আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ! মাজার, মসজিদ ও মাদ্রাসার টাকা লুট করে ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী মাওলানা লেহাজ, বশির ও বেপরোয়া কামাল উদ্দিন গং

0
674

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ্ কবির (রহ:) কেন্দীয় জামে মসজিদের স্ব-ঘোষিত খতিব ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী মাওলানা তকমাধারী লেহাজ উদ্দিন, বশির উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন উত্তরখান হযরত শাহ্ কবির (রহ:) মাজার, মসজিদ ও মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার নাম বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়েছেন বলে জানান মাজার এলাকায় বসবাস রত আপামোর জনগণ। ১৪ই নভেম্বর যোহরের নামাজের সময় হাতুরি এবং লোহার রোড দিয়ে ভাংচুর করে হযরত শাহ্ কবির (রহ:) সহধর্মিনী বিবি সাহেবার মাজার গুরিয়ে দিয়ে এলাকায় বসবাসরত শান্তি প্রিয় জনগণের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে ধর্ম ব্যবসায়ী মৌলবাদী মাওলানা লেহাজ, বশির ও কামাল উদ্দিন গং এর বিরুদ্ধে। উত্তরখান হযরত শাহ কবির (রহ:) মাজার এলাকায় বসবাসরত লোকজনের দাবী লেহাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে কামাল উদ্দিনের নির্দেশে, বশির উদ্দিন ও ফরিদ মাস্টার মাদ্রাসার নিরীহ ছাত্রদের ভূল বুঝিয়ে হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বিবি সাহেবার মাজারটি ভেঙ্গে ফেলে। অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করে বিদেশে টাকা পাচার করা এবং সরকার বিরোধী আন্দলনে তার লেহাজ উদ্দিন, বশির উদ্দিন ও জামাত নেতা  নাজিম উদ্দিন গং কে রাতের আঁধারে প্রত্যক্ষ মদদ দেওয়া সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন নিজেকে হযরত শাহ্ কবির (রহ:) মাজার এষ্টেটের স্বঘোষিত সভাপতি দাবি করে প্রায় ১৪ বছর যাবৎ মাজার মসজিদ ও এতিম খানার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাত করা এহেন কর্মকান্ড নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও তারা স্বপদে বহাল থাকায় স্থানীয় জনগণ, আশেকান পাগল ফকির ও বক্তবৃন্দদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কামাল উদ্দিন কোটি কোটি টাকা এ দেশ থেকে পাচার করে কানাডায় বাড়ি কেনার পরেও ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ, দুদক সহ স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিনের ছত্র ছায়ায় এস এস সি পর্যন্ত লেখা পড়া করে লেহাজ উদ্দিন মাজার মসজিদের ইমাম, খতিব ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করে, তার মদদে বশির উদ্দিন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করে ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়াও তিনি জামাত নেতা নাজিমুদ্দিনকে জামাই আদরে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব দেন। তিনি ক্ষেত্র রায়ের পুত্র সুজনকে হযরত শাহ্ কবির (রহ:) খাদেমের দায়িত্ব দেওয়ায় স্থানীয় আলেম সমাজ ও জনগণের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উত্তরার বিভিন্ন মসজিদের সম্মানিত খতিব, স্থানীয় আলেম সমাজ ও মুফতি, মোহাদ্দেসদের সাথে আলাপ করে জানা যায় এ ধরনের বড় পরিসরের যে কোন মসজিদের খতিব ও  মাদ্রাসায় প্রিন্সিপাল হতে হলে ইসলামি শিক্ষায় সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী হতে হবে। অযোগ্য মাওলানা তকমাদারি লেহাজ উদ্দিন, বশির উদ্দিন ও সুজনকে  দিয়ে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলকার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ ও মাদ্রাসার আনুসাঙ্গিক ইসলামিক ও শরিয়ত সম্মত কর্মকান্ড সঠিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে না বলে জানান এলাকার ধর্ম প্রাণ মুসল্লিগণ।

উত্তরখানে বসবাসরত সর্বস্তরের জনগণের দাবী, কামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন উত্তরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা ও সুয়ারেজ লাইন ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা এবং সরকারী বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং এই টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডায় সেকেন্ড হোম নিয়েছে। বর্তমানে কামাল উদ্দিনের ছেলে মেয়ে সবাই কানাডায় লেখা পড়া করা সহ সেখানে বসবাস করছেন। তিনি ইউপি সদস্য থাকাকালীন সময় তার নিজস্ব বাহিনীদের দিয়ে উত্তরখানের প্রতিটি অলিগলি থেকে উন্নয়নের কথা বলে সাধারণ নাগরিকদের বোকা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

একাদিক সূত্রে আরো জানা যায় মাজার ওয়াকফ্ এস্টেট দীর্ঘ ১৪ বছরে আনুমানিক ৭ থেকে ৯ কোটি টাকা কামাল গং আত্মসাৎ করেন। আরো জানা যায় মো: আশরাফ আলী ও মো: নজরুল ইসলাম কর্তৃক হযরত শাহ্ কবির (রহ:) মাজার এষ্টেটে দানকৃত দুই কোটি টাকা মূল্যের ৩ শতাংশ জমি জামাত নেতা জনৈক জামান-কে জামান টাওয়ার নির্মানে সহযোগিতা করে উক্ত জমি অবৈধ ভাবে জামানকে দিয়ে প্রায় ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কামাল উদ্দিন ও লেয়াজ উদ্দিন গং।

মো: লেহাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে হযরত শাহ্ কবির (র:) মাজার কেন্দ্রীয় মসজিদে তিন হাজার টাকা বেতনে চাকুরীতে যোগদান করে ইমাম ও খতিব এর দায়িত্ব পালন করাকালীন সময়ে মসজিদ এবং মাদ্রাসার অনুদানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে তিনি দক্ষিণখান ও পূর্বাইল এলাকায় একাদিক প্লট ক্রয় করে কয়েকটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। আরবি শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়েও তিনি মসজিদের মুসুল্লিদের বিভিন্ন ভুল হাদিস ও মাসলা মাসায়েলসহ উসকানি মূলক কথাবার্তা বলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন মাজার এলাকার লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছেন।

হাজার হাজার মুসুল্লি প্রতি শুক্রবার মাজার কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে আসে অথচ অযোগ্য এবং অদক্ষ খতিব লেহাজ উদ্দিন মাওলানা তকমা লাগিয়ে শুধুমাত্র নিজের আখের ঘুচিয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। লেহাজ উদ্দিন তার সহযোগী বশির উদ্দিন ও জামাত/শিবির নেতা নাজিম উদ্দিনকে সাথে নিয়ে হযরত শাহ্ কবির (রহ:) এস্টেট এর এতিমখানাকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় রূপান্তরিত করে সেখানে জঙ্গীবাদের ট্রেনিং দেয় বলে জানায় স্থানীয় জনগন।

এস এস সি সমমানের মদ্রাসা থেকে পাস করা লেহাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, মাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন, অথচ ইমাম ও খতিব হওয়ার কোন যোগ্যতাই তার নেই বলে জানান এলাকার আলেম সমাজ।

জানা যায় তিনি বিভিন্ন সময় হযরত শাহ্ (রহ:) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর মুসুল্লিদের মধ্যে বিবাদ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন এছাড়াও ওলী আউলিয়াদের সম্পর্কে উসকানি মূলক বক্তব্য দেন এবং তাদের মাজার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে যা নাকি একজন ইমামের ইমানী দায়িত্বের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী জানান লেহাজ উদ্দিন গত ১৪ই নভেম্বর মৌলবাদীদের সাথে নিয়ে জোহরের নামাজের সময় হযরত শাহ্ কবির (রহ:) এর সহধর্মীনী বিবি সাহেবার মাজারটি ভেঙ্গে ফেলার পরেও কিভাবে সে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে।

মো: বশির উদ্দিন, দুই হাজার পাঁচশত টাকা বেতনের চাকুরীতে যোগদান করে দীর্ঘদিন ধরে হয়রত শাহ্ কবির (রা:) মাজার ওয়াকফ্ এস্টেট ও মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন, তিনি মাদ্রাসা, এতিমখানা ও ওয়াকফ্ এস্টেট এর বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উত্তরখান মাজারের পাশের্^ জমি ক্রয় করে ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি তৈরি করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও অদৃশ্য শক্তির বলে মো: বশির উদ্দিন অষ্টম শ্রেণী সমতুল্য লেখা পড়া করে মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপালসহ গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বপালন করে আসছেন, যা শিক্ষাব্যবস্থার নিয়মবর্হিভূত।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বশির উদ্দিন এতিমখানার ছাত্রদের থাকার রুমগুলোতে সে ব্যক্তিগত পরিচিত ছাত্রদেরকে এনে রাখে এবং সেখানে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড লাগিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অনুদান এনে আত্মসাৎ করেন। এতিমখানা, মাদ্রাসা ও মসজিদ এর নামে বিভিন্ন অনুদান ও চাঁদার টাকা দীর্ঘদিন যাবৎ উনি নিজেই গ্রহণ করেন এবং তা নিজেই খরচ করেন, যার কোন সুনিদিষ্ট হিসাব নেই।

সূত্রে আরও জানা যায়, অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন এবং অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে বশির উদ্দিন তার বাড়িতে একটি মাদ্রাসা তৈরি করেন। সেখানে তিনি তার নিজ বাড়ির তিন তলায় সকল অংশ বাঁশ এবং কাপড় দিয়ে ঘিরে রেখে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদেরকে জঙ্গীবাদের ট্রেনিং দেয় বলে এলাকাবাসীর দাবী।

ফরিদ মাষ্টার মাজার ওয়াকফ্ এস্টেট এক সময় অর্থ সম্পাদক ছিলেন, সূত্রে জানা যায় তিন থেকে চার হাজার টাকা বেতনের চাকুরী করে বর্তমানে বাড়ী, গাড়ী সহ একাধিক প্লট ও অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। মো: কামাল উদ্দিন, লেহাজ উদ্দিন এবং গফুরমুন্সীর সহযোগী হিসেবে ফরিদ মাষ্টার দীর্ঘদিন তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের সহযোগি হয়ে প্রতিটি সেক্টরের দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে মাজার ওয়াকফ্ এস্টেট এর জায়গায় অবৈধভাবে নিজ নামে ও আত্মীয় স্বজনের নামে দোকান/ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। 

মো: সুজন, পিতা-ক্ষেত্র রায়, উনি একজন নব মুসলমান, কোন প্রকার ধর্মীয় শিক্ষা এবং ইসলামী জ্ঞান অর্জন ছাড়াই সুলতানুল আউলিয়া, হয়রত শাহ্ কবির (রহ) মাজারও  মসজিদের অদৃশ্য শক্তির বলে তিন বছর যাবৎ খাদেমের দায়িত্ব পালন করেন। হযরত শাহ্ কবির (রহ:) এর মাজার এস্টেট এর উপর নির্মিত মসজিদ এ হাজার হাজার মুসুল্লি নামাজ পরেন।

উত্তরখান এলাকায় খাদেম হওয়ার উপযুক্ত অনেক লোক থাকা সত্বেও শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থ হাছিলের উদ্দেশ্যে কামাল উদ্দিন লেহাজ উদ্দিন বশির উদ্দিন ও ফরিদ মাষ্টারের অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য মো: সুজনকে নব মুসলমান করে খাদেম হিসাবে দেখানো হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।

স্থানীয় জনগণ, এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান, মাজারে আগত জেয়ারতকারী পাগল ফকির ও আশেকান ভক্তবৃন্দ ওয়াকফ্ প্রশাসক, অফিসিয়াল মুতাওয়াল্লি ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে বলেন দুর্নীতিবাজ অর্থ আত্মসাতকারী বেপরোয়া কামাল উদ্দিন, লেহাজ উদ্দিন, বশির উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, ফরিদ মাস্টারকে আইনের আওতায় এনে তাদেরকে বহিস্কার করে মাজার মসজিদে কুরআন হাদিসের ব্যখ্যা জানা যোগ্য ইসলামি আদব কায়দায় নিয়োজিত আলেমকে ইমাম ও খতিব হিসাবে নিয়োগ দিয়ে মসজিদ এবং

মাজারের পবিত্রতা রক্ষার করা হোক। হযরত শাহ্ কবির (রহ:) মাজার এষ্টেট কেন্দ্রিয় মসজিদের ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, মাজারের খাদেম ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগ প্রক্রিয়া ও মাজার, মসজিদ ও মাদ্রাসার নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত সম্পর্কে ওয়াক্ফ প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন এই বিষয়গুলো তার সঠিক জানা নেই।

৩৫০ শত বছর পুরানো বিবি সাহেবার মাজার ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি সম্পর্কেও তিনি কিছুই জানেন না, টাকা আত্মসাত ও মাজার এষ্টেটের অনিয়ম সহ যে কোন ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

হযরত শাহ্ কবির মাজার ভাংচুর, এষ্টেটের কোটি কোটি টাকা লুটপাট, কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম, খতিব ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপালসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়োগ, খাদেম নিয়োগের পক্রিয়া ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তথ্য জানার জন্য অফিসিয়াল মুতাওয়াল্লি শাহনাজ সুলতানাকে তার মুঠেফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × four =