দিহান-আনুশকার ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট ফাঁ’স- ‘চা;ঞ্চল্যকর’ তথ্য পেল পু’লিশ

0
845

রাজধানীর কলাবাগানের ডলফিন গলি এলাকায় ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পর অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বয়ফ্রেন্ড ফা’রদিন ইফতেখার দিহান ও তিন ‘সহপাঠীর বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই তরুণী (১৭) ও লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার নাম আনুশকাহ নূর আমিন।ডলফিন গলির বাসায় ফারদিন, তার বড় ভাই, গ্রামের দূর স’ম্পর্কের এক চাচাতো ভাই থাকেন। এবং তার বাবা আরেক ভাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে থাকেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত জে’লা রেজিস্ট্রার। ফারদিনের নানা অসুস্থ হওয়ায় ঘটনার দিন তার মা নানাকে দেখতে বগুড়ায় যান।

তাই আগের দিন মুঠোফোন ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করার সময় ফারদিন আ;নুশকাকে জানায় তার বাসা খালি থাকবে। চাইলে সে আসতে পারে।ফারদিন জানিয়েছে, আনুকা বেলা সাড়ে ১১টায় তার মা’কে ফারদিনের বাসায় যাওয়ার কথা জানিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় তিনি আনুশকাকে দুপুরের খাবার কিনে দেয়ার কথা বললেও তারা নেয়নি।

পরবর্তীতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের মেট্রো শপিংমলের কাছ থেকে আশকাকে সঙ্গে নিয়ে ফারদিন কলাবাগান মোড়ে লাজফার্মা’র কাছে রেখে সে একা বাসায় প্রবেশ করে।এ সময় আনুশকাকে জানায়, বাসায় ঢুকে ফোন দিলে সে যেন বাসায় যায়। আনুশকা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ভাবেই ফারদিনদের ফাঁকা ফ্ল্যাটে কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই প্রবেশ করে।

আ;নুশকার সঙ্গে তার দৈহিক স’ম্পর্কের পরিকল্পনা আগে থেকেই করে রেখেছিলো ফারদিন। কিন্তু আনুশকা জাতো তারা বাসায় গিয়ে কিছুক্ষণ গল্প করে পরবর্তীতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফারদিনের ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যাবে। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পরে কথা বলার এক পর্যায়ে ফারদিন আনুশকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে হঠাৎ দুপুর ১টা ২৫ মিনিটের দিকে দিহান আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদো কাঁদো স্বরে কথা বলে।

জীবনে ওকে আমি কখনও কা’ন্না করতে দেখিনি। ফোন দিয়ে বলে, ‘ভাইয়া বাসায় বান্ধবীকে নিয়ে এসেছিলাম। অ’জ্ঞান হয়ে গেছে। হাসপাতা’লে নিয়ে যাচ্ছি। তুমি আসো, তুমি ছাড়া আমাকে কেউ বাঁ’চাতে পারবে না।’দিহানের ভাই আরও বলেন, আমি ভয় পেয়ে যাই। তখনই আমার কর্মস্থল থেকে বের হয়ে এসেছি।

দিহান বারবার ফোন দিচ্ছে ‘ভাইয়া তুমি দ্রুত আসো। পরে দুপুর ১টা ৫০-এর দিকে আবার ফোন করে। তখন বলে, ভাইয়া ও তো মারা গেছে’। তখন আমি বলি, কে মা’রা গেল ঠিকঠাক মতো বলো। দিহান বলে তুমি হাসপাতা’লে চলে আসো দ্রুত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five + seven =