Site icon Aparadh Bichitra

ছাড়তে হয়েছে লবণচাষ, এখন চায়ের দোকানি মুনাফ

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পাশে ছোট্ট চায়ের দোকান আব্দুল মুনাফের। এর পার্শ্ববর্তী উত্তর মহেরঘোনা গ্রামে ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন তিনি।

আব্দুল মুনাফ আগে ছিলেন লবণ বর্গাচাষি। মাঝে মাঝে সমুদ্রে জাল ফেলে মাছও ধরতেন। তবে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ এবং বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের পর তার লবণচাষ ও মাছ ধরার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকল্পে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এখন তিনি চায়ের পাশাপাশি হালকা নাস্তার খাবার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

মুনাফ বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও বন্দরের প্রকল্পের কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য শেষ। আগে সাগরে জাল বসাতাম, সেগুলো উঠে গেছে। এখন আর বসাতে দেয় না। লবণ, ধান, মাছের ঘের চাষ চলে গেছে। এখানে আমাদের এলাকার অনেক জায়গা-জমি ছিল। এখন এই টুকটাক ব্যবসা করি আর কি।’

আক্ষেপ করে মুনাফ বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রকল্পের শুরুতে আমাদের এলাকার লোকজনকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের এলাকার লোকেরা চাকরি না পেলেও এখানে বাইরের লোকেরা কাজ করছে। বাইরের ৯০০ জন চাকরি পেলে, আমাদের পেয়েছে মাত্র ১০০ জন।’

সাগরের কোলঘেঁষে মহেশখালীর এই দুর্গম অঞ্চলটিতে দুটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। এর মধ্যে মাতারবাড়ি ২×৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরিতে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। পাশাপাশি বাস্তবায়নাধীন এই দুই মেগা প্রকল্পের কিছু অংশ মাতারবাড়ির সঙ্গে ধলঘাটা ইউনিয়নেও পড়েছে।