পাথরঘাটার মূর্তিমান আতঙ্কের নাম সোহেল ওরফে নব্য এরশাদ শিকদার

0
783

রাশেদুল ইসলাম: পাথরঘাটা পৌরসভার বিতর্কিত কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। তার দাদা মজিদ মিয়া ছিলেন চিংড়ি মাছ বিক্রেতা আর বাবা নুরুল আমিন বিক্রি করতো চিরাই কাঠ। বংশগতভাবে দাদা ও বাবার মতোই বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরোতে পারেনি সোহেল। এলাকায় অনেকেই তাকে টোকাই হিসেবে চেনে। হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ প্রায় সব ধরণের অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এই সোহেল। সোহেল ও তার বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনের কাছে অসহায় পাথরঘাটাবাসী। তাহলে কিভাবে তিনি জনপ্রতিনিধি হলেন! এ প্রশ্ন এখন সবার মনে। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে সোহেলের অপরাধ জগতের চাঞ্চল্যকর তথ্য। সোহেলের উত্থান: ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সোহেল মাছ বাজারে টোকাই হিসেবে এক নামে পরিচিত ছিলেন। সকালে ট্রলার থেকে মাছ নামানোর কাজ করতেন। এতে আড়তদাররা মণপ্রতি তাকে ২০ টাকা করে দিতেন। সারাদিনে মাছ কিনারে তুলে দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা পেতেন। এ দিয়েই তার নিজের খোরাকি চালাতেন। পরে কক্সবাজারের মাছ ধরার ট্রলার মাছ বিক্রি করতে যখন পাথরঘাটায় আসে তখন তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে মাদকের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এতে রাতারাতি অনেক টাকার মালিক হয়ে যান। ২০০৯ সালে সংসদ নির্বাচনের পর বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম সবুর টুলু এমপি নির্বাচিত হলে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে প্রভাব খাটিয়ে ২০১০ সালে মাছ ঘাটের শ্রমিক নেতা হিসেবে সংগঠনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএফডিসি মৎস্য ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। আস্তে আস্তে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাথরঘাটা পৌরসভার প্রথম ধাপের নির্বাচনে সোহেল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

এরপরই প্যানেল মেয়র হিসেবে তাকে সম্মানিত করা হয়। বর্তমানে পাথরঘাটায় এক মূর্তিমান আতংকের নাম সোহেল। মৎস্য সংগঠনের কিছু লোক নিয়ে এখন পর্যন্ত তার সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানাসহ আদালতে প্রায় অর্ধশত মামলা রয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারনে সবসময়ই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। শ’খানেক মেয়েকে ধর্ষণের সাথে জড়িত সোহেল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাশে রকিবুল ইসলাম নামে একজন নিরীহ ব্যক্তি থেকে জোরপূর্বক দখল করেন জায়গা।

আর সেখানে অবৈধভাবে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে ডজন খানেক মেয়ে নিয়ে সবসময় ফূর্তিতে মশগুল থাকেন। আর তার পাহারায় থাকে ৬০-৭০ জনের বিশাল একটি গ্যাং। বলা হয়, এলাকার মাদক, কিশোর গ্যাং, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যাসহ সব ধরণের অপকর্মের মূল হোতা মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষকে অবৈধ কালো টাকা আর ব্যাগ ভর্তি ইলিশ মাছ দিয়ে সবকিছুর আড়ালে থেকে যায় সোহেল।

ধর্ষণের রাজা সোহেল:

সোহেলের নামে হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ প্রায় অর্ধশত মামলা রয়েছে। অজ্ঞাত কিশোরীকে গণ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায়ও আসামী সোহেল। এমন জনশ্রুতিও রয়েছে, নিহত তরুণী যশোর, খুলনা থেকে মাদক নিয়ে পাথরঘাটা আসতো। মাদক রেখে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বরগুনায় নারী নির্যাতনের মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।

উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামের মেয়ে পাথরঘাটা আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সোহেলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। সে বলে, ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে থানা থেকে ২শ’ গজ দূরে ডিগ্রাজ ব্রিজের কাছ থেকে তাকে ধরে নিয়ে সোহেলের ভাই বেল্লালসহ কয়েকজন তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। তিন দিন পর পাথরঘাটা থানার ওসি ওই ছাত্রীকে সোহেলের আস্তানা থেকে উদ্ধার করেন।

এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে ওই মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য তার মাকে মেরে ফেলার জন্য বারবার হুমকি দেয়। পরে মামলাটি বাদী না উঠালে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ওই ছাত্রীকে দ্বিতীয়বার তুলে এনে ধর্ষণ করে। প্রথম মামলায় থানায় টাকা দিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাপিয়ে রাখলেও পরের ঘটনার মামলায় সোহেলের বিরুদ্ধে বরগুনার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাকে সশরীরে কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন।

পরে ওই মামলায় কোর্টে আত্মসমর্পণ করলে সোহেলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছের পাইকারি ব্যবসা শুরু করেন নুর আলম নামে এক ব্যবসায়ী। ব্যবসার শুরুতেই ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বিএফডিসি’র শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।

চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বিএফডিসিতে তার ব্যবসা বন্ধ করে দেন মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল। নুর আলম ঢাকায় মাছের পাইকারি ব্যবসা শুরু করলে ক্ষিপ্ত হন তিনি। নুর আলমের ভাগ্নি জেএসসি পরিক্ষা দিতে যাওয়ার সময় তাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যায় সোহেল ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে দুই দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করে তারা। এছাড়াও বহু মেয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষনের শিকার হচ্ছে এই বাহিনীর কাছে। অনেকে বিচারপ্রার্থী হলেও সোহেলের ভয়ে দিন কিংবা রাতের আঁধারে ধর্ষণের শিকার বহু নারীর আর্তনাদ চার দেয়ালের ভেতরেই ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।

চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য:

বংশগতভাবে অশিক্ষিত হলেও পাথরঘাটায় পারিবারিকভাবেই গড়ে তুলেছেন অপরাধ জগত আর আধিপত্যের সিন্ডিকেট। কালো টাকার বিনিময়ে সোহেল পরিবারের মাথার ছায়া হয়ে আছে উপর মহলের কিছু অসাধু নেতা। আর তাদের প্রশ্রয়ে টোকাই সোহেল নিজেকে শহরের পিতা হিসেবে দাবি করছেন। তার বাবা পাথরঘাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি, ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহাগ। মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না থেকেও ১৯টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে রেখেছেন।

তিনি পাথরঘাটা বিএফডিসি পাইকারি মাছ বাজারের ঘাট শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি। সেখান থেকেই তিনি বড় ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, কথিত বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল পাথরঘাটার মাদক ও মৎস্য বন্দর বিএফডিসি নিয়ন্ত্রণ করেন। অনুসন্ধান বলছে, পাথরঘাটা বিএফডিসি মাছ বাজারে সোহেলের একক আধিপত্যের কাছে জিম্মি সব আড়তদার ও পাইকার।

মাছ কিনতে সোহেলকে সব পাইকার প্রতি মণে ৩শ’ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে পাইকারদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫/২০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। তার চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পায় না খেটে খাওয়া দিনমজুররাও। অভাব যাদের প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়ায় সেই দিনমজুরদের শরীর ঘাম বিক্রি করে নিজের পকেট ভরেন সোহেল।

তার সংগঠনের সদস্য ব্যতীত কোন শ্রমিক ঘাটে কাজ করার সুযোগ পায় না। আর যারা সদস্য হয় তাদের দৈনিক মজুরি ৬০০/৭০০ হলেও দিন শেষে ভাগ্যে জোটে মাত্র ২০০/৩০০ টাকা। এর প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের ঘাটে ব্যবসা করতে দেয় না সোহেল। আর মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের সময় আড়তদারদের কাছ থেকে প্রতি লাখে নেয়া হয় ৫০০ টাকা। বরফ ব্যবসায়ীদের দিকেও কুদৃষ্টি রয়েছে সোহেলের। ক্যান প্রতি চাঁদা দিতে হয় ৩০ টাকা।

পরিবহনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাছ বহন করতে হলে কার্টুন প্রতি ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় সোহেলকে। ইলিশ মাছ পরিবহনের সময় ট্রাক প্রতি চাঁদা দিতে হয় ২ হাজার টাকা। শ্রমিকদের ঠকিয়ে পরিবহনের লেবার জামালের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করা হয়। তার সংগঠনের প্রায় এক হাজার সদস্যের কাছ থেকে জবাবদিহিতা ছাড়াই বছরে আদায় করা হয় প্রায় ৬ লাখ টাকা। বিনা কারণে শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে শ্রমিক ছাঁটাই করে নতুন শ্রমিক অন্তর্ভুক্তির নামে আদায় করা হয় বিপুল অংকের টাকা।

শ্রমিকদের বিলের টাকা থেকেও শতকরা ১০ ভাগ যায় সোহেলের পকেটে। আর শ্রমিকের দৈনিক কালেকশন খাতা থেকেও মোটা অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়ে নেয় সোহেল। শুটকির আড়তেও রয়েছে সোহেলের আধিপত্য। আড়তদাররা মাথাপিছু ১০/২০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে বাধ্য থাকে। শুধু চাঁদা নয়, ধারের নামেও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় অর্থ। আর ফেরত চাইলে হুমকির মুখে পড়তে হয় তাদের।

পাইকার সমিতির সভাপতি আলম মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শহিদ মোল্লার কাছ থেকে ১০ লাখ ধার হিসেবে নিলেও সেই টাকা এখনো ফেরত পায়নি তারা। একইভাবে বরফ ভ্যান সমিতির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক জলিল মিয়ার থেকে ৭ লাখ টাকা ধার নেয় সোহেল। তবে সেই টাকার কোন কুল কিনারা হয়নি আজও। এ ছাড়া খাবার মাছ হিসেবে প্রতি আড়ত থেকে তার পছন্দ মতো দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মাছ নিয়ে যায়।

ইলিশ মৌসুমে আরও বেশি নেয়। মাছ দিয়ে প্রভাবশালীসহ প্রশাসন ও এমপিদের ম্যানেজ করেন তিনি। বিএফডিসিতে সোহেলের এ আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করে তার নিজ হাতে গড়া একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। এই বাহিনীকে সবাই লইট্টা বাহিনী হিসেবেই চেনে। মাদক ব্যবসাসহ বিএফডিসির বিভিন্ন খাত থেকে প্রতি মাসে এভাবেই প্রায় কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেন তিনি।

শুধু সোহেল নয়, তার বাবা বিএফডিসি আড়তদার সমিতির কথিত সভাপতি নুরুল আমিনও অসহায় দিনমজুরদের ভাগ্য নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। লেবার অর্ন্তভুক্তির নামে নেয়া হয় জনপ্রতি ৬/৭ হাজার টাকা আর প্রতি বছর নবায়ণের জন্য নেয়া হয় ৫০০/১০০০ টাকা। যেখানে কাজ করার কথা ১০০ জনের সেখানে নিজের পকেট ভারী করতে নুরুল আমিন টাকার বিনিময়ে ভর্তি করান প্রায় ১২০০ জন লেবার।

অপরাধ জগতের গডফাদার:

সূত্র বলছে, সোহেল গত ৫ বছরে চাঁদাবাজি করে ৫ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার একটি টিনশেড বিল্ডিং নির্মাণে কোটি টাকার বেশি খরচ করেছেন। ৬ হাজার স্কয়ার ফুট চারতলা বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে। বিএফডিসি মাছ বাজারের পাশে রফিকুল ইসলাম নামের এক প্রবাসীর জায়গা দখল করে সোহেল তার আস্তানা তৈরি করেছেন। সেখানে বসে তার সব সন্ত্রাসী কর্মকা- চালান।

পুলিশ তার আস্তানা থেকে কয়েকবার অপহৃত নারীদের উদ্ধার করেছে। আর প্রয়াত ডা: দলিল উদ্দিনের জায়গা দখল করেও সোহেল বানিয়েছেন দোতলা ভবন। এ ভবনেও চলে নানা অপরাধ কর্মকান্ড। ব্যবহার করা হয় টর্চার সেলের কাজে। সোহেলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে রক্ষা পায়নি শ্রমিক।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের (বিএফডিসি) শ্রমিক সেলিম মিয়াকে সোহেল ও তার বাহিনী পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয়। তার কালো থাবা থেকে বাদ যায়নি সাংবাদিকও। সোহেলের অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় পাথরঘাটায় সমকালসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকার বান্ডিল খালের পানিতে ফেলে দেয় সোহেল বাহিনী।

বাঁধা দেওয়ায় সেসময় পত্রিকার হকার রুহুল আমিনকে মারধর করা হয়। এমনকি সাংবাদিকদের ঘায়েল করতে সমকাল প্রতিনিধি ইমাম হোসেন নাহিদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করা হয়। এমনকি বিভিন্ন পত্রিকায় ব্যবসায়ী নেতা সাফায়েত হোসেন সাক্ষাতকার দেয়ায় তার ছেলে বায়েজিদের কান কেটে নেয় সোহেল বাহিনী।

জনপ্রতিনিধি হলেও মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের আতংকে প্রতিনিয়ত দিন কাটছে পাথরঘাটাবাসীর। সোহেলকে দ্বিতীয় এরশাদ শিকদার রূপে দেখছেন তারা। এলাকাবাসী বলছেন, অবৈধভাবে ক্ষমতার দাপটে যার উত্থান হয়েছে, বাংলার মাটিতে তার পতনও অনিবার্য। দ্রুত সোহেল ও তার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি চায় তারা। এজন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন আপামর জনসাধারণ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × three =