ঢাকার কেরাণীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতা “মানবতার ফেরিওয়ালা” খ্যাত হাজী মো: আবু সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে রহস্যময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ওরা কারা ?

0
1422

এস.ডি. বাবু: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সাফল্য এনে দিয়েছেন তা সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছেন এই বাঙ্গালী জাতিকে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের হাতের মুঠোয়। বর্তমান সরকারের আমলে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়া মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। কিন্তু এই সুযোগে কিছু দু:স্কৃতিকারী ফেসবুক ও মিডিয়াতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানী করছে। বর্তমান সরকারের এই সাফল্যের পিছনে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের আত্মত্যাগ রয়েছে। অথচ এই তৃণমূল নেতাদের নিয়ে রাজাকারদের বংশধরেরা এখনও চক্রান্ত করে যাচ্ছে। ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মো: আবু সিদ্দিক যিনি ১৯৯০ইং সাল থেকে কেরাণীগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাথে সরাসরি জড়িত আছে। বিএনপি আমলের দু:শাসনের সময় বহু হামলা-মামলা সহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এই ত্যাগী নেতা। এই আত্মত্যাগী নেতা ১৯৯৫ইং সাল থেকে তারানগর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সাথে পরিচালনা করেছিলেন। দলের জন্য ত্যাগী এই নেতাকে ২০০৪ইং সালে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক পদে ভূষিত করা হয়।

মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত এই হাজী মো: আবু সিদ্দিক বর্তমানে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির ৩নং গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বর্ণাঢ্য এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে একটি কু-চক্রী গোষ্ঠি তার রাজনৈতিক জীবনে কালো ছায়া দিয়ে ঢেকে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

মাত্র ২ (দুই) বৎসর পূর্বে স্থানীয় মধু সিটির ভিতরে হাজী মো: আবু সিদ্দিক কে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। সন্ত্রাসীরা তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মৃত ভেবে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতলে নিয়ে যায়। টানা ১০ দিন আই.সি.ইউ-তে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১ (এক) মাস হাসপাতালে থেকে আল্লাহ্র অশেষ মেহেরবানীতে সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরে আসেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে হাজারও জনগণ এই মানবতার ফেরিওয়ালাকে দেখতে গিয়েছিলেন। তৎকালীন মাননীয় এমপি এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বিপু তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন।

সেদিন এই দুই এমপি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। বর্তমানে এই নেতা সুস্থ থাকলেও একটি দুষ্ট চক্র তার বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। চলতি বৎসর ২০২১ইং সালে ৩ (তিন) বৎসর পূর্বের পারিবারিক একটি বিরোধের ঘটনা ভিডিও এডিট করে ফেসবুকে প্রচার করে। অপরাধীরা এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি। মিডিয়াকেও ভুল বুঝিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় নিয়েও মিথ্যাচার করছে। বলা বাহুল্য যে, হাজী মো: আবু সিদ্দিক এই প্রথমবার এলাকায় জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে তারানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন।

চলতি এই ঘটনার নেপথ্য পরিস্কার যে, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার কারণে এই কুচক্রী মহল হাজী মো: আবু সিদ্দিক এর ইমেজ নষ্ট করার জন্য অপ্রচার চালাচ্ছে। তারানগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেউতা নিবাসী প্রবীন সাবেক মেম্বার আলাউদ্দিন আলী বলেন যে, হাজী মো: আবু সিদ্দিক এর দাদা মরহুম খালেক চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বসতবাড়ীতে তৎকালীন কমান্ডার সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসিন মন্টু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গগণ সাহেব সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং তাদেরকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সহযোগিতাও করেছিলেন। অথচ ষড়যন্ত্রকারীদের কু-প্ররোচনায় মিডিয়া তা উল্টোভাবে প্রচার করছে। অথচ কেরাণীগঞ্জের জনগণ ঠিকই জানেন কারা রাজাকারের বংশধর।

তারানগর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা মো: মতিন বলেন-আমাদের প্রিয় নেতা হাজী মো: আবু সিদ্দিক এই কেরাণীগঞ্জের ভূমিদস্যুদের হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিপূর্বে তিনি জনগণকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন করে কঠোরভাবে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। গত ০৪/০১/২০২১ইং তারিখে মানবতার ফেরিওয়ালা জনদরদী হাজী মো: আবু সিদ্দিক এর সাংবাদিক সম্মেলনে পারিবারিক বিরোধের মূলহোতা মিরাজুল আলম মাসুর উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন-হাজী মো: আবু সিদ্দিক আমার বোন জামাই।

সব পরিবারের কিছু না কিছু ঝামেলা থাকে। কিন্তু আমাদের পরিবারের এই বিরোধকে নিয়ে ভিডিও ধারণ করে যে অপপ্রচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছি, যার নম্বর: ১৪৯, তারিখ: ০৩/০১/২০২১ইং। আমি এই অপপ্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। কেরাণীগঞ্জের এই ঘটনা নিয়ে নিবিড় অনুসন্ধান চলছে। জন্মলগ্ন থেকে অপরাধ বিচিত্রা অপরাধীদের মুখোশ উম্মোচন করে আসছে। মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত হাজী মো: আবু সিদ্দিক এর বিরুদ্ধে যারাই এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, নেপথ্যের সেই কারিগরদের মুখোশ খুলে দিবে অপরাধ বিচিত্রার আগামী সংখ্যা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eight − 4 =