Site icon Aparadh Bichitra

ফ্রি স্টাইলে চলছে রাজউকের দুর্নীতি

এক কালের ডিআইটি পরিকল্পিত শহর গড়ার ও জনসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিল। সিটি ডেভলাপম্যান্ট নামে পরিচিত এই সংস্থাটি তার অতীত গৌরব হারিয়ে জনসেবার ক্ষেত্রে আস্থা হারাচ্ছে। বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নামক এই সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুর্নীতি ও দৌড়াত্ব বেশ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এমনটিই জানা গেছে। জমির ছাড়পত্র, নকশা অনুমোদন ও বিশেষ করে পূর্বাচল শহরে প্লট বরাদ্দ নিয়ে যে হরিলুট চলছে তার লাগাম ধরতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে একটু কঠোর হতে হবে। ‘ঘুষ ছাড়া রাজউকে কোন ফাইল নড়ে না’ শীরোনামে দৈনিকগুলোতে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। দুর্নীতি ও অসৎ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত রাজউকের অনেক কর্মকর্তাকে দুদকের জালে পড়তে হয়েছে।

রাজউক কর্মকর্তাদের সাথে রাজধানী ও এর আশেপাশে ২০২ টি প্লট দখলের অভিযোগ রয়েছে সম্প্রতি বহুল আলোচিত গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে। গত বছর ২১ নভেম্বর র‌্যাব গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে।

অভিযোগ রয়েছে রাজউকের এস্টে ও ভূমি-২ এর পরিচালক শেখ শাহীনুল ইসলাম প্লট দখলে গোল্ডেন মনিরের সাথে জড়িত। গত ৯ ডিসেম্বর শেখ শাহীনুল ইসলামকে ডেকেছে দুদক। শেখ শাহীনুল ইসলাম একাধারে রাজউকের জোর-৬ এর পরিচালক হিসেবেও কর্মরত আছেন।

রাজউকের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা থেকে জানা গেছে তিনি নাকি হাজার কোটি টাকার মালিক। এদিকে রাজউকের অথারাবইজড অফিসার ৩/১ মোহাম্মদ নূর আলমের বিরুদ্ধে দুদক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি রাজউক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

রাজউকের একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে অথারাইজড অফিসার মোহাম্মদ নূর আলমকে জোন-৭ এ কর্মরত অবস্থায় অনিয়ম দুর্নীতির কারণে জোন-৩/১ এ বদলি করা হয়। শেখ শাহীনুল ইসলামের মত তিনিও নাকি প্রচুর টাকার মালিক। এসব দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি স্বচ্ছতার মধ্যে আনা আমাদের দাবি।