শ্যামবাজারে পেয়াঁজ ব্যাবসার আড়ালে শিশিরের মাদক ব্যাবসা!

0
764

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় কাউন্সিলর সহ এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিদের চোখ ফাঁিক দিয়ে সুকৌশলে মদ গাজা ইয়াবা বিয়ার সহ বিভিন্ন মাদক জাতীয় পণ্যে যুব সমাজের মাঝে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী কাচাঁ পণ্যের প্রাইকারী বাজার হিসেবে পরিচিতি শ্যামবাজারে পেয়াজ রসুন-আদাসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের ব্যাবসার আড়ালে মাদক ব্যাবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে। শুধু মাদক ব্যাবসা নয়, নিজেও মাদক খেয়ে মাতাল অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর শ্যামবাজারের সাধারণ শ্রমিক ও এলাকাবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগ রয়েছে দ্বীপ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শিশির দে এর বিরুদ্ধে। তবে এক সময়ের ক্যাসিনো কান্ডের সঙ্গে জড়িত গ্রেফতারকৃত এক নেতার সহযোগী হওয়ার কারণে শিশিরের বিরুদ্ধে শ্যামবাজারের কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সুত্রাপুর থানার ৪৩ নং ওর্য়াডের ৩৩ ফরাসগঞ্জ এলাকার মৃত তারক চন্দ্র দে এর ছেলে শিশির দে নিয়মিত ভাবে তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে বসে দীর্ঘ দিন ধরে মদ গাজা, ইয়াবা ও বিয়ার সহ নানা ধরণের মাদক সেবন করে আসছেন। ফলে ব্যাবসায়ী পরিচয়ের পাশাপাশি এলাকায় তিনি একজন মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। নিয়মিত মাদক সেবন করতে গিয়ে এক সময় নিজেও মাদক ব্যাবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় কাউন্সিলর সহ এলাকার গণমান্য ব্যাক্তিদের চোখ ফাঁিক দিয়ে সুকৌশলে মদ গাজা ইয়াবা বিয়ার সহ বিভিন্ন মাদক জাতীয় পণ্যে যুব সমাজের মাঝে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন এলাকায় উঠতি যুবক সম্প্রদায় মাদকের ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছেন। তেমনি এলাকার সার্বিক শান্তিময় পরিবেশও বিনষ্ট হতে চলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় এলাকার লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্যামবাজারের লালকুঠি ঘাট সংলগ্ন দ্বীপ এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় শিশির মাদক সেবন ও বিক্রির আখড়ায় পরিনত করেছেন। প্রায়ই এই কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় শিশির মাদক সেবন ও বিক্রির আড্ডা জমায়। সেই আড্ডা জমানোর দৃশ্য তিনি নিজেই তার সহযোগীদের দিয়ে ছবি তুলে ধারন করে রাখেন, এলাকায় নিজের প্রভাব দৃশ্যমান করার জন্য। অভিযোগ রয়েছে, ক্যাসিনো কান্ডে জড়িত গ্রেফতারকৃত গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা রুপমের এক সময়ের সহযোগী ছিলো শিশির দে। এর ফলে এখনো শিশিরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ র‌্যাব অথবা ডিবিকে শিশিরের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছে শ্যামবাজারের সাধারণ আড়ৎদাররা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 + 20 =