্যাবসা হালাল করার ধান্দায় তর্ক করেন সেরকম কতটুকু সময় নবীজির আসল সুন্নাহ তার চরিত্রের গুনাবলি প্রাক্টিস করছেন আপনি?

কুরআন এ যা নেই তা যে নবীজি মুসলিম উম্মাহ্র এর নিয়ম হিসেবে জারি করার এখতিয়ার রাখেন না তা কুরান এই বারবার বলা হয়েছে৷ তাই স্বাভাবিক ভাবেই নবিজি তা করেননি৷ কোথাও যদি হাদীস এ নতুম নিয়ম থাকেও তাতে বিশ্বাস করা মানে নবিজি কে বিশ্বাস করা মানে ভুল এবং কুরান বিরোধী৷ আপনি ধরে নিচ্ছেন নবিজি বলেছিলেন৷ কিন্তু না৷ আপনি বুখারির,মুস্লিমের সনকলিত হাদীস কে ধরে নিচ্ছেন নবিজির হাদীস বলে৷ কুরআন এ নবিজির কুয়রান এর দাওয়াত এর কথাই বারবার।বলা।হয়েছে৷ নবিজির নাম এ লিখিত তার মৃত্যুর ৩০০.বছর পর সংকলিত হাদীস গ্রন্থের উপর বিশ্বাস এর কথা কোথাও বলা হয় নি

কুরান এর কোন সরাসরি আয়াত এর অতিরঞ্জিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে কুরান এই তার নির্দেশ আসতো৷ যদি প্রয়োজন হতই তাইলে ২৩ বছর লাগতো না নাজিল হতে৷ বলবেন সালাত এর কথা,রোযার কথা ফাইন,সেখানে কেন সীমাবদ্ধ রইলো না এটি???সেই সালাত এর নিয়ম নিয়েও কেন কনফিউশান থেকে যায়????আজ পর্যন্ত?তারাওয়ির নামাজ এর রাকাত বিতর্ক কেন হয়?যদিও ম্যাটার করে না৷ নবীজির দায়িত্য ছিলো কুরান কে পৌছে দেওয়া এবং তিনি তা করে গেছেন এবং আমল করে গেছেন৷ উল্লেখ্য কুরানের আয়াতএ আমল করেছেন৷ এখন একটা কুরান এর বাইরের নির্দেশ,বিধিনিষেধ ওয়ালা হাদীস দেখে যদি আপনি বলেন নিশ্চই নবিজি এটাও কুরানের উপর আমল করে।

বলেছেন তাইলে আপনার ঈমান দুর্বল৷ কুরান এ সকল বিধিনিষেধ সুস্পষ্ট৷ এর বাইরে কিছুর অবকাশ নেই৷ নবিজির নাম এই আসুক,সাহাবা দের নাম এই আসুক৷ যদি কোন বিশেষ আমল আসলেই থেকে থাকে তা একান্ত ব্যাক্তিগত আমল৷ যাকে ফলো আপনি করতেও পারেন নাও পারেন৷ যেহেতু কুরান এর সরাসরি নির্দেশ এর বাইরে বাকি সব কিছু অপশনাল৷ কুরান কম্পলিট এন্ড কম্পাইল্ড৷ আল্লাহ নবিজি কে ফলো করতে বলেছেন বলে আনশিউর হাদ্যিস কে জায়েজ এর জন্য আপনাদের ব্যাবহারকৃত যতগুলো আয়াত আছে সবগুলোর শক্তির সাথে কুরান যে কম্পলিট এমন

একটি আয়াত এর শক্তি কতটুকু তা নিজেই বিচার করুন উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি৷ আরব দেশের ইসলাম এসেছিলো ওখানের নিজস্ব কালচার রয়েছে৷ এখন সেসব কে ইস্লামের লেবাস ধরলে তো হবে না, তাই না??ইসলাম কোন কালচার নয়৷ ইসলাম একটা সংবিধান যা যেকোন সময়ের যেকোন জাতিকে সুশাসনে রাখতে উপযোগি৷ এর উদ্দেশ্য আফ্রিকার জংগল এ গিয়ে কোন গোষ্ঠী কে জুব্বা,দাড়ি,বোরকাহ পড়ানো না,নাস্তিকদের ফাসিতে ঝুলানো না৷ বরং তাদের জাতিগত উন্নতি,সোশাল ব্যালেন্স, স্পিরিচুয়াল ডেপথ, আল্লাহর প্রতি ভয়,একটি শালীন সমাজ প্রতিষ্ঠা,সামরিক,আর্থিক ব্যাবস্থা দৃড় করা৷

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × two =