ভাটারা থানার ওসি মোক্তারউজ্জামান দুই সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসালেন

0
735

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা মহামারীতে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন বাজি রেখে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে আসছে৷হাজারো মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়ে পুলিশ জনগনের অত্যন্ত কাছে আসতে পেরেছে। বলা যায় হারানো গৌরব অনেকটা ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ ৷কিন্তু ভাটারা থানার ওসি মোক্তারউজ্জামানের নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।নানা কায়দায় চাঁদা দাবি, ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, আটকে রেখে অর্থ আদায়, কথিত অভিযোগে ঘুষ দাবি করে হয়রানি, মাদক কারবারে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করা, বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ দোকানপাট উঠিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন ভাটারা থানার ওসি মোক্তারউজ্জামান।

সম্প্রতি দুই জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এলাকাবাসীর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওসি মোক্তারউজ্জামান। ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবদুর রহমান মোল্লা (এ.আর. মোল্লা) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন ভাটারা থানার ওসি মোক্তারউজ্জামান এর বিরুদ্ধে।

তিনি অভিযোগে বলেন গত ২৩/০২/২০ ইং তারিখে “গাড়ি জব্দের নামে চাঁদাবাজি করছে পূবালী ব্যাংকের এজেন্ট” শিরোনামে,১০/০৩/২০ ইং তারিখে “পূবালী ব্যাংকে ভয়াবহ ঋণ জালিয়াতি নেপথ্যে ম্যানেজার জোনাল কর্মকর্তা” শিরোনামে এবং ০৯/১০/২০ ইং তারিখে “জাল-জালিয়াতিতে এজেন্ট” শিরোনামে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করি। দেশের স্বার্থে,

জনগণের কল্যাণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির পক্ষে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছি। উক্ত প্রতিবেদনগুলি পূবালী ব্যাংকের এজেন্ট সানবিম এন্ড সানবিম কমার্শিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের নানা দুর্নীতি ও ঋণ জালিয়াতির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও জালিয়াতির প্রমাণ স্বরূপ কাগজপত্র নিয়েই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

কিন্তু সানবিমের চেয়ারম্যান তসলিমা আক্তার বেআইনিভাবে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে আমাকে ও সাপ্তাহিক দুর্নীতির সমাচার এর রিপোর্টার মোঃ উজ্জল হোসেন কে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। উল্লেখ্য মোঃ উজ্জল হোসেনও তাদের দুর্নীতি ও ঋণ জালিয়াতির বিরুদ্ধে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। একপর্যায়ে তসলিমা আক্তার খবরের কোনরূপ প্রতিবাদ না জানিয়ে ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোক্তারজ্জামান বিপি ৭৭০৬১০৪৫৯৮।

ওসাবিন ইন্সপেক্টর মোঃ নাজমুল হুদার (৮৩১৩১৪৭৪০৭)যোগসাজশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বরকে বাধা প্রদানের উদ্দেশ্যে আমার ও সাপ্তাহিক দুর্নীতির সমাচারের রিপোর্টার মোঃ উজ্জল হোসেন কে সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি ঘটনা সাজিয়ে ৩৮৫ ধারায় একটা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৫১ তারিখ ১৮/১০/২০৷ মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বর কে থামিয়ে দিতেই মূলত মামলাটি করা হয়েছে।

মামলাটি প্রায় দুই মাস আগে করা হলেও তা খুবই গোপনীয় ভাবে রাখা হয়েছে ৷ এমনকি কোনরূপ তদন্ত করা হয়নি তবে গত ২০/১২/২০ ইং তারিখে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ আমার গ্রামের ঠিকানা যাচাই করতে গেলে আমি বিষয়টি অবগত হই। উল্লেখ্য আমি একসময় সানবীম এন্ড সান বিমের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ফলে আমি শামীমের সহ সকল অপকর্ম কমবেশি জানি ৷

কর্মরত থাকা অবস্থায় সানবিমের দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমাকে চাকরীচ্যুত করা হয়। কিন্তু সানবিম আমাকে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় গত২০/০২/২০ ইং তারিখে সানবিমকে একটি উকিল নোটিশ প্রদান করি ও পরবর্তীতে বিজ্ঞ শ্রম আদালত, ঢাকায় পাওনা টাকার জন্য

একটি মামলা দায়ের করি মামলা নং ৯০৯/২০, তাং২৯/১০/২০ ইং। তিনি অভিযোগে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন উক্ত মামলার পক্ষে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তসলিমা আক্তার, মোক্তারজ্জামান এবং সাব ইন্সপেক্টর মোঃ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান ৷

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 + nineteen =