খুলনায় শীতের অজুহাতে বেড়েছে সবজির দাম

0
526

খুলনার বাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামী পণ্যে পরিণত হয়েছে আলু। একই সঙ্গে কমে গেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝও। আলু নিয়ে বিক্রেতা দিনভর বসে থাকলেও ক্রেতার সন্ধান মিলছে না বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে গত দু-তিনদিন ধরে শীত বেশি পড়ার অজুহাত দেখিয়ে সবজির দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে খুলনার টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে সবজির সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। একইভাবে মিস্ত্রিপাড়া বাজার, রূপসা পাইকারি কাঁচাবাজার, নিরালা বাজার, গল্লামারী বাজারেও সবজির কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু শীতকালীন সব সবজিরই দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা।

নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নতুন আলু প্রতি কেজি ১৬ থেকে ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ফুলকপি ৩০, বেগুন ৩০, বিটকপি ২০, পালং শাক ২০, শিম ২০, লাউ ৩০, মুলা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন দেশি পেঁয়াজ ৩৩ টাকা ও পুরনো পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম এখন কেউ জানতেও চাইছেন না।

এদিকে, উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচামরিচ। গত সপ্তাহের ন্যায় এ সপ্তাহেও কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজার, খালিশপুর নিউ মার্কেট বাজার, দৌলতপুর বাজারে আলু এবং নতুন পেঁয়াজের দাম প্রায় একই রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাজার করতে আসা নগরীর ময়লাপোতা এলাকার বাসিন্দা নওশাদ রহমান বলেন, শীতের সবজির দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। গত তিন দিন আগেও যে ফুলকপি ২০ টাকায় কেনা গেছে, আজকে তার দাম চাইছে ৩০ টাকা। বাজারে কিন্তু সবজির সরবরাহে কোনো কমতি নেই।

মিস্ত্রী পাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা খালেক হাওলাদার বলেন, শীত এখন একটু বেশি বলে বাজারে ক্রেতা নেই। দিনের অর্ধেক সময় চলে গেলেও সূর্যের দেখা মেলেনি। শীত যেন হাড়ে গিয়ে ঠেকছে। এই সময় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমে যায়।

তিনি আরও বলেন, গত মাসে আলুর চাহিদা ছিল অনেক। কিন্তু সেই চাহিদা কমে গেছে। বাজারে এসে এখন আর কেউ সবজি কিনতে চায় না। ভ্যান থেকেই ক্রেতারা তাদের চাহিদার পণ্য বাড়ির সামনে থেকেই পেয়ে যাচ্ছে। ভ্যানে সাত কেজি আলু বিক্রি করছে ১০০ টাকায়। সে টাকায় বাজার থেকে কেন ছয় কেজি কিনবে?।

সবজির বাজারে দাম বাড়লেও মাছের বাজার মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মাছ বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পাঙ্গাশ আর তেলাপিয়া মাছের দাম কমেছে, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১২০ টাকায়। চিংড়ি মাছের দাম কমে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এ সময়ে বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে টেংরা মাছের। এক কেজি টেংরা মাছ (মাঝারি সাইজের) ৩৮০ টাকা, শোল মাছ ৪৫০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পারশে মাছ ৫০০ টাকা, সিং মাছ ৫০০ টাকা, রুই মাছ (এক কেজি সাইজের, দেশি) ২৫০ টাকা, কাতলা মাছ ২০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাকা চিংড়ি ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 5 =