বিমানবন্দরের পার্কিং অবৈধ দোকান বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

0
587

জেমস্ এ কে হামীম: বিমানবন্দর-দক্ষিণখান সড়কের আশকোনা রেল ক্রসিং থেকে হাজি ক্যাম্পের সামনের অংশ পর্যন্ত থাকা ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে কাঁচাও কাপড়ের দোকান। এ কারণে স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যাঘাত, সারাক্ষণই লেগে থাকছে জট। সরেজমিনে দেখা যায়, বিমানবন্দর থেকে দক্ষিণখান ইউনিয়নগামী সড়কটির বিমান বন্দর রেলক্রসিং থেকে শুরু করে হাজি ক্যাম্পের বিপরীত অংশের প্রায় ২০০ মিটার ফুটপাত ও রাস্তা দখলে চলে গেছে। সেখানে বসেছে শতাধিক শাকসবজি, ফলমূল, তরিতরকারি ও মাছের দোকান। পাঁচ ফুট চওড়া ফুটপাত এত সরু হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে এসব দোকানি বসছেন স্থায়ীভাবেই। আর যাঁরা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তাঁরা মালামাল নিয়ে বসে পড়েছেন রাস্তার ওপরই। এমনকি রাস্তার বিভাজকের ওপরেও রাখা আছে ফলের ঝুড়ি, সবজির বস্তা প্রভৃতি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মূল সড়কে নেমে মাঝপথ বরাবর।

জনৈক বাসিন্দা রেদওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশেই বাজার বসে গেছে। হেঁটে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। মাস দুয়েক আগে এখানে প্রথমে দু-একজন ব্যবসায়ী খাঁচায় করে ফলমূল বিক্রি করতেন। পরে দিন দিন দোকানের পরিমাণ বাড়তে থাকে।’

ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে ভিড়ের কারণে সামনে এগোতে পারছিলেন না এক পথচারী। তিনি বলেন, ফুটপাতের যেটুকু অংশ ফাঁকা আছে, সেটা তো লোকজনের চলাচলের জন্য নয়। ওই অংশটা হলো ক্রেতাদের দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করার জন্য। রাস্তার ওপর দোকান, মূল সড়কে হেঁটে চলা মানুষ, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, রিক্সাসহ মিলিয়ে একটা প্রচ্ছত বিশৃঙ্খল অবস্থা। একটু পর পর লেগে যায় যানজট।

দক্ষিণখান থানার বাসিন্দা এনায়েত উল্লাহ বলেন, এটি অনেক ব্যস্ত সড়ক। এখান দিয়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও রাজধানীমুখী মানুষের সার্বক্ষণিক চলাচল থাকে। তার মধ্যে এখানে একটি লেভেল ক্রসিং আছে। এমন একটি স্থানে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে কাঁচাবাজার গড়ে ওঠায় জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিমানবন্দরের রেলস্টেশনের সামনের পাকিং ইজারা দিচ্ছে রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মী আর এন বি ফিরোজ আলম। তিনি দৈনিক পেয়ে থাকেন প্রায় ২ লাখ টাকার বেশী।

ফিরোজ আলমের ক্যাশিয়ার হিসাবে রয়েছে বিমানবন্দরের ছিনতাইকারী গডফাদার আকতার হোসেন।যার নেতিত্বে সামনের পার্কিং দখল করে স্টেশন মাষ্টার মরন চাদ মাসহারা পেয়ে থাকে প্রতিনিয়ত।এব্যাপরে ফিরোজ আলম বলেন, আমি এসব কোন কাজ করিনা যারা করে তাদের নামে নিউজ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 − 12 =