লাইসেন্স ছাড়াই ১৯টি ইটভাটা, হুমকিতে আছে ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জের পরিবেশ!

0
624

নিজস্ব প্রতিবেদক মো:মুজিবুর রহমান : আগুন এর মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ ইটভাটার মালিকগণ লাইসেন্স ছাড়াই ১৯টি ইটভাটা চালাচ্ছে। এর প্রভাব বিস্তার করে এ এলাকাতে মানুষের জনজীবনের অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে । এই বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ এমনকি জীব বৈচিত্র্যময়ের উপর একটি হুমকির মুখে দুমড়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এর ৫৯নম্বর আইনকে ইটভাটার মালিকগণ তোয়াক্কা না করে কতিপয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পীরগঞ্জ উপজেলাতে ১৯টি ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়াই স্থাপন করেছেন। উক্ত অবৈধ ইট ভাটা গুলোর বিষাক্ত এমনকি কালো ধোঁয়ায়টি স্বাভাবিক নয় এই কারনে পরিবেশ এমনকি জীববৈচিত্র্যটি একটি হুমকির মুখে থুবড়ে পড়েছে । গোপন সূএ মতে জানা যায়, ইটভাটার মালিকগণ সরকারি কর্মরত প্রশাসনকে হাতে করে তাদের নিজস্ব ক্ষমতার বলে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা সেই ইটভাটা গুলো কার্যক্রমটি বেধুম ভাবে সন্চালনা করেই যাচ্ছে ।

যেখানে তারা এই ইটভাটা বানিয়েছে তার পার্শ্বে ফসলাদি জমি চাষাবাদ হয় এমনকি নানা ধরনের ছাছ পালা রয়েছে ।জ্বালানি হিসেবে ব্যাপকভাবে কাঠ পোড়ানোর কারণে বনভূমি উজাড় হচ্ছে এবং ইটভাটাগুলোর আশেপাশে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে সরজমিন খোঁজ নিয়ে ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এমনতি মানুষের চোখ ফাকি দেয়ার জন্য ইট ভাটাগুলো কৃষি জমিতে অবস্থিত এবং ভাটাগুলোর চতুর পার্শ্বে ফসলি জমি ও গাছপালা রয়েছে। অপর দিকে ইটভাটাগুলোর সামনে লোক দেখানো কিছু কয়লা মজুত থাকলেও সেগুলো কয়লার নামে মাএ এতে নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি আছে । এই ভাটা গুলো সেই কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজের অনুপযোগী বলে জানা যায় সেই আইনে ৭ ধারাতে এটি একটি পরিপন্থি কাজ। এই সময়ে পীরগঞ্জ এর ইটভাটাগুলো পরিচালিত মালিকরা পূনরায় আবারো ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছেন। এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের তথ্য মতে পীরগঞ্জে কোনো ইটভাটা নেই।

ইটভাটাতে ইট পোড়ানোর পূর্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে ইট পোড়ানোর জন্য ফায়ারিং সার্টিফিকেট নেয়া বাধ্যতামূলক হলেও সনদপত্র ছাড়াই নিজ খেয়াল খুশিমতো ইটভাটার মালিকরা ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছে। এটি প্রচলিত আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রদর্শনেএমনকি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানালেন । ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলাতে সর্ব মোট ১৯টি অবৈধ ইটভাটা চলমান রয়েছে । ১)এন.বি ব্রিক-আরাজী উজ্জ্বলকোঠা প্রো: নরেশ চন্দ্র রায় , ২) মেসার্স নিপা ব্রিক-২-শিমুলবাড়ি প্রো: মো. লিয়াকত আলী মণ্ডল ৩) সেভেন ব্রাদার্স ব্রিক-পাড়িয়া প্রো: জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) ৪) এম.বি ব্রিক -গুয়াগাঁও, প্রো: শাহাজাহান আলী ৫) এস.বি ব্রিক-গুয়াগাঁও, প্রো: মিজানুর রহমান ৬) এস.বি.এস ব্রিক-গুয়াগাঁও, প্রো: বেলাল হোসেন ,৭) ডি.আর ব্রিক-গুয়াগাঁও, প্রো: আবিদ আকবর , ৮) এবি.এস ব্রিক-ভেলাতৈড়. প্রো: বজলার রহমান, ৮. বি.বি.এস ব্রিক-ভেলাতৈড়, প্রো: বাবলা/বাদল, ১০) এম.এল ব্রিক-গড়গাঁও, প্রো: মতিউর রহমান,১১) এস.বি.বি ব্রিক-ভেলাতৈড়, প্রো: শাহাজাহান, ১২) এ ব্রিক-বৈরচুনা, প্রো: রেজা করিম চৌধুরী ও মহসিন আলী,১৩) এম.এ.এস ব্রিক-দক্ষিণ মাধবপুর, প্রো: আব্দুল মান্নান, ১৪) জে. আর ব্রিক-সিন্দুর্না, প্রো:-জয়নাল আবেদীন,১৫)এস.আর.বি ব্রিক-বৈরচুনা, প্রো: খাইরুল ইসলাম,১৬) এস.বি.এস ব্রিক-সিন্দুর্না, প্রো: বেলাল হোসেন ,১৭) এম.এন.এস ব্রিক-সিন্দুর্না-প্রো: কশিরুল আলম,১৮) এস.বি ব্রিক-নানুহার, প্রো: মামুনুর রশিদ১৯) এস.এস.বি ব্রিক-দৌলতপুর, প্রো: রেজওয়ানুল হক বিপ্লব ।

উক্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে , এই ভাটা মালিক সমিতি নামে তারা একটি আন-রেজিস্ট্রার্ড সমিতি খুলার পড়ে তাড়া প্রতিবছরেই অবৈধ ভাটাগুলো পরিচালনা করে আসছে । তাহলে কি বুঝবো প্রশাসন কিছুই জানে না ? তারা সকল প্রশাসনকে হাতে করে প্রতিটি ভাটা হতে মোটা অংকের মাশুয়ারা দিয়ে থাকেন । উক্ত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে তদন্ত করে সেই ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বলে জানালেন এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা। এখানকার ভাটা মালিক সমিতি এর সভাপতি মো. শাহাজাহান আলী পীরগঞ্জ নিউজ এক্সপ্রেসকে জানালেন, ভাটা তৈরী করার লাইসেন্সটি করতে সরকারী তথ্যে যে জায়গা প্রয়োজন সেটি এমনকি অনেক ধরনের কাগজ তথ্যদি জমা দিতে হয় সেই সকল কাগজ এবং জায়গা আমাদের জন্য জোগার করা খুব কষ্টকর । সে জন্য আমাদের এই পথ অবলম্বন করতে হয়েছে । উক্ত লাইসেন্স এর শর্ত গুলো সহজ করা হলে Avমাদের সকলেই লাইসেন্স করতে পাড়বে । এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এর মতে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখতে চেয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × five =