স্টাফ রিপোর্টার : ভাটারা থানার ওসি মোক্তারূজ্জামানের নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। ভাটারা থানা এলাকাধীন বিভিন্ন সড়ক ও অলি-গলিতে একটি সিন্ডিকেড গঠন করে (কিছু নামধারী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায়) ফুটপাত দখল করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি করে আসছেন ভাটারা থানায় যোগদানের পর থেকে। তিনি তার আধিপত্য এতটাই শক্তিশালী করেছেন যে অবৈধ সিএনজি, অটোরিক্সা, কয়েকটি স্থানে গড়ে ওঠা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং এর ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, আদম ব্যবসাসহ নানা বেআইনি কর্মকাণ্ডের পরোক্ষ মদদদানকারী ওসি মোক্তারূজ্জামান। তার কথার বাইরে গেলে কথিত অভিযোগে থানায় ধরে এনে নির্যাতন, অর্থ আদায়, এমনকি কখনও কখনও মিথ্যা মামলা দিয়ে চালান করার মতো নানা ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন ওসি মোক্তারূজ্জামান। সম্প্রতি দৈনিক মুক্তখবর এর বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মোল্লা(এ.আর. মোল্লা) ও সাপ্তাহিক দুর্নীতি সমাচারের রিপোর্টার উজ্জল হোসেন কে একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন ওসি মোক্তারূজ্জামান। দুই সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোয় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক মহল ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সাংবাদিকদ্বয়ের মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সাংবাদিক এ.আর. মোল্লা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (গুলশান বিভাগ) এর কার্যালয়। তদন্তের স্বার্থে এডিসি সৈয়দ মামুন মোস্তাফা (গুলশান বিভাগ)একটি লিখিত পত্রের মাধ্যমে সাংবাদিক এ.আর. মোল্লাকে গত ০৫/০১/২১ ইং তারিখে তার নিজস্ব কার্যালয়ে হাজির হয়ে তার বক্তব্য পেশ করতে বলা হয়।
এ.আর. মোল্লা মিথ্যা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত তিনটি সংবাদের কপি, বাদীর কাছে পাওনা টাকা চেয়ে উকিল নোটিশের কপি, পাওনা টাকার জন্য বিজ্ঞ শ্রম আদালতে মামলার কপিসহ সকল প্রকার প্রমাণাদি নিয়ে এডিসি সৈয়দ মামুন মোস্তাফার কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য পেশ করেন ও তার বিরুদ্ধে করা মামলার ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বরকে থামিয়ে দিতেই মূলত তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও দাবি করেছেন যেহেতু মামলাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট তাই আমি নিশ্চিত করে বলছি ওসি মোক্তারূজ্জামান আমার বিরুদ্ধে কোনরুপ প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারবেন না।
তাই আমি ওসি মোক্তারূজ্জামানের সাথে আপনাকে নিয়ে সামনা সামনি কথা বলতে চাই। এক পর্যায়ে এডিসি সৈয়দ মামুন মোস্তাফা ন্যায় বিচার গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন ও পরবর্তীতে ওসি মোক্তারুজ্জামান বাদী তসলিমা আক্তার এবং আমাকে একসাথে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
মিথ্যা মামলা গ্রহণ প্রসঙ্গে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, বর্তমানে মামলাটি ডিবি’তে আছে। আপনি ডিবি’র যিনি আয়ু তার সাথে যোগাযোগ করেন। মামলাটির পক্ষে আপনার কাছে কি প্রমাণ রয়েছেএমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননিওসি মোক্তারুজ্জামান।